প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২২, ০০:০০
হাজীগঞ্জের ৫নং সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাকিল মাহমুদ টুকু হাজীগঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভিপতি আবু তাজের লিটন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জোবাইর সৈয়দ জানিয়েছেন। গত ২৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের এ ঘটনায় হাজীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন টুকু।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বলাখাল মডেল টাউনে শাকিল আহমেদ টুকুর ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে একটি বসতঘর রয়েছে। তিনি একজন জায়গার (ভূমি) ব্যবসায়ী। সে সুবাদে ওই বসতঘরে তিনি ব্যবসায়িক কাজ পরিচালনা করার জন্যে অফিস চালু রেখেছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে শাকিল আহমেদ টুকু তার অফিসে গিয়ে দেখেন অফিস ঘর ও আসবাবপত্র ভাংচুর করা অবস্থায় রয়েছে। এরপর তিনি অফিসের ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন অফিসের ওয়ার্ডরোবে রাখা সম্পত্তির দলিলসহ অন্যান্য কাগজপত্র ও নগদ ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা নেই।
এ সময় টুকু দেখেন, অফিসের বাইরে অভিযোগের বিবাদী আবু তাজের লিটন ভূঁইয়াসহ ১৫/২০ জন অজ্ঞাতনামা লোকজন দাঁড়িয়ে আছেন। লোকজন দেখে টুকু ভয়ে কাউকে কিছু না বলে সেখান থেকে চলে আসেন। এরপর তিনি বিষয়টি গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানান। একই সাথে এলাকার কয়েকজনকে নিয়ে আবার সেখানে যান। যাদেরকে অভিযোগপত্রে সাক্ষী রাখেন। পরে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে তিনি বিবাদী লিটন ভূঁইয়ার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাকে তেড়ে আসেন এবং গালমন্দ করেন। শাকিল মাহমুদ টুকু অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, এ সময় সাক্ষীদের উপস্থিতিতে লিটন ভূঁইয়া অফিসঘর ভাংচুরের কথা স্বীকার করেন এবং তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। এ বিষয়ে আবু তাজের লিটন ভূঁইয়ার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বরং আমার মাধ্যমে তার (শাকিল আহমেদ টুকু) কাছ থেকে একজনকে সম্পত্তি কিনে দিয়েছি। সে ওই ক্রেতার সাথে ঝামেলা শুরু করেছে। যার সালিসি বৈঠকও হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমি যাকে সম্পত্তি কিনে দেয়েছি, শাকিল আহমেদ তার কাছ থেকে আধা শতাংশ সম্পত্তি বিক্রি করবে বলে ৩ লাখ টাকা নিয়েছে। কিন্তু সে সম্পত্তির রেজিস্ট্রি করে দিচ্ছে না। এ নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর, ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকের উপস্থিতিতে সালিস বৈঠকও হয়েছে। এর মধ্যে সে আমার নামে মিথ্যা ও বানোয়াট একটি অভিযোগ থানায় দেয়।
জায়গা ক্রেতা পক্ষের সালিস সাংবাদিক সাখাওয়াত হোসেন জানান, টুকু ভাই যে অভিযোগ তুলেছেন আমার জানা মতে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ জানান, তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।