প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০২২, ১৮:৩৯
বাজারে কোরবানি পশুর চেয়ে ক্রেতা কম
গত কয়েকদিনে কোরবানী পশুর তেমন একটা হাট জমেনি। বৃহস্পতিবার থেকে মোটামোটি কোরবানি পশুর হাট জমতে শুরু করেছে। তবে কোরবানী পশুর চেয়ে ক্রেতার পরিমাণ অনেকটাই কম দেখা দেছে।
|আরো খবর
এমন চিত্র সদর উপজেলার বাবুরহাট আর হাজীগঞ্জের বাকিলা বাজারের। তবে অন্য বছর থেকে এবারে বাজারে ইন্ডিয়ান গরু নেই বললেই চলে।
সরজমিনে দেখা যায়, সদর উপজেলার বাবুরহাট পূর্ববাজারে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর আর হাজীগঞ্জের বাকিলা বাজারে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে গরু আসতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে গরু বাজারে কানায় কানায় পূর্ন হয়ে উঠে।
বেলা ১ টার মধ্য গরুতে বাজার ঠাসা হয়ে। এ সময় উভয় বাজারের চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়ক দু' পাশে গরুতে কানায় কানায় পূর্ন হয়ে যায়। বিকেল পর্যন্ত ক্রেতারা বাজার ঘুরেছে কিন্তু গরু ক্রয় করেনি। বিকেলের পর থেকে হঠাৎ করে গরু ক্রয় বিক্রয় শুরু হয়ে যায় যা চলে সন্ধ্যার পর পর্যন্ত। তবে অন্যবারের চেয়ে এবারে এখনো চাহিদা হিসেব পশু বিক্রি হচ্ছে না।
সরজমিনে বাকিলা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে দেশি প্রচুর গরু রয়েছে। বিশেষ করে গৃহস্তের পালিত গরু এবারে বাজার প্রচুর সরবরাহ বাজারে এসেছে। মধ্যম মানের গৃহস্ত পালিত গরুর দাম ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০/২৫ হাজারে, তুলনামূলক বড় ষাড় দেড় লাখ থেকে পৌনে দুই লাখে। আর বড় গরু ১ লাখ ৮০ হাজারের উপরে দাম হাকা হচ্ছে। দুই লাখ টাকা কিছু গরুর দাম হাকা হলেও ক্রেতা তাতে সায় দিচ্ছে না।
সরজমিনে বাকিলা বাজারে আরো দেখা যায়, অন্যবারের তুলনায় কোনো ইন্ডিয়ান গরু তথা বোল্ডার গরু বাজারে আসেনি। যেখানে অন্যবার পুরো বাজারে ৫ হাজার আসতো সেখানে এ বছর পুরো বাজারে ১শ ইন্ডিয়ান গুরু দেখা যায়নি।