প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৩, ০০:০০
শিক্ষাগুরু মানুষ গড়েন মুজিব গড়েন জাতি
সেই মুজিবের কীর্তি-ভরা কালের দিবারাতি
শেখ মুজিবুর শিক্ষকদের যে সম্মানে দেখেন
প্রযুক্তিরই প্রজন্মের হোক তেমন গভীর এ ধ্যান।
শিক্ষা এবং শিক্ষাগুরু যুগল জ্যোতির প্রতি
বঙ্গবন্ধুর শ্রদ্ধা ছিল অকল্পিত অতি
তাঁর পরাণের গহীন জুড়ে শিক্ষাগুরুর ছবি
নিত্য তাঁকে পথ দেখাতো যেমন আকাশ-রবি।
পুণ্যপ্রাণের মাতাপিতা সায়েরা-লুৎফরে
খোকাকে দেয় হাতেখড়ি নিজেরা নিজ-ঘরে
গিমাডাঙার বেজেন্দ্রনাথ প্রাইমারিতে গুরু
তাঁর দুহাতে বিদ্যালয়ে খোকার পড়া শুরু।
খোকা যখন রাষ্ট্রপতি থাকতো বঙ্গভবন
বেজেনবাবুর পড়লো ধূলি মুজিব-গৃহে তখন
সকল নিয়ম তুচ্ছ করে মুজিব নেমে নিচে
গেট খুলে নেয় পায়ের ধুলো রইলো নিয়ম মিছে।
প্রধান শিক্ষক গিরীশ বাবু খুব আদরে পড়ায়
কাদা হতে শিল্পী যেমন প্রতিমাকে গড়ায়
গৃহে ছিলেন মৌলভী আর সাখাওয়াত পন্ডিত
তাঁদের পেয়ে শেখ মুজিবের রচিত হয় ভিত।
হামিদ সাহেব শেখায় তাঁকে মানবতার পড়া
মুষ্ঠিচালের সমিতিটা তাঁর দুহাতেই গড়া
সাখাওয়াত স্যার যেদিন গেলেন নোয়াখালি ফিরে
শেখ মুজিবুর দেন এগিয়ে বেডিং নিয়ে শিরে।
মনোরঞ্জন গণিত বুঝান ঠিক যেন তা পানি
রসরঞ্জন ইংরেজিতে ছিলেন ভীষণ জ্ঞানী
বাবা-ছেলের খেলার মাঠে বাধলো যখন বিরোধ
শিক্ষাগুরু রসরঞ্জন নিজেই করেন নিরোধ।
জুবেরী স্যার কলেজজুড়ে মুজিবকে না দেখে
বলতো তাঁকে রাজনীতি নয় পাঠ্য যেন শেখে
নারায়ণ স্যার, সাইদুর স্যার আরও দুয়েকজনে
শিক্ষাগুরুর আসন নিয়ে আছেন খোকার মনে।
নোয়াখালির সার্কিট হাউজে শিক্ষকের সম্মানে
কী করেছেন বঙ্গবন্ধু সব জাতি আজ জানে
নিজের ছেলে শেখ রাসেলের শিক্ষিকা কে হবে?
বঙ্গবন্ধু গীতালিকে দেখেই বললো, হবে।
তোফায়েল তার শিক্ষককে দেয় পরিচয় করে
মুজিব তাঁকে সালাম করতে বলেন পায়ে ধরে
শিক্ষকেরা আলোর মানুষ জ্ঞানের জোয়ার বহান
মুজিব ছিলেন শিক্ষাগুরুর শিষ্টাচারে মহান।
ঊনিশশো বিশ সতেরো মার্চ জন্মেছে যে ছেলে
গুরুভক্তির উপমা আর তাঁর মত না মেলে!
রাষ্ট্রপতির পদে থেকেও মাটির মানুষ খোকা
রবির মতো জ্বলছে গুণে খায়নিকো ঘুণপোকা।