প্রকাশ : ১৫ মে ২০২২, ০০:০০
জীবন সোপান
বিষবৃক্ষ কখনো দেয় না সুমিষ্ট ফল,
হাঁটিতে অক্ষম ব্যক্তির হাতের যষ্ঠি হলো সম্বল।
হিংসুটে সহোদরেরও অসহ্য ভাইয়ের সচ্ছলতা,
সতত চেষ্টিত থাকে অপকৌশলে রোধের কথা।
কৃতঘ্নের অতি নিষ্ঠুর দন্ত বিদিত সর্বলোকে,
প্রভুভক্ত সারমেয় চেয়েও এরা নিকৃষ্টতম বটে।
হাঁটিতে শিখে না কেউ শৈশবে আছাড় না খাইলে,
জীবনে উত্থানের পর পতন আসবে সৃষ্টির নিয়মে।
অলসতা যদি কাউর বেঁধে ফেলে অবুঝ মন,
কর্মহীনতাই তাকে এনে দিবে জীবনের পতন।
সততা আর শৃঙ্খলা জীবনে উন্নয়নের চাবিকাঠি,
এ দুটি বিহনে জীবনের সব কিছুই হবে মাটি।
উৎকৃষ্ট স্বাদ যদি পেতে চাও এ কর্মময় জীবনের,
হাতের কাছের কাজগুলোর সমাপ্তি চাই অগ্রে সকলের।
যদি হতে চাও সমাজপতি ভালোবাসতে হবে নির্বিশেষে,
বিশ্বাসটা শুধুই মাত্র করতে হবে আপনি নিজেকে।
মেঘলা দিনে
মেঘলা দিনে ক্ষণে ক্ষণে যদি থাকে বাদলা,
শুধুই ঘরে বসে ভাবতে হয় অতীতকে একলা।
সুখময় সুপ্ত স্মৃতিগুলো জেগে করে পুলকিত,
অশুভ স্মৃতিগুলো জেগে উঠে মানুষকে করে ব্যথিত।
মানব জীবন বেদনাময় প্রতি পলে পলে,
মানুষকে ব্যস্ত থাকতে হয় ক্ষণিক সুখের আশে।
বাদলা দিনে, স্মৃতি কোষের দরজা খোলা থাকে,
চলে যাওয়া প্রিয় মুখগুলো, অবচেতন মনে উঁকি ঝুঁকি মারে।
বাদলা দিনে কেউ বা মিলে অতীতের সাথে অদৃশ্য বচসায়,
কেউ বা দল বেঁধে মেতে থাকে তাস-পাশা খেলায়।
বাদলা দিনের অবিরাম ধারায় খিচুড়ির আকাক্সক্ষা জাগায়,
পরিপূর্ণ তৃপ্তি দেয় সাথে ইলিশ অথবা বেগুন ভাজায়।
এ যে বাংলার রীতি, অবণীতে অবশ্যই জুড়ি মেলা ভার,
খাল-বিলে নতুন পানিতে ভরে জানায় আগমনী বার্তা বর্ষার।
মেঘলা দিনে মেঘ ভারী আকাশে অবিরাম শুধুই ঝরতে থাকে,
হালকা মেঘের আকাশে ভারি গর্জন সাথে বিদ্যুৎ চমকাতে থাকে।
মেঘলা দিনে কেউ বা কুটির শিল্প বুনে অতি সযতনে,
কেউ বা উপন্যাস পড়ে যায় একর পর এক আপন মনে।
ভারী মেঘলা দিনে বাহ্যিক কর্মমুক্ত দিবসে,
সারাটা দিন যেন নির্মল আনন্দে প্রার্থনায় কাটে।