বুধবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কচুয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
  •   নির্মাণের এক বছর না যেতেই ফরিদগঞ্জ কেন্দ্রীয় মডেল মসজিদের বেহাল দশা
  •   শেষ হলো পদ্মা-মেঘনায় জাল ফেলার নিষেধাজ্ঞা
  •   ফরিদগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার
  •   মোবাইল ব্যবহারে নিষেধ করায় শিশু শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০২২, ১৯:৩৬

৩৭ বছর পর স্থায়ী অফিস কক্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান নাসরিন জাহান চৌধুরী

৩৭ বছর পর স্থায়ী অফিস কক্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান নাসরিন জাহান চৌধুরী
মোঃ মঈনুল ইসলাম কাজল

শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদের যাত্রা শুরু ১৯৮৫ সালে। উপজেলা পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে ১৯৮৫ সালের ১ মার্চ দায়িত্ব গ্রহণ করেন মেহের ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ এমএ আউয়াল মজুমদার। তৎকালীন সময়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের নির্ধারিত কোন অফিস কক্ষ না থাকায় তিনি নির্বাহী কর্মকর্তার সভা কক্ষে অফিসের কাজ পালন করতেন।

১৯৯০ সালের ২২ মে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মোঃ রুস্তম আলী। তিনিও একই জায়গায় দায়িত্ব পালন করেন। তার সময়েই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের জন্য অফিসার্স কোয়ার্টারের পাশে নতুন করে বাসভবন নির্মাণ করা হয়।

১৯৯২ সালে তৎকালীন সরকার উপজেলা চেয়ারম্যানের পদটি বিলুপ্তি করে দিলে উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসভবনটি অযত্ন অবহেলায় পড়ে থাকে। বর্তমান সরকার পুনঃরায় উপজেলা চেয়ারম্যানের পদটি ফিরিয়ে দিলে ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারি মোঃ দেলোয়ার হোসেন মিয়াজী দায়িত্ব গ্রহণ করেন। উপজেলা চেয়ারম্যানের জন্য নির্ধারিত কোন অফিস না থাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা চেয়ারম্যানের জন্য নির্ধারিত বাসভবনটি উপজেলা চেয়ারম্যানের অফিসের জন্য প্রস্তুত করা হয়।

প্রায় দুই মেয়াদে নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন মিয়াজী তার মেয়াদকাল বাসভবনটিতেই কাটিয়ে দেন। তার সেচ্চায় পদত্যাগের পর উপ-নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর দায়িত্ব নিয়ে চেয়ারম্যানের বাসভবনেই অফিস করেন উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মিন্টু।

এরপর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল দায়িত্ব গ্রহণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উল্লাহ চৌধুরী। একই ধারাবাহিকতায় তিনিও ধরে রাখেন। ফরিদ উল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে শাহরাস্তিতে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে ফরিদ উল্লাহ চৌধুরীর সহধর্মিণী নাসরিন জাহান চৌধুরী সেফালী ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর দায়িত্ব নেন। তিনিও উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসভবনের অফিস কক্ষে দায়িত্ব পালন করেন। এদিকে গত বছরের ৪ অক্টোবর উপজেলা পরিষদের নবনির্মিত প্রশাসনিক ৪ তলা ভবনের শুভ উদ্বোধন করেন স্হানীয় সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম।

নতুন কমপ্লেক্স ভবনে আসবাবপত্র ও নানান জটিলতায় কারণে প্রায় এক বছর পর প্রস্তুত করা হয় বিভিন্ন অফিস কক্ষ। উক্ত নবনির্মিত কমপ্লেক্স ভবনে উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তা, এলজেইডি, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অফিস স্হান পেয়েছে। নতুন ভবনে দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাসরিন জাহান চৌধুরী সেফালী। দায়িত্ব পালনের মাঝে নতুন ভবনে বসে আবেগ আপ্লুত হয়ে তিনি বলেন, আমার স্বামী বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উল্লাহ চৌধুরী মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। তিনি অনেক কষ্ট করেছেন। স্হায়ী অফিস না থাকায় দায়িত্ব পালন করতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। নতুন কমপ্লেক্স ভবনটিতে আমরা সবাই পাশাপাশি থাকবো।

মে কোন সময় প্রয়োজনে সবাইকে কাছে পাওয়া যাবে। কাজের গুরুত্ব বৃদ্ধি পাবে‌। সবার সাথে সমন্বয় করে কাজ করতে পারবো। এজন্য তিনি মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার স্হানিয় সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

১৯৮৫ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বাসভবনেই কাটিয়ে দিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃন্দ। অফিসের দূরুত্ব থাকায় অনেক সময় প্রশাসনের সাথে তাদের কাজের দূরুত্বও লক্ষ্য করা গেছে। বর্তমানে একই ভবনে এক ছাদের নিচে পাশাপাশি বসবেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। পাশে থাকবেন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাগন । তাই কাজের তদারকি ও সমন্বয় বৃদ্ধি পেলে উপজেলাবাসি উপকৃত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নতুন ভবনে নতুন রুপে পথচলা সুফল বয়ে আনবে এটাই শাহরাস্তি বাসির প্রত্যাশা।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়