শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

আশিকাটিতে পুকুরে টয়লেট নির্মাণ নিয়ে অসন্তোষ ॥ যে কোনো সময় সংঘর্ষের আশঙ্কা
স্টাফ রিপোর্টার ॥

চাঁদপুর সদর উপজেলার আশিকাটি ইউনিয়নের দক্ষিণ রালদিয়া গ্রামে হসপিটালের পশ্চিমে একটি ব্যবহারযোগ্য পুকুরে টয়লেট নির্মাণ নিয়ে জনমনে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে যে কোনো সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর প্রতিকার চেয়ে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই গ্রামের প্রধানিয়া বাড়ির যৌথ মালিকানাধীন প্রায় দুইশ’ বছরের পুরানো পুকুরের একপাশে ঘনবসতিপূর্ণ বসতবাড়ি ও কবরস্থান এবং অন্য পাশে জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা। ওই বাড়ির প্রতিটি পরিবার এই পুকুরের পানি ব্যবহার করে, বিশেষ করে রান্না-বান্না, গোসল, ধোয়া-মোছার কাজে ব্যবহার করে আসছে, মসজিদের অধিকাংশ মুসুল্লি অজু করছে। ওই বাড়ির হাছান প্রধানিয়ার ছেলে মতিন প্রধানিয়া বাড়ির অন্য কারো সাথে পরামর্শ ও কাউকে তোয়াক্কা না করে এককভাবে পুকুরের পশ্চিম পাড়ে বিরাট করে একটি টয়লেট নির্মাণ কাজ করে আসছেন। এর ফলে বাড়ির মানুষ ও অন্য যারা ওই পুকুরের পানি ব্যবহার করেন তাদেরকে স¦াস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলছেন বলে দাবি করছেন বাড়ির অধিবাসীরা।

স্থানীয় আশিকাটি ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন পাটোয়ারী বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে কাজ আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। কিন্তু গ্রাম পুলিশ চলে যাবার পর মতিন প্রধানিয়া ফের তার কাজ অব্যাহত রাখেন বলে বাড়ির অধিবাসীরা জানান। চেয়ারম্যান সরজমিনে দেখতে যাবেন বলে জানান। বাড়ির প্রবীণ অধিবাসী মনির হেসেন জানান, এটি তাদের যৌথ পারিবারিক পুকুর। কোনো প্রকার সুরক্ষিত ব্যবস্থাগ্রহণ না করে মতিন প্রধানিয়া পুকুরে টয়লেট নির্মাণের ফলে বৃহৎ ওই বাড়ির দীর্ঘদিনের সামাজিক সম্পর্ক বিনষ্টের আশঙ্কা করছেন তিনি। এ ব্যাপারে মতিন প্রধানিয়া বলেন, আমি আমার অংশে টয়লেট নির্মাণ করছি। কার কী বলার আছে? টয়লেটের ময়লা বা পানি যাতে বের না হয় তার ব্যবস্থা করবেন বলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান। ইতোমধ্যে অভিযোগের ভিত্তিতে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলে বাড়ির লোকজন জানান। এ বিষয়ে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ হান্নান অভিযোগটি সহসাই তদন্ত করে দেখে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়