প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২২, ১৯:৩৬
ফরিদগঞ্জ পৌরসভায় ঈদ পুনর্মিলনী ও সম্মাননা অনুষ্ঠান
ফরিদগঞ্জ পৌর সভার ঈদ পুন:মিলনী উৎসব ও পৌরসভা ‘খ’ শ্রেণি থেকে ‘ক’ শ্রেণিতে উন্নিত হওয়ায় সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। সোমবার (১১ জুলাই) দুপুরে পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগর সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে ও ক্যাশিয়ার গিয়াস উদ্দিনের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাহুল পাটওয়ারী। এ সময় তাকে পৌরসভার শ্রেণি উন্নয়নে অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ সম্মননা প্রদান করা হয়। এছাড়া পৌর সভার প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর এবং কর্মকর্তাদের শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হয়। পরে ঈদ পুনর্মিলনী উৎসবে বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগর সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী, পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাহুল পাটওয়ারী, প্যানেল মেয়র আব্দুল মান্নান পরান, মাজহারুল ইসলাম মিরণ, সেলিনা আক্তার যুঁথি, কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন, সাজ্জাদ হোসেন টিটু, জাহিদ হোসেন , কুসুম বেগম, আবুল হাসেম প্রমুখ।
|আরো খবর
প্রধান অতিথি রাহুল পাটওয়ারী তার বক্তব্যে বলেন, আমি একজন পৌর নাগরিক হিসেবে পৌরসভার সার্বিক উন্নয়নে এবং শ্রেণি উন্নয়নে সহযোগিতার চেষ্টা করছি। সকলের প্রচেষ্টায় থাকায় ফরিদগঞ্জ পৌরসভাটি আজ প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হিসেবে উন্নিত হয়েছে। এখন আপনারা যারা পৌর পরিষদের দায়িত্বে রয়েছেন ,তাদের দায়িত্ব এবং কাজ আরো অনেক বেড়ে গিয়েছে। শ্রেণির মর্যাদা ধরে রাখার পাশাপাশি পৌরবাসীকে পর্যাপ্ত নাগরিক সুবিধা প্রদানে আরো বেশি মনযোগি হতে হবে। পৌরসভার বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কাজের জন্য প্রকল্পভুক্ত হতে হবে। এজন্য প্রত্যেককে যার যার অবস্থান থেকে নিরলস কাজ করতে হবে। আপনাদের মনে রাখতে হবে আপনারা যদি জনগণের জন্য কাজ করেন, তবে অবশ্যই জনগণ আপনাদের যথাসময়ে সঠিক মূল্যায়ন করবে।
সভাপতির বক্তব্যে, পৌর মেয়র যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী বলেন, আমি পৌর নির্বাচনের সময়ে পৌরবাসীকে কথা দিয়েছিলাম পৌরসভাকে প্রথম শ্রেণিতে রূপান্তরিত করবো। আমি রাহুল পাটওয়ারী, মাসুম পাটওয়ারী, হাবিবুর রহমানসহ যেসব কর্মকর্তাকে আমাকে এই কাজে সহযোগিতা করেছেন, তাদের প্রত্যেকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। এখন আমাদের দায়িত্ব আরো বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে। জনগণকে প্রথম শ্রেণির পৌরসভার নাগরিক হিসেবে সেবা প্রদান করতে আরো কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। এজন্য জনপ্রতিনিধি এবং কর্মকর্তা কর্মচারীদের দায়িত্বশীল আচরণ এবং শতভাগ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।