রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০

চাঁদপুরে করোনা আজ শূন্যের কোঠায় ও বিভীষিকাময় দিনগুলো

শেখ মুহাঃ জয়নাল আবদিন

চাঁদপুরে করোনা আজ শূন্যের কোঠায় ও বিভীষিকাময় দিনগুলো
অনলাইন ডেস্ক

করোনাকালীন মানব সেবায় ২৬২ মৃতদেহ দাফন ও সৎকার সম্পন্ন করে অনন্য নজির সৃষ্টি করলো ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক টিম।

বৈশ্বিক মহামারী করোনা আতঙ্কের প্রথম থেকেই ভয়কে জয় করার স্বপ্ন নিয়ে মাঠে সরব ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক টিম। ৮ মার্চ ২০২০ বাংলাদেশে করোনা প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর, বৈশ্বিক মানবতা করুণ চিত্র ধারণ করলে প্রস্তুতি গ্রহণ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। তারই ধারাবাহিকতায় ইসলামী আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার তত্ত্বাবধানে সকল সহযোগী সংগঠনকে নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করা হয়।

এ স্বেচ্ছাসেবক কমিটিতে সাংগঠনিক পদের কারণে কাউকে চাপ সৃষ্টি করা হয়নি। যারা মৃত্যুঞ্জয়ী দৃষ্টিভঙ্গির অসীম সাহস এবং মানবতার দরদ মাখা হৃদয় নিয়ে স্বেচ্ছায় এগিয়ে এসেছেন তাদেরকেই স্বেচ্ছাসেবক কমিটিতে নেয়া হয়েছে। অজানা আতঙ্ক বুকে ধারণ করেই শুরু হয় কাজটি। করোনা নামক এই মহামারী পৃথিবীবাসীর কাছে নতুন এক ব্যাধি রূপে আবির্ভাব ঘটে। অদৃশ্য এ শক্তির মোকাবেলায় প্রতিষেধক-প্রতিরোধক সবই ছিল মানব জাতির অজানা। শুরু হলো গবেষণা। ঘুম হারাম হয়ে গেল স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীদের, চিন্তায় মাথা নুইয়ে দিল বিশ্বের পরাশক্তিধর শাসকরা।

মাখলুক ব্যতীতও যে সব ওলট-পালট করে দিতে পারে তারই একটি প্রমাণ হলো করোনা ভাইরাস। কিছু সময়ের জন্য হলেও অপরাধজগতের সকল খেল-তামাশা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। যদিও পুনরায় আবার সরব হয়ে গিয়েছে সকল মহল।

চাঁদপুরে সেই ২০২০ সালের ১৬ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া করোনা ও করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃতদের দাফন-কাফন ২৬২-এর কোঠায় পূর্ণ হলো। যার মধ্যে ৬জন হিন্দু ও ৩জন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী রয়েছে। রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক ও অসংখ্য আওয়ামী-বিএনপির প্রথম সারির নেতা-কর্মীসহ সব শ্রেণী-পেশার মানুষ। রয়েছে আমাদের স্বেচ্ছাসেবক টিমের দুজন সদস্য। একজন হাজীগঞ্জ টিমের সদস্য আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম এবং মতলব দক্ষিণের টিম সদস্য মাওঃ নূরে আলম।

আজ আমি গর্বিত পুলকিত আনন্দিত। যারা সমাজের গর্হিত ও ঘৃণিত কাজের সেঞ্চুরি করে আনন্দ উল্লাস করে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবক, তাদের ঘৃণিত সেই কাজের জবাব দিয়েছে দেশের দুর্দিনে মানবতার সেবা কিভাবে করতে হয় তার দৃষ্টান্ত স্বরূপ ডাবল সেঞ্চুরি করে। তাদের সেঞ্চুরিতে রয়েছে অন্যায় জুলুম আর ইজ্জতের টানাটানি। আমাদের সেঞ্চুরিতে রয়েছে আবেগ-অনুভূতি মায়া-মমতা আর হৃদয়বিদারক কিছু দৃশ্য। যার প্রভাব পড়েছে ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রে।

তুলনাহীন এই কাজের জবাব তাদের জন্যে-

* যারা গর্ভধারিণী মাকে করোনার অজুহাতে জঙ্গলে নিক্ষেপ করে গেছে।

* এ জবাব তাদের জন্যে, যে সন্তান বাবার লাশ হাসপাতালে রেখে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করার অজুহাতে নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে।

* এ জবাব তার জন্য যে স্ত্রী প্রবাসী স্বামীর আগমন টের পেয়ে পেছনের দরজা দিয়ে বাপের বাড়ি চলে গেছে।

* এ জবাব ঐ ঘৃণিত পরিবারের জন্য যে পরিবারের অভিভাবক করোনা পজিটিভ নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করার সাথে সাথে স্ত্রী-সন্তানরা গোপন কক্ষে বাহির থেকে তালা মেরে দিয়ে ধুঁকে ধুঁকে তাকে পৈশাচিকভাবে হত্যা করেছে।

* এ জবাব ঐ প্রতিবেশীর জন্যে, যারা করোনায় মৃত লাশের কফিনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে, জন্ম স্থানে দাফনের সুযোগটুকু করে দেয়নি।

* এ জবাব তাদের জন্যে, যারা করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া লাশ ১৭-১৮ ঘণ্টা ঘরে পড়ে থাকার পরেও স্বজন ও প্রতিবেশী হয়েও দাফন-কাফনে এগিয়ে আসেনি ।

* এ জবাব তাদের জন্যে, যারা করোনা লাশের ১০০ গজ দূরত্বে অবস্থান করে আমাদের জানাজাকে অবলোকন করেছে, কিন্তু জানাজায় শরিক হয়নি।

* এ জবাব তাদের জন্যে, যারা করোনাকালীন কর্মহীন অসহায় ক্ষুধার্ত মানুষের অন্ন কেড়ে নিয়েছে।

* এ জবাব তাদের জন্যে, যারা দুর্নীতির মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতকে একটি ভঙ্গুর ও অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে।

একদিকে এ কাজে যেমন হতাশা, নিষ্ঠুরতা, নির্মমতা আর অমানবিকতার প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠেছে,

অপরদিকে এ কাজের মাধ্যমে আবেগ-অনুভূতি-মায়া-মমতা আর মানবিকতার কিছু দৃষ্টান্ত বের হয়ে এসেছে। যারা খড়কুটোর মতো জোয়ারে গা ভাসিয়ে দেয় নি!

আমার রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মই আমার সামাজিক কাজের মূল ক্ষেত্র, আর রাজনীতির মূল উদ্দেশ্যই হলো মানবসেবা। রাজনীতির মূল লক্ষ্যই হলো শান্তি ও মানবতার নিরাপত্তা বিধান করা।

আজ রাজনীতির চরিত্র নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে গজিয়ে উঠছে নামে-বেনামে অসংখ্য সামাজিক ও অরাজনৈতিক লেভেল ভিত্তিক সংগঠন। যাদের বাহ্যিক চলন বলনে অরাজনৈতিক হলেও মন মস্তিষ্ক পুরোই রাজনৈতিক।

রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম হলো মহাসড়ক আর সেই মহাসড়কে যখন বসে থাকে চোর, ডাকাত, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী আর মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীরা, সাধারণ মানুষ তখন শাখা পথ বেছে নেয়াটাই স্বাভাবিক।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক সংগঠন। দেশপ্রেমিক নিঃস্বার্থবান কর্মীবাহিনী থাকলে সংগঠনের মাধ্যমেও নির্ভেজাল সামাজিক কাজ করা যায়, এ বিষয়ে জাতির দৃষ্টিভঙ্গি ফিরিয়ে আনার জন্যেই মূল সংগঠনের ব্যানারে কাজগুলো করা।

আমি জানি এবং বুঝি, এ কাজ যদি আজ আমাদের রাজনৈতিক সংগঠনের ব্যানারে না হয়ে কোনো সামাজিক সংগঠনের ব্যানার অথবা কোনো জাগতিক দলের ছত্রছায়ায় হতো, তাহলে কাজের স্বীকৃতস্বরূপ স্বর্ণপদকটা সর্বপ্রথম যে আমাদের কাছেই আসতো। মন্ত্রী, এমপি, ডিসি, এসপির প্রিয়পাত্র হওয়াতো বিষয়ই ছিল না।

দেশের সংকটকালে দাফন-কাফনের কাজ স্বেচ্ছায় বিনিময়হীন ভাবে করা হয়েছে এবং একই নিয়মে তা অব্যাহত আছে।

ইসলাম শান্তি ও নিরাপত্তার ধর্ম। ইসলাম বিজয়ী আদর্শ হিসেবে এই জগতে এসেছে।

আঁকাবাঁকা পথ দেখানোর জন্যে নয়, এমনকি নামে বেনামে ব্যবহার হওয়ার জন্যও নয়।

সোজা কথা, ইসলাম মানে শান্তি, ইসলাম মানে নিরাপত্তা, ইসলাম মানে নাগরিকের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠিত হওয়া এবং ইসলাম মানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। ইসলামী রাষ্ট্রকেই কল্যাণ রাষ্ট্র বলা হয়। রাজনীতিতে কখনো যদি মসৃণ পথ তৈরি হয়, জাতি হয়তো কল্যাণ রাষ্ট্রের কল্যাণ দেখতে পাবে।

দ্বিতীয় মূল কারণ হলো, স্বাধীনতা-পরবর্তী যারা রাষ্ট্রক্ষমতার দর্পণ জাতির সামনে পেশ করেছেন তাতে দেশের নির্ভেজাল নাগরিকদের আশার প্রতিফলন ঘটেনি। শান্তির সুবাতাস কেউ দিতে পারেননি বরং ক্ষমতার যতই পট-পরিবর্তন হয়েছে ততই রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে দুর্গন্ধ বেরিয়ে এসেছে।

এ বিষয়ে আমার সাথে হয়ত অনেকে একমত নাও হতে পারেন।

আজকে এ মানবিক কাজগুলো আমি তাদের প্রতি উৎসর্গ করতে চাই। যারা এ কাজের বীজবপন করেছেন এবং পরিচর্যাও অব্যাহত রেখেছেন।

তাদের মধ্যে....

* ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মুহতারাম আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম (পীর সাহেব হুজুর চরমোনাইর) প্রতি। যার নির্দেশে এ কাজটি আমরা শুরু করেছিলাম।

* ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মুহতারাম নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম (শায়েখে চরমোনাই), যার উৎসাহ ও অনুপ্রেরণায় এ কাজের হিম্মত পেয়েছিলাম।

* ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মুহতারাম মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ, যার অশ্রুসিক্ত কথোপকথনে এ কাজের গতিপথ হারিয়ে যায়নি।

* ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর যুগ্ম মহাসচিব, মাওঃ গাজী আতাউর রহমান, যার বিচক্ষণতা আর দূরদৃষ্টির কারণে এ কাজ রাজনীতির চরিত্র হিসেবে প্রকাশ পেয়েছে। যিনি ২০২০ সালের ১৬ এপ্রিল করোনা উপসর্গে মৃত সর্ব প্রথম দাফন সম্পন্ন করে আসার পর গভীর রাতে আমাকে ফোন করে খোঁজ-খবর নিয়ে কলম ধরেছিলেন।

এছাড়া কেন্দ্রীয় সকল নেতার প্রতি শোকরিয়া জানাই যারা আমাদের সর্বদা খোঁজ-খবর রেখেছেন, উৎসাহ দিয়েছেন।

* কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ওই পরিবারের প্রতি, যারা এ কঠিন মুহূর্তে আমাদের কাজের পথ প্রসারিত করে দিয়েছেন।

* কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ওই স্ত্রীর প্রতি, যে তার স্বামীর করোনা পজিটিভ জেনেও হাসপাতালের বেড থেকে বিচ্ছিন্ন হননি।

* আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ঐ স্বামীভক্ত স্ত্রীর প্রতি, যে স্বামীর অক্সিজেনের অভাব পূরণে নিজের শাস দিয়ে স্বামীকে বাঁচানোর জন্য মুখের সাথে মুখ মিলিয়েছিলেন।

* কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের প্রতি, যারা আমাদের এবং আমাদের পরিবারের সদস্যদের সর্বদা খোঁজ-খবর রেখেছেন, স্বাস্থ্যসুরক্ষা সরঞ্জামাদি দিয়েছেন এবং স্বেচ্ছাসেবকদের কাজের প্রতিবন্ধকতার ক্ষেত্রে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

* আমি আজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি শ্রদ্ধেয় বড়ভাই রোটারিয়ান কাজী শাহাদাতসহ ঐ সব সাংবাদিক এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্বের প্রতি, যারা রাজনৈতিক জড়তাকে উপেক্ষা করে তাদের লিখনি ও বক্তব্যের মাধ্যমে মানবতার এ কাজের শিকড় তৃণমূল পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছেন। মানবতার চরম দুর্দিনে দেশ ও জাতির সংকটকালীন সময়ে মানব সেবায় অসামান্য অবদানের জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ক্রেস্ট মেডেল স্বীকৃতি সনদ দিয়েছেন।

* আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ঐ সমস্ত ওলামায়েকেরামের প্রতি, যারা আমাদের জন্য মাওলার খাছ রহমত কামনা করে সদাসর্বদা দোয়া করেছেন।

* আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ওই সমস্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি, যারা এ কাজের ক্ষেত্রে আমাদেরকে সাহস যুগিয়েছেন, সহযোগিতা করেছেন।

* আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সোস্যাল মিডিয়াসহ দেশ-বিদেশ থেকে যে সমস্ত ভাই ও বোনেরা আমাদের এ কাজকে প্রমোট করেছেন।

করোনার এই দুঃসময় নিয়ে আজ থেকে ২০ বছর পরেও যদি কোনো ইতিহাস লেখা হয়, যাতে আমার এ লেখা থেকে সত্য কিছু উপাদান খুঁজে নিতে পারেন সে মানসেই এ কলম ধরা।

চাঁদপুর থেকেই সর্বপ্রথম করোনায় মৃতদের দাফনের বিষয়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি চাঁদপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওঃ যোবায়ের আহমাদের নেতৃত্বে হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ থেকে সর্বপ্রথম অনুমতিপত্র গ্রহণ করা হয়। যা সকল মিডিয়ায় গুরুত্বের সাথে প্রচার করা হয়।

পরদিন আমরাও সিভিল সার্জন অফিস থেকে সাংগঠনিক পদবী ব্যবহার না করে প্রাতিষ্ঠানিক পদবী দিয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবক কমিটির অনুমতিপত্র গ্রহণ করি।

কমিটি গঠন যখনই হোক না কেন, চাঁদপুরে ১৬/০৪/২০২০ তারিখে সর্বপ্রথম করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত আব্দুর রহমান মিন্টুর দাফন আমাদের পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমেই হয়েছে:-

শেখ মুহাঃ জয়নাল আবদিন

মোঃ শাহ জামাল গাজী সোহাগ

মাওলানা আখতার হোসাইন

মাওঃ আনোয়ার আল-নোমান

মোঃ আসাদ উল্লাহ সুমন।

অথচ তখনো নামে বেনামে অনেক স্বেচ্ছাসেবী টিম চাঁদপুরে ছিল, কেউ এগিয়ে আসেনি।

পরবর্তীতে সাংগঠনিক নির্দেশনা আসার সাথে সাথে জেলা মনিটরিং সেলসহ ৮ উপজেলায় ১১টি স্বেচ্ছাসেবক টিম সাংগঠনিক নিয়মে গঠন করা হয়। এতে ২০০ স্বেচ্ছাসেবক নিরলস ভাবে মানব সেবায় নিয়োজিত ছিল।

করোনার শুরুর আতঙ্ক থেকে বর্তমানে ৯৯%কম। যদিও দ্বিতীয় ধাপে শনাক্ত ও মৃত্যুর হার অনেক গুণ বেশি ছিল। ১৮/১০/২০২১ তারিখে চাঁদপুরে করোনা শূন্যের কোঠায় পত্রিকায় দেখতে পেয়ে মনটা আনন্দে ভরে গেছে। যে ইতিহাসের একটা অধ্যায়ে কিছু কাজ করার আল্লাহ সুযোগ দিয়েছেন।

তাই কায়মনোবাক্যে মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করছি, শুধু চাঁদপুর নয়, সারা দেশ এবং বিশ্ববাসীকে করোনা নামক এই মহামারী থেকে মুক্তিদান করেন।

জুলুম, নির্যাতন, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং খোদাদ্রোহী কাজ থেকে আমরা যেন সংযত হই। মহান মালিকের দয়ায় বিভীষিকাময় প্রহরগুলো যেন জগৎবাসীর সামনে পুনরায় ফিরে না আসে। আমিন।।

লেখক : শেখ মুহাঃ জয়নাল আবদিন, স্বেচ্ছাসেবক টিম প্রধান ও সভাপতি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, চাঁদপুর জেলা।

* ০১৮১৯-০৭৪২৭৫, ০১৯৫৪-০০৪০১১

[email protected]

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়