প্রকাশ : ১৮ জুলাই ২০২১, ১৮:২১
মতলবের নারায়ণপুরেও এখন যানজট
রাস্তার তুলনায় গাড়ি চলাচল বেশি হওয়ায় প্রতিনিয়ত জানজটের শিকার হচ্ছেন মতলব দক্ষিণ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী নারায়ণপুর বাজারের ব্যবসায়ী ও ক্রেতা সাধারণ। বিশেষ করে সাপ্তাহিক হাটের দিন রবিবার এবং বৃহস্পতিবার জানজট প্রকট আকার ধারণ করে। কখনো কখনো এমন হয় যে, বাজারের অভ্যন্তরীণ সড়কে উভয় দিক থেকে গাড়ি এমনভাবে থাকে যে পায়ে হাটা মানুষও চলাচল করতে পারে না। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বাজারের ব্যবসায়ী ও ক্রেতা সাধারণ।
|আরো খবর
যতই দিন যাচ্ছে মানুষ বাড়ছে, বাজারের পরিধি বাড়ছে। ব্যবসার নতুন নতুন মাত্রা যোগ হচ্ছে। পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষ ভীড় করছে নারায়ণপুর বাজারে তাদের নিত্যপণ্য ক্রয় করার জন্য। কিন্তু সে তুলনায় বাজারের অভ্যন্তরিণ রাস্তা প্রসস্তকরণের কোনো পরিকল্পনা রাখা হচ্ছে না। টিনের দোকানঘর পাকা করার সময় একেবারে রাস্তার পিচ ঘেঁষে পাকাকরণের কাজ শুরু করে জায়গার মালিক। এতে স্থায়ীভাবে নারায়ণপুর বাজারের আভ্যন্তরিণ রাস্তা সংকুচিত হওয়ার উপক্রম হচ্ছে। এসব রাস্তা দিয়ে যখন কোনো ছোট আকারের মালবাহী পিকআপ ভ্যান প্রবেশ করে, তখন তার পাশ দিয়ে রিকশা যাওয়ার কোনো পথ থাকে না।
অপরদিকে নারায়ণপুর বাজার এখন নারায়ণপুর পৌরসভার অংশ। সেদিক বিবেচনায় পৌরসভার কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগে যে যেভাবে পারছে নিজেদের স্থাপনা পাকাপোক্ত করে নিচ্ছে। আর এভাবেই সংকুচিত হচ্ছে বাজারের আভ্যন্তরীণ রাস্তা। বাজার ব্যবস্থাপনায় সমন্বিত প্রয়াস না থাকায় বাস্তবে পরিকল্পিত কোনো কাজ হচ্ছে না। যানজট নিরসন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত সেনিটেশন ইত্যাদি ক্রেতা বিক্রেতা সংশ্লিষ্ট স্বার্থগুলো প্রায়ই উপেক্ষিত হয়।
বাজারের নিয়মিত ক্রেতা প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ জানান, নারায়ণপুর বাজারের যারা ভিটির মালিক, তারা প্রয়োজনীয় জায়গা না ছেড়ে নিজের ষোলআনা জমির উপর দোকান তৈরি করায় বাজারের অভ্যন্তরীণ সড়ক দিন দিন সরু হয়ে আসছে। এতে আমরা যারা নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করতে আসি, তাদের ক্রয়কৃত পণ্য নিয়ে বাড়ি ফিরতে বিরম্বনার শিকার হতে হয়। এ ব্যাপারে বাজার কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট ভূমি কর্মকর্তার তদারকি একান্ত প্রয়োজন।
বাজারের ভাড়াটিয়া মো. ফরহাদ হোসেন জানান, বাজার ব্যবস্থাপনায় নীতিমালা থাকা দরকার। ভিটির মালিক ইচ্ছে মতো ঘর তৈরি করে। দোকানের সামনে ক্রেতাদের দাড়ানোর কোনো জায়গা থাকে না। এ অবস্থায় আমাদের বেচাকেনায় সমস্যায় পড়তে হয়।
এ ব্যাপারে কথা হয় নারায়ণপুর বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মনজুর হোসেন রিপনের সাথে। তিনি জানান, নারায়ণপুর বাজার সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য আমরা সবসময়ই চেষ্টা করে থাকি। বণিকদের স্বার্থ রক্ষা করেই কাজ করে যাচ্ছি। বাজার অনেক বড়, সমস্যাও বেশি। ধাপে ধাপে সমস্যা সমাধান হবে।