প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০
পরাজয়ের সুনিশ্চয়ে
অত্যাচারের মাত্রা
একাত্তরে দেয় বাড়িয়ে
ডিসেম্বরের রাতরা।
রাত যেন সব কসাইখানা
পাকসেনারা জল্লাদ
রাজাকারের যোগসাজশে
বানায় হাজার কল-খাদ।
বাংলা মায়ের স্তন্যধারায়
রাজাকারের উদ্ভব
হানাদাররা মারলো মায়ের
বুদ্ধিজীবী পুত সব।
রাত দুপুরে ছাত্র সেজে
বাইরে নিয়ে ডাক দিয়ে
গুলি কিংবা দায়ের কোপে
প্রাণ কেড়েছে হাঁক দিয়ে।
চোখ বেঁধেছে হাত বেঁধেছে
মন যে বাধার সাধ্য নাই
বুদ্ধিজীবী বীর শহিদের
অন্ত কিংবা আদ্য নাই।
থাকলে যাঁরা দেশ আগাতে
বুদ্ধি দিতো সংকটে
রাজাকাররা তাঁদের মেরে
আজকে করে ঢং বটে!
আমার মতো তোমার মতো
তারাও করে অশ্রুপাত
তারাই ভাঙে মুজিব-ম্যুরাল
ভাস্কর্যে হয় বজ্রপাত।
জাতির সেরা বুদ্ধিজীবীর
শহিদ হওয়ার এই দিনে
কোকিলবেশী কাকগুলোকে
আসুন সবাই নেই চিনে।
এরাই হলো বাংলাদেশের
উন্নয়নের অন্তরায়
এরাই ছিলো আগের যুগে
মীরজাফর আর মন্থরায়।
চৌদ্দ তারিখ ডিসেম্বরের
শোক মাখানো দিন-দুপুর
একাত্তরের প্রেতাত্মাদের
আজ তাড়িয়ে দিন সুদূর।