প্রকাশ : ১৮ জুন ২০২২, ১৮:৫৭
মতলব উত্তরের সুলতানাবাদ ইউনিয়নে ইন্দুরিয়া-উত্তর টরকী দৃষ্টিনন্দন রাস্তানির্মাণ
গ্রামবাসীর মনে বইছে খুশীর জোয়ার
মতলব উপজেলার সুলতানাবাদ ইউনিয়নের ইন্দুরিয়া-উত্তর টরকী দৃষ্টিনন্দন সংযোগ সড়ক প্রায় ২.৫ কি.মি. কাঁচা মাটির স্বপ্নের রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এর ফলে গ্রামবাসীর মনে বইছে খুশীর জোয়ার। রাস্তা নির্মানের ফলে খুশীতে আত্মহারা অনেকে। ইন্দুরিয়া, নয়াকিন্দি, মজলিশপুর, বলাইরকান্দি ও উত্তর টরকী গ্রামের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে একটি রাস্তার জন্য অনেক দুর্ভোগ পোহাচ্ছিলেন। বর্ষা শুকিয়ে গেলে অনেক কাঁদা মাটি পেরিয়ে তাদেরকে রাস্তা পার হতে হতো। অনেক সময় অসুস্থ রোগী নিয়ে যাওয়াটা ছিল তাদের কাছে বিশবাস্পের মতো। নিত্যপ্রয়োনীয় জিনিস পত্রের জন্য তাদেরকে অনেক কষ্ট করতে হতো। বিশেষ করে শিশুদেরকে নিয়ে চলাচল করাটা ছিল খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। স্কুলগামী ছাত্র ছাত্রীরা কাঁদা মাটি পেরিয়ে স্কুলে যাওয়া আসা করত। দীর্ঘদিনের এই রাস্তা নির্মাণের অভাবটা অবশেষে পূর্ণ হল। আর তার পিছনে যে মানুষটির সর্বাত্মক চেষ্টা ও সহযোগিতা ছিল তিনি আর কেউ নন, তিনি হলেন সুলতানাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবু বকর সিদ্দিক খোকন। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও সার্বিক তত্বাবধানে রাস্তাটি নির্মিত হয়েছে। ২০২১-২০২২ অর্থবছরের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক অতি দরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় প্রায় ২.৫ কি.মি. দৈর্ঘ্যরে এ রাস্তাটি নির্মাণের ফলে অত্র এলাকার লোকজন অনেক উপকৃত হবে।
|আরো খবর
স্থানীয়রা জানান, রাস্তা না থাকায় অনেক কষ্ট করেছি। কাঁদামাটির উপর দিয়ে আমাদেরকে বাজারে যেতে হতো। তাছাড়া পাঁকা ধানের সময় জমি থেকে ধান কেটে রাস্তার অভাবে অনেক দূর ঘুড়ে বাড়ীতে আসতাম। এখন রাস্তা নির্মাণের ফলে এখন আমাদের সে কষ্টটুকু আর থাকবেনা। আমরা স্বাচ্ছন্দ্যে জমি থেকে ধান কেটে সহজে রাস্তায় উঠে বাড়ীতে ফিরতে পারবো। কি যে আনন্দ লাগছে তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। এটা আমাদের দীর্ঘদিনের দাবী ছিল। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে আমাদের মনের আশা পূর্ণ হয়েছে সুলতানাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবু বকর সিদ্দিক খোকন এর সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা ও সার্বিক তত্বাবধানের কারণে।
এ প্রসঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক খোকন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা মোতাবেক গ্রামকে শহরে পরিনত করার জন্য গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ইউনিয়নের চলাচলে অনুপযোগী গ্রামীণ সড়কগুলো বর্ধিতকরনের কাজ চলমান রয়েছে। তিনি আরো বলেন, এলাকার জনগণের দীর্ঘদিনের দাবী ছিল এ সংযোগ সড়কটি। এ রাস্তাটি নির্মাণের ফলে অত্র এলাকার লোকজন অনেক উপকৃত হবে। রাস্তার পাশের ফসলী জমির ধানগুলো আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে ও শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাতায়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এ রাস্তাটি। এখন থেকে তাদেরকে আর কাঁদা মাটি দিয়ে কষ্ট করে বাজারে যেতে হবেনা। আশা করি ভবিষ্যতে রাস্তাটি আরো উন্নত রুপ ধারন করবে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আওরঙ্গজেব বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে এলাকার জনগণ ও সাধারণ কৃষকরা বেশ উপকৃত হবে। আমি নিজে নিয়মিত প্রকল্পটি পরিদর্শন করে কাজের মানের ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়েছি। তিনি বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে এলাকার হাজার হাজার মানুষ উপকৃত হবে।