প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২০:১০
দেনার দায়ে সৌদি আরবে গলায় ফাঁস দিলেন হাজীগঞ্জের নয়ন
দেনার দায়ে ও কাজ না পাওয়ায় হতাশাগ্রস্থ হয়ে আরিফুল ইসলাম খাঁন এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। ৫ লাখ টাকা দেনা করে গত রমজানে আরিফুল গত মঙ্গলবার বিকেলে সৌদি আরবের জেদ্দায় এ ঘটনা ঘটান।
আরিফ হাজীগঞ্জের বাকিলা ইউনিয়নের শ্রীপুর খাঁন বাড়ির সিরাজুল ইসলাম খাঁনের ছেলে। সে দুই কন্যা সন্তানের জনক। এই ঘটনায় পুরো পরিবার দেনার দায়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে। বিশেষ করে নিহতের স্ত্রী আর অবুঝ দুই শিশুর ভবিষ্যত পুরোপুরি অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে।
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, গত রমজান মাসে আরিফ পুরো ৫ লাখ টাকা দেনা করে এক আত্বীয়ের মাধ্যমে সৌদি আরবের দাম্মাদ এলাকায় যায়। সেখানে গিয়ে কাজ না পেয়ে আর সারাক্ষন বাসায় থেকে দিন পার করছিলেন তিনি। রুমে থেকে বাড়িতে মা-বাবা,স্ত্রী আর অবুঝ দুই সন্তান নুহা (৫) ও নুসাবা (৩)র ভবিষ্যত আর দেনা পরিশোধ করা নিয়ে হতাশায় ভূগতে শুরু করেন। এক দিকে কাজ নেই অপর দিকে দেনার দায় মাথার উপর আর ভবিষ্যত অন্ধকার দেখে পুরোই ভেঙ্গে পড়েন তিনি। গত কয়েক ধরে তিনি রুমে অসুস্থ হয়ে পড়েন কিন্তু বৈধ কাগজ পত্র না থাকায় তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে পর্যন্ত পারেননি। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার বিকেলে বাড়িতে স্ত্রীকে ফোন দিয়ে তার হতাশার কথা জানিয়ে গলায় ফাঁস দেন।
এ দিকে আরিফের মারা যাওয়ার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তাৎক্ষনিক এলাকার মানুষজন জেনে যায়। এর পরেই নিহতের পরিবারসহ পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
আরিফের মারা যাওয়া খবর পেয়ে বুধবার দুপুরের কিছু পর নিহতের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে নিহতের সন্তানদের খোঁজখরব নিয়ে স্ত্রী আর বাবা মাকে সান্তনা দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম। এ সময় তিনি ব্যক্তিহত সহায়তা দিয়ে শিশুদের পড়ালেখার দায়িত্বনেয়াসহ নিহতের স্ত্রীকে সরকারি সহায়তা দেবার আশ্বাস দেন। এ সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিলন উপস্থিত ছিলেন।