প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০
চাঁদপুর পৌর বাস টার্মিনালের চাঁদপুর থেকে কুমিল্লাগামী বোগদাদ ও রিলাক্স বাস শ্রমিকদের মাঝে সংঘর্ষে এক শ্রমিক আহত ও একজন কে আটক করার খবর পাওয়া গেছে।
জানা যায়, চাঁদপুর-কুমিল্লা রূটে দীর্ঘ প্রায় ৩ যুগের মতো একক আধিপত্য বিস্তারকারী পরিবহন বোগদাদ বাস তাদের আধিপত্য বজায় রাখতে পৌর বাস টার্মিনালে তাদের নির্ধারিত কাউন্টার রেখে চাঁদপুর-কুমিল্লা সড়কের পাশে শহরের স্বর্ণখোলা রোডটির প্রবেশ মুখের অর্ধেক দখল করে অবৈধভাবে স্ট্যান্ড বানিয়ে রাস্তায় বাস রেখে যাত্রী পরিবহন করে আসছে।
এই অবস্থায় চলতি বছরে শুরুর দিকে চাঁদপুর-কুমিল্লা রূটে চালু হওয়া রিলাক্স পরিবহন একইভাবে স্বর্ণখোলা রোডের পশ্চিমাংশ দখল করে যাত্রী পরিবহনের চেষ্টা করছে। অপরদিকে আনন্দ পরিবহনও রাস্তা দখল করে যাত্রী পরিবহন করে আসছে।
এমন বিশৃঙ্খলার অভিযোগের প্রেক্ষিতে চাঁদপুর পৌর মেয়র অ্যাডঃ মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েলের নির্দেশে ১৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ কবির চৌধুরী ঘটনাস্থলে গিয়ে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে উল্লেখিত পরিবহনগুলোর চাঁদপুর প্রতিনিধিদের সাথে আলাপকালে বোগদাদ ও রিলাক্স পরিবহনের শ্রমিকরা সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। এতে বোগদাদ ট্রান্সপোর্টের শ্রমিক রিয়েল পাটোয়ারী আহত হন।
এ অবস্থা দেখে কাউন্সিলর মোঃ কবির চৌধুরী চাঁদপুর সদর মডেল থানা কে অবহিত করলে মডেল থানা পুলিশের টহল সদস্যরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও কাউন্সিলর কবির চৌধুরীর চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর উক্ত স্থানে সংঘর্ষের ঘটনায় বোগদাদ ট্রান্সপোর্ট চাঁদপুরের কর্মকর্তা সোলায়মানকে আটক করা হয়।
এক পর্যায়ে উভয় পরিবহনের কর্মকর্তা, শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের মধ্যস্থতায় বোগদাদ ট্রান্সপোর্ট কর্মকর্তা সোলায়মানকে কাউন্সিলরের জিন্মায় রাখা হয়।
এদিকে উদ্ভুত পরিস্থিতির বিষয়ে কাউন্সিলর মোঃ কবির চৌধুরীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, পৌর বাস টার্মিনালে বিশৃঙ্খলা নিরসনে মেয়র অ্যাডঃ মোঃ জিল্লুর রহমান মহোদয় আমাকে দায়িত্ব দেন। সরজমিনে এসে এ বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা চালাই। আমি এখানে আসার পর সবাইকে নিয়ে আলোচনা করা অবস্থায় অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটে। তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি তাৎক্ষণিক এই বিষয়ে মেয়র মহোদয়, পরিবহন মালিক, শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করেছি। আশা করছি বিষয়টি ২/১ দিনের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে।
তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে উভয় পরিবহন কর্মকর্তা ও শ্রমিকদের মাঝে উওেজনা বিরাজ করছিল। আবারো সংঘর্ষের আশংকায় রয়েছেন স্থানীয়রা।