প্রকাশ : ০৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
কচুয়া উপজেলার গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নের গোহট গ্রামের বহুল আলোচিত মজুমদার বাড়ির ১৪৩নং গোহট মৌজার ভিপি গেজেট খতিয়ানে গেজেটভুক্ত সম্পত্তি সাবেক ১৮০, ১৭৮, ২১৯, ৬২ দাগের ভূমি নামজারি জমা খারিজ করার জন্য সুমন মজুমদার গং ও অঞ্জু রাণী গংয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৩ জানুয়ারি মঙ্গলবার সরজমিনে তদন্তে আসলেন কচুয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইবনে আল জায়েদ হোসেন।
স্থানীয় সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহশীলদার) ইমাম হোসেন জানান, এ ভিপি সম্পত্তি নিয়ে দুপরিবারের মধ্যে দীর্ঘ বছর থেকে বিরোধ ও মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে। সম্প্রতি সুমন গং ও অঞ্জু রাণী গং নামজারি করার জন্য আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ৩ জানুয়ারি সরজমিনে তদন্তে আসেন এসিল্যান্ড। তিনি আরও জানান, সুমন গং আমার বিরুদ্ধে অহেতুক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন কথা বলে আমাদেরকে হয়রানি করে আসছে। বিরোধকৃত সম্পত্তির কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সিএস ৬৫নং খতিয়ানে সুমন গংয়েরও নাম হার অনুপাতে এবং অঞ্জু রাণী গংয়ের নামও রয়েছে হার অনুপাতে। দু’পরিবারই পাশাপাশি স্ব অবস্থান করছে। ইমাম হোসেন আরও বলেন, ভিপি খতিয়ান খ গেজেটে অঞ্জু রাণী গংয়ের নাম রয়েছে। আবার সুমন গংয়ের ভিপি খতিয়ানে কোনো নামই নেই। কিন্তু এসএ খতিয়ানে তাদের নাম রয়েছে। তদন্ত চলাকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভূমি অফিসের কানুনগো সাইফুল ইসলাম, সার্ভেয়ার তানিয়া আক্তার, গোহট উত্তর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহশীলদার) আবুল বাশারসহ স্থানীয় লোকজন।
তদন্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইবনে আল জায়েদ হোসেন বলেন, আমি দুপক্ষের বক্তব্য শুনেছি। কাগজপত্র পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।