প্রকাশ : ০২ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০
ষড়ঋতুর দেশটা বিশ্বপ্রপঞ্চ থেকে তিলে তিলে তিলোত্তমা,
সার্বিক সৌন্দর্য-সমাহারে বাংলাই হলো অনুপমা ॥
কোথায় হারিয়ে গেল গ্রীষ্মের দুপুরে শিশুর দুরন্তপনা,
হঠাৎ চক্রচ্যুত বর্ষা চলে এলো বাড়িয়ে উন্মাদনা ॥
বর্ষায় তার উচিত পানি নেই শীতে কাঁপিছে ধরণী,
শারদ প্রাতে শিশির কণার বদলে শুকনো পাতার ঝনঝনি ॥
হেমন্তে চুপিসারে আসে বসন্ত, কোকিল নাই দেশে,
ঋতু গুলির চক্রে এসেছে পরিবর্তন বিপরীত বেশে ॥
প্রকৃতি হারিয়েছে ঋতু চক্র, হারিয়েছে তার পরিচ্ছদ,
মাত্র ছয়টি ঋতু হারিয়েছে আবর্তন করা চক্রাবত ॥
সারা বিশ্ব আজ হতচকিত আবহাওয়ার এ পরিবর্তনে,
কত অধিবেশন, কত সম্মেলন করিতেছে এর সমাধানে ॥
মানুষ আজি বেসামাল অতৃপ্ত, যত সব ক্ষুধার অনলে,
প্রকৃতিও একদিন ধীর হবে বৈজ্ঞানিক বিগ-বেঙ শান্ত হলে ॥
প্রকৃতি হয়েছে ক্ষুব্ধ মানব চক্রের অশুভ কবলে,
সম্পূর্ণ দিগম্বর প্রকৃতি, ফিরে যেতে চাচ্ছে স্ব-রূপে ॥
প্রকৃতির আদিরূপ বর্ণনাতীত মনোহর লাগে চমক,
বিস্ময়াভিভূত যত কবি, দার্শনিক আর বিদেশী পর্যটক ॥
চরম অবস্থার বাংলাকে বিবর্ণ থেকে বাঁচাও হে প্রভু,
শাশ্বত-অমলিন বাংলার রূপটি যেন নষ্ট না হয় কভু ॥
বিমল কান্তি দাশ : কবি ও প্রবন্ধকার; অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষক, বলাখাল যোগেন্দ্র নারায়ণ উচ্চ বিদ্যালয় ও কারিগরি কলেজ, বলাখাল, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।