প্রকাশ : ১২ মে ২০২২, ০০:০০
এক মণ দুধ নষ্ট করার জন্য যেমন এক ফোঁটা চনাই যথেষ্ট তেমনি ‘সর্ষের মধ্যে ভূত’ থাকলে কাঙ্খিত ফল লাভ হবে না, এটাই অতি স্বাভাবিক। এমন একটি দুর্লভ অথচ চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মাঠ প্রশাসনে। যার রেশ চাঁদপুর থেকে চট্টগ্রাম বিভাগ হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পর্যন্ত গড়িয়েছে। এর ফলে মাদক সংক্রান্তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ব্যাপকভাবে ভেস্তে যাওয়ার মারাত্মক উপক্রম হয়েছে। সেইসাথে চাঁদপুরের ওই চিহ্নিত মাদক কারবারিকে সামলাতে বা দমন করতে একাধিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে ভয়াবহভাবে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
শুধু তাই নয়, এতে দেশের কমপক্ষে চারটি জেলার পৃথক ছয়টি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিরপেক্ষ ভূমিকা ও তদন্ত প্রতিবেদন ব্যাপকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ ও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ার জোর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট বেশ ক'জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ দারুণভাবে বিতর্কিত হয়ে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সেইসাথে পৃথক পৃথক দুইটি ভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কর্তৃক (৫০০+৪২০) সর্বমোট ৯২০ পিস ইয়াবাসহ হাতেনাতে ধরা পড়া এবং একাধিকবার জেল-হাজত খাটা ওই চিহ্নিত ইয়াবা কারবারির বিরুদ্ধে চলমান মামলা দুইটি এবং একাধিক এফআইআর, এজাহার, জব্দ তালিকা ও চার্জশিটগুলো মারাত্মকভাবে অস্তিত্ব সংকটে পড়ার জোর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে অভিজ্ঞ ও পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মাঠ প্রশাসনের অভ্যন্তরে বহুল আলোচিত ও ব্যাপকভাবে সমালোচিত এবং সরকারি চাকরি শৃঙ্খলা বিধিমালা ভঙ্গকারী বা উপেক্ষাকারী তথা সরকারি চাকরি ক্ষেত্রে ভয়াবহ সেমসাইড সৃষ্টিকারী ওই কর্তার নাম হুমায়ুন কবির খন্দকার। তিনি পরবর্তীতে চট্টগ্রাম থেকে যশোহর বদলি হয়েছেন। বিতর্কের প্রবল ঢেউ সৃষ্টিকালীন তিনি চট্টগ্রামে ছিলেন উপ-পরিচালকের দায়িত্বে। এই ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি তার বিভাগের অভ্যন্তরে মারাত্মক লংকাকাণ্ড এবং ব্যাপক আইনি জঞ্জাল ও ভয়াবহ অনাসৃষ্টি করেন বলে চতুর্মুখী অভিযোগ উঠেছে। সেইসাথে তার বিরুদ্ধে জোরালো অভিযোগ উঠেছে যে, ওই চিহ্নিত মাদক কারবারি জহির মিজিকে রক্ষা করার জন্য তিনি ‘সর্ষের মধ্যে ভূত’ হয়ে কাজ করছেন। এর নেপথ্যে থলের বিড়ালের ন্যায় বেরিয়ে পড়েছে নানা রহস্যজনক তথ্য-উপাত্ত।
হুমায়ুন কবির খন্দকার এবং জহির মিজি দুসম্পর্কের আত্মীয় হলেও তাদের মধ্যে রয়েছে অত্যন্ত সুসম্পর্ক এবং সদ্ভাব। রয়েছে মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেনের গোপন সম্পর্ক। মাঝে মাঝে চাঁদপুর থেকে সোলার বক্সভর্তি ইলিশ মাছ যেতো চট্টগ্রামে ও কুমিল্লায় গ্রামের বাড়িতে। এই কর্তা-ব্যক্তির গোপন শলা-পরামর্শে জহির মিজি বাঁচার জন্য মানববন্ধন, সাংবাদিক সম্মেলন, ভিত্তিহীন অভিযোগ দায়ের, তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দেয়াসহ একের পর এক নানা অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। জহির মিজিকে দিয়ে এসব করিয়েই তিনি শুধু ক্ষ্যান্ত হননি, নিজেও চট্টগ্রাম থাকাকালীন সরাসরি ভুয়া তদন্ত প্রতিবেদন দিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের মাঠ প্রশাসনকে মারাত্মকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ এবং ব্যাপক লেজেগোবরে করেছেন। অবশ্য এজন্য তাকে চট্টগ্রাম থেকে যশোরে বদলি করা হয়। সেইসাথে তার এই ভুয়া তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার কারণে উল্লেখিত মামলাগুলোতে মারাত্মক জট পাকানোর এবং বিচার ব্যবস্থা ত্বরান্বিত হওয়ার ক্ষেত্রে বিরূপ পরিবেশ-পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার জোর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের মাঠ প্রশাসনে ‘সর্ষের মধ্যে ভূত’ হয়ে কাজ করে ব্যাপক লঙ্কাকাণ্ড ঘটানোর মারাত্মক অভিযোগ রয়েছে। রয়েছে সরকারি চাকুরি শৃঙ্খলা বিধিমালার মারাত্মক পরিপন্থী বেশকিছু কার্যকলাপ করার গুরুতর অভিযোগ। খবর সংশ্লিষ্ট একাধিক বিশ্বস্ত ও গোপন সুত্রের।
একটি সূত্র জানায়, বিগত ৫ ডিসেম্বর, ২০২০ খ্রিস্টাব্দ তারিখে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁদপুর জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তৎকালীন সহকারী পরিচালক এ.কে.এম দিদারুল আলমের নেতৃত্বে গঠিত রেইডিং টিম চাঁদপুর সদর উপজেলাধীন ১২নং চান্দ্রা ইউনিয়নের দক্ষিণ বালিয়া গ্রামের মোকতার আহাম্মদ মিজির পুত্র জহির মিজিকে ৪২০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত জনতার মধ্য থেকে দুইজন সাক্ষীর সম্মুখে আসামীর দেহ তল্লাশি করে তার নিজ দখল থেকে ৪২০ পিস ইয়াবা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চাঁদপুরে কর্মরত রেইডিং পার্টির সকল সদস্য এবং উপস্থিত সাক্ষীদের উপস্থিতিতে উদ্ধার এবং জব্দ করা হয়। এ বিষয়টি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মোঃ মজিবুর রহমান পাটোয়ারীকে মুঠোফোনে তাৎক্ষণিক অবহিত করা হয় এবং পরবর্তীতে লিখিতভাবেও জানানো হয়।
সূত্র জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামি জহির মিজির বিরুদ্ধে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এ.কে.এম দিদারুল আলম নিজে বাদী হয়ে একটি নিয়মিত মাদক মামলা ( নং ১৩,তারিখ ০৫/১২/ ২০২০ ইং) দায়ের করেন। উক্ত মামলার তদন্তভার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চাঁদপুরে কর্মরত পরিদর্শক বাপন সেনকে প্রদান করা হয়। তিনি ব্যাপক যাচাই-বাছাই, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ এবং উপযুক্ত সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করে বিগত ১৪ জানুয়ারি, ২০২১ ইং তারিখে বিজ্ঞ আদালতে মামলার অভিযোগপত্র (নং০৫,তারিখ:১৪/ ০১/২০২১ ইং) জমা দেন। মামলাটি বর্তমানে চাঁদপুরের বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, আসামি জহির মিজির পিতা মোঃ মোকতার আহাম্মদ মিজি তার পুত্রকে নির্দোষ দাবি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগের আবেদন করলে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য প্রধান কার্যালয়ের ০২ ফেব্রুয়ারি,২০২১ ইং তারিখের ৫৬৫ নং স্মারক মূলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ মজিবুর রহমান পাটোয়ারীর ওপর ন্যস্ত করা হয়। অতিরিক্ত পরিচালক আবেদনটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য ২২/২/২০২১ ইং তারিখের ১৪১ নং স্মারকপত্র মূলে চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক হুমায়ুন কবির খন্দকার-এর নিকট প্রেরণ করেন। বিষয়টি অভিযুক্ত সহকারী পরিচালক এ.কে.এম দিদারুল আলম অবহিত হওয়ার পর উক্ত তদন্তের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত পরিচালক চট্টগ্রাম মহোদয়কে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তনের জন্য মৌখিকভাবে অনুরোধ করেন এবং পরবর্তীতে তিনি বিষয়টি লিখিতভাবেও অবহিত করেন।
অপর একটি সূত্র জানায়, তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উপ-পরিচালক হুমায়ুন কবির খন্দকার উক্ত মামলার আসামি জহির মিজির দূসম্পর্কের আত্মীয় হওয়ার সুবাদে বিচারাধীন মামলার আসামিকে বাঁচানোর জন্য আসামির পক্ষ নিয়ে, আদালতে বিচারাধীন মামলাকে খালাস করার নিমিত্তে চান্দ্রা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, জনপ্রতিনিধি, চেয়ারম্যান, মেম্বার, মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল ও কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের প্রধানগণ এবং এলাকার নেতৃত্বস্থানীয় নেতৃবৃন্দকে জিজ্ঞাসাবাদ না করে একতরফাভাবে আসামির আত্মীয়-স্বজনদের সাক্ষ্য গ্রহণ করে এবং অভিযুক্ত সহকারী পরিচালকের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত করার লক্ষ্যে এবং মামলাগুলো থেকে আসামিকে খালাস করার নিমিত্তে এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে কর্মরত সকলের কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য সরাসরি সরকারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ব্যাপকভাবে কাজ করেছেন বলে অভিজ্ঞ ও পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন।
সূত্র জানায়, হুমায়ুন কবির খন্দকার আসামি জহির মিজিকে ব্যাপকভাবে প্ররোচিত করেছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য। হুমায়ুন কবির খন্দকার তার নিজস্ব তদন্ত প্রতিবেদন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পরিচালকের কাছে জমা না দিয়ে সরাসরি মহাপরিচালকের কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ করেন এবং তার একান্ত নিজস্ব তদন্তাধীন গোপনীয় তদন্ত প্রতিবেদনের একটি কপি গোপনে আসামি জহির মিজিকে সরবরাহ করেন। যা সম্পূর্ণ অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সম্পূর্ণ নীতি-নৈতিকতা বিরোধী। এহেন গর্হিত কাজ করে তিনি সরকারি চাকরি বিধিমালার অফিসিয়াল সিক্রেটস্ এ্যাক্ট ১৯২৩-এর ৫ ধারা সম্পূর্ণ উপেক্ষা ও ভঙ্গ করেছেন।
সূত্র জানায়, উপ-পরিচালক হুমায়ুন কবির খন্দকার চট্টগ্রাম জেলা তার প্রতিবেদনে মাদক ব্যবসায়ীকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য সম্পূর্ণ অসৎ উদ্দেশ্যে গোপনীয়ভাবে অফিশিয়াল নথি দিয়ে বিজ্ঞ আদালতে আসামিকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য এবং আসামি জহির মিজিকে বাদী হয়ে চাঁদপুরের বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি সি,আর মামলা দায়েরের সহজ সুযোগ করে দেন। সেখানে চাঁদপুরের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রেইডিং পার্টির ৭ সদস্যের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে একটি নালিশি মামলা অর্থাৎ সি.আর মামলা নং ৬৩২, তারিখ : ২১/ ৯/২০২১ ইং দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক সিআইডি চাঁদপুর ব্যাপক তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। সিআইডি ব্যাপক যাচাই-বাছাই, প্রয়োজনীয় ও সংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ সাপেক্ষে এবং উপযুক্ত সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে গত ৩১/১/২০২২ইং তারিখের ২০৮নং স্মারকপত্র মূলে বিজ্ঞ আদালতে গোপনীয় তদন্ত প্রতিবেদন হিসেবে জমা দিয়েছেন। সেখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে যে, চান্দ্রার মাদক আসামি জহির মিজি একজন প্রতিষ্ঠিত মাদক ব্যবসায়ী।
সূত্র আরও জানায়, তঞ্চকতামূলকভাবে তৈরি হুমায়ুন কবির খন্দকারের স্বজনপ্রীতির ও একতরফাভাবে প্রস্তুতকৃত ওই তদন্ত প্রতিবেদন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কার্যালয় গ্রহণ না করে পুনরায় তা সরজমিনে ব্যাপক তদন্তপূর্বক তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার জন্য চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ মজিবুর রহমান পাটোয়ারীকে নির্দেশ প্রদান করেন।
এমতাবস্থায় চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পরিচালক তার কার্যালয়ের ১৪/৯/২০২১ইং তারিখের ৬৮৬ নং স্মারকপত্র মূলে পুনরায় তদন্তের জন্য ৩ (তিন) সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে দেন। যেখানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম মেট্রোর উপ-পরিচালক মুকুল জ্যোতি চাকমা, নোয়াখালী জেলা প্রধান উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোদক এবং কুমিল্লা জেলা প্রধান সহকারী পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান সমন্বয়ে পুনঃতদন্ত করা হয়। তারাও সরজমিনে ব্যাপক ও নিরপেক্ষ তদন্ত কার্যক্রমের নিমিত্তে ব্যাপক যাচাই-বাছাই, প্রয়োজনীয় ও সংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহসহ উপযুক্ত সাক্ষ্য-প্রমাণাদি গ্রহণ করে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে তাদের তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। উক্ত তদন্ত টিম বিগত ১৪/১০/ ২০২১ ইং তারিখের ৫৭৩ নং স্মারকপত্র মূলে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। সেই তদন্ত প্রতিবেদনেও স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে যে, আসামি জহির মিজি একজন প্রতিষ্ঠিত মাদক ব্যবসায়ী।
এদিকে আবার গত ৬/১০/ ২০২১ ইং তারিখে চাঁদপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে আসামি জহির মিজিকে পুনরায় ৫০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করে। এই অভিযানকালে জহির মিজির সাথে শাহাদাত গাজী নামে আরও একজন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার হয়। এ ব্যাপারে চাঁদপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোঃ আব্দুস সালাম নিজে বাদী হয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন। চাঁদপুর সদর মডেল থানার মামলা নং ১০, তারিখ: ৭/১০/২০২১ ইং। অর্থাৎ জি.আর মামলা নং ৫৫৫/ ২০২১। এ ব্যাপারে চাঁদপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সরজমিনে ব্যাপক তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। উক্ত তদন্ত কর্মকর্তা মামলার সংশ্লিষ্ট ও প্রয়োজনীয় তথ্য- উপাত্ত সংগ্রহ, ব্যাপক যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে এবং উপযুক্ত সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে বিজ্ঞ আদালতে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী জহির মিজির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। চাঁদপুর সদর মডেল থানার অভিযোগপত্র নং ৬৫৩/২০২১, তারিখ: ১৩/ ১২/ ২০২১ ইং। যা বর্তমানে চাঁদপুরের বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।