প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২১, ২৩:২২
প্লান্ট থেকে হাসপাতালের বেডে রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ শুরু
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি
তরল গ্যাস (লিকুইড অক্সিজেন) সরবরাহের পরদিন থেকেই সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট থেকে হাসপাতালের বেড়ে রোগীদের অক্সিজেন দেয়া শুরু হয়েছে। প্রথমদিন ৩ আগস্ট ৫০ জন রোগীকে এই প্লান্ট থেকে অক্সিজেন সাপোর্ট দেয়া হয়। এটিকে অনেক বড় সাফল্য বলে উল্লেখ করলেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ হাবিব উল করিম, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ ও আরএমও ডাঃ সুজাউদ্দৌলা রুবেল।
|আরো খবর
করোনা রোগীদের জরুরি প্রয়োজনে অক্সিজেন সাপোর্ট দেয়ার জন্যে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপির প্রচেষ্টায় আড়াইশ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল প্রাঙ্গণে বসানো হয় সেন্ট্রাল লিকুইড অক্সিজেন প্লান্ট। এই প্লান্টের ট্যাংকে ২ আগস্ট সোমবার রাতে ঢুকানো হয় সাড়ে তিন হাজার লিটার তরল গ্যাসস্পেক্ট্রার লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক থেকে প্লান্টের ট্যাংকিতে ওই সাড়ে তিন হাজার লিটার লিকুইড অক্সিজেন আনলোড করা হয়। ৩ আগস্ট এটি পরীক্ষামূলক চালু করার পর রোগীদের বেডে সরাসরি অক্সিজেন দেয়া হয়। ৪ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন চাঁদপুর-৩ (সদর ও হাইমচর) আসনের সংসদ সদস্য শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি।
সোমবার রাতে স্পেক্ট্রা অক্সিজেন লিমিটেডের জরুরি তরল গ্যাস সরবরাহের ভাউচার এসে যখন প্লান্টের ট্যাংক আনলোড করার কাজ শুরু হয়, সে সময় উপস্থিত ছিলেন আড়াইশ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ হাবিব উল করিম, চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ, হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ও করোনাভাইরাস বিষয়ক ফোকালপারসন ডাঃ সুজাউদ্দৌলা রুবেলসহ লিকুইড অক্সিজেন প্লান্টের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ।
সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ জানান, আমাদের এ হাসপাতালে বসানো লিকুইড অক্সিজেন প্লান্টের ধারণক্ষমতা সাড়ে আট হাজার লিটার তরল অক্সিজেন। এখন আমরা সাড়ে তিন হাজার লিটার অক্সিজেন পাওয়ামাত্র ট্যাঙ্কিতে ঢোকানো হয়েছে। বাকি পরিমাণ অক্সিজেনও চলে আসবে সহসা।
সিভিল সার্জন আশা করেন, হাসপাতালের করোনা চিকিৎসা সেবায় এই অক্সিজেন সরবরাহ কার্যক্রম রোগীদের জন্যে খুবই জরুরি। সিভিল সার্জন বলেন, আপনারা জানেন, আবুল খায়ের গ্রুপ এখানে অক্সিজেন সরবরাহের ক্ষেত্রে রিফিল করার ব্যবস্থা করেছে। আগে আমরা কুমিল্লা থেকে এই অক্সিজেন রিফিল করে আনতাম। অক্সিজেন সমস্যায় চাঁদপুরে একটি সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট খুবই দরকার ছিলো। সেটি আমরা আমাদের শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়ের প্রচেষ্টায় পূরণ করতে পেরেছি। ইনশাআল্লাহ এই হাসপাতালে অক্সিজেন সঙ্কট অনেকাংশে কমে আসবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, কোভিড-১৯ নামের ভাইরাসে আক্রান্ত হয় মানুষের শ্বাসযন্ত্র ফুসফুস। একবার আক্রান্ত হলে বেড়ে যায় রোগীর শ্বাসকষ্ট। জীবন বাঁচাতে তাই জরুরি প্রয়োজন হয় অক্সিজেন।
আরএমও ডাঃ রুবেল জানান, এই অক্সিজেন প্লান্ট থেকে হাসপাতালে দেড়শ’ লাইন সংযোগ আছে। যেখানে এই প্লান্ট থেকে সরাসরি অক্সিজেন সরবরাহ হবে। এছাড়া সিলিন্ডার অক্সিজেন কার্যক্রমও স্বাভাবিক থাকবে। সেগুলো দিয়ে বেডবিহীন রোগীদের সার্ভিস দেয়া হবে।
তিনি বলেন, করোনা রোগীদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের অভাব। চাঁদপুরে স্থাপিত এই সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টটি করোনা রোগীদের জন্যে খুবই অপরিহার্য ছিলো। সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্টে প্রতি মাসে অক্সিজেন সরবরাহ করবে স্পেক্ট্রা লিকুইড অক্সিজেন কোম্পানি।