প্রকাশ : ২৮ অক্টোবর ২০২২, ১৪:৫৯
চাঁদপুরে নৌ পুলিশ প্রধানের নেতৃত্বে নদীতে বিশেষ অভিযান
জেলেরা যদি নিষিদ্ধকালীন সময়ে মাছ শিকার না করে, তাহলে দেশে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে : নৌ পুলিশ প্রধান
জাতীয় মৎস্য সম্পদ মা ইলিশ রক্ষায় নৌ পুলিশ নৌ পথে নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় মা ইলিশ সংরক্ষণে নিষেধাজ্ঞা শেষ হবার একদিন আগে বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) নৌ পুলিশ প্রধান বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মোঃ শফিকুল ইসলাম বিপিএম(বার),পিপিএম নিজে উপস্থিত থেকে তাঁর নেতৃত্বে চাঁদপুরে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
|আরো খবর
এ অভিযানে নৌ পুলিশের ডিআইজি,পুলিশ সুপার বৃন্দ সহ সকল পর্যায়ের দুই শতাধিক পুলিশ সদস্য লঞ্চ স্পিডবোট যোগে অংশ গ্রহন করে।
অভিযানের এক পর্যায়ে নৌ পুলিশ প্রধান চাঁদপুরের আমিরাবাদ বড়ই চর এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ জনসাধারণের সাথে মা ইলিশ সংরক্ষনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন, "বাংলাদেশ সরকার জাতীয় মাছ ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ২২ দিন মা ইলিশ শিকার করা বন্ধ রেখেছেন।দেশের কল্যানে আমাদের সবাইকে এই সরকারি আদেশ মানতে হবে।"
তিনি বলেন,"কৃষক যেমন ভালো ফসলের জন্য এর যত্ন নেন ,ধান পাকা পর্যন্ত অপেক্ষা করেন ঠিক তেমনি জেলে ভাইয়েরা যদি সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধকালীন মাছ শিকার না করেন তাহলে দেশে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে,এতে করে নিজের ভাগ্যের উন্নতির সাথে সাথে দেশও অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হবে।"
তিনি আরও বলেন,"যখন মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে তখন অন্য বিকল্প পেশায় নিয়োজিত হতে হবে।"
নৌ পুলিশ প্রধান মৎস্য সংরক্ষণের জন্য সরকারি আদেশ মানার পাশাপাশি তাদের সন্তানদের সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য আহ্বান জানান।
অভিযানের সময় চাঁদপুর নৌ অঞ্চলের পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামানসহ নৌ পুলিশের অন্য কর্মকর্তার উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে গত ৭ অক্টোবর থেকে আগামী ২৮ অক্টোবর ২০২২ পর্যন্ত মোট ২২ দিন মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান -২০২২ উপলক্ষে চাঁদপুরসহ সারাদেশে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়। এ সময় দেশব্যাপী ইলিশ পরিবহণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও বিনিময়ও নিষিদ্ধ ছিলো। নিষিদ্ধকালে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়ন করার জন্য চাঁদপুরের ইলিশ অভয়াশ্রমে নৌ পুলিশের সর্বাত্মক সহযোগিতায় জেলা টাস্কফোর্সের একাধিক টীম অভিযান পরিচালনা করে। চাঁদপুর নৌ পুলিশ নিষিদ্ধ সময় জেলেদের মাছ ধরা থেকে বিরত রাখতে দিন রাত নদীতে টহল দেয় এবং বিপুল পরিমাণ জাল,ইলিশ মাছ জব্দসহ অসংখ্য জেলেকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।