প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
গৃদকালিন্দিয়া ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতাদের নিয়ে বৈষম্য ॥ প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
ফরিদগঞ্জ উপজেলার অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গৃদকালিন্দিয়া হাজেরা হাসমত ডিগ্রি কলেজে গত দেড় দশক ধরে কলেজ প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখা সদস্যদের স্বীকৃতি না দেয়া, তাদের নামাঙ্কিত অনার বোর্ড ফেলে দেয়া, অনিয়ম-দুর্নীতি প্রশ্রয় দেওয়াসহ সকল বৈষম্য দূরীকরণের দাবিতে মানববন্ধন ও কলেজের শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন এলাকাবাসী। ৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার কলেজের সামনে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তারা অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে জেলার অন্যতম সেরা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিতে প্রতিষ্ঠাতাদের যোগ্য সম্মান প্রদান এবং যথাস্থানে তাদের বসানোর আহ্বান জানান তারা।
জানা গেছে, ১৯৯৫ সালে ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নে গৃদকালিন্দিয়া হাজেরা হাসমত ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য হিসেবে বর্তমান বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ব্যাংকিং ও রাজস্ব বিষয়ক সম্পাদক ও চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোঃ হারুনুর রশিদ ভূমিকা রাখেন। এ সময় তিনি ব্যক্তিগত অর্থ দিয়ে ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে বিশালাকার কলেজের দ্বিতল ভবন নির্মাণে সহায়তা করেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের অনুদান প্রদান করেন। সংসদ সদস্য থাকাকালীন সরকারি অনুদান প্রদান করেন। এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডঃ আব্বাস উদ্দিনসহ অনেকেরই অবদান রয়েছে। কিন্তু গত দেড় দশকে আওয়ামী শাসনামলে তার সকল কিছুই সরিয়ে ফেলা হয়। এছাড়া একটি চক্র কলেজে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়ে অর্থ লোপাটের ঘটনা ঘটায়। লায়ন হারুনের ছবি ফেলে দেয়া হয়, যা দুঃখজনক।
এসব কারণে মঙ্গলবার স্থানীয় লোকজন, অভিভাবকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ কলেজের সামনে সাবেক এমপি লায়ন হারুনুর রশিদকে তার সম্মান ফিরিয়ে দেয়া, কলেজের সকল অনিয়ম ও দুর্নীতি রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। পরে তারা কলেজে শিক্ষক প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল খান, বিএনপি নেতা সেলিম পাটওয়ারী, জামাল খান, জাকির পাটওয়ারী, মাসুদ খান বাচ্চু এবং কলেজ শিক্ষক পরিষদের পক্ষে দেলোয়ার হোসেন। এ সময় বক্তারা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে আগামীতে বাস্তবসম্মত কলেজ গভর্নিং বডি গঠন ও সাবেক এমপি লায়ন হারুনুর রশিদকে সভাপতি করার দাবি জানান। একই সাথে বর্তমান সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান। তারা বলেন, এতদিন অনিয়ম হয়েছে, আমরা কথা বলার সুযোগ পাইনি। এখন কথা বলছি। আমরা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে সহযোগিতা করতে চাই। কিন্তু কোনো অনিয়মকে প্রশ্রয় দিবো না।
এ ব্যাপারে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ব্যাংকিং ও রাজস্ব বিষয়ক সম্পাদক ও চাঁদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোঃ হারুনুর রশিদ মুঠোফোনে বলেন, কলেজটি প্রতিষ্ঠায় অনেকের মতো আমারও অবদান রয়েছে। কিন্তু গত দেড় দশকে ইচ্ছাকৃতভাবে আমার ও আমার বাবার নাম মুছে ফেলা হয়। যা মোটেও সুখকর নয়। এসব বৈষম্য দূর হওয়া প্রয়োজন।