রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

১.২ মেট্রিক টন ধান থেকে চারা তৈরি করছেন ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট ॥
১.২ মেট্রিক টন ধান থেকে চারা তৈরি করছেন ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

ভয়াবহ বন্যায় দেশের পূর্ব-দক্ষিণাঞ্চলীয় ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লাসহ ১৬টি জেলার ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৩৮২ হেক্টর ফসলি জমিতে সম্প্রতি রোপণ করা আমন ধান সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। যা এ অঞ্চলের কৃষকদের জন্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রধান ফসল। ফলে কৃষকেরা হয়ে পড়েছেন নিঃস্ব ও অসহায়। এই অত্যাবশ্যক ফসলের ধ্বংস কেবল অগণিত কৃষকের জীবিকাকে হুমকির মুখে ফেলে দেবে না, বরং আমাদের জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তার জন্যেও মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করবে। অবিলম্বে এবং কার্যকর হস্তক্ষেপ ছাড়া কৃষকরা গুরুতর খাদ্য ঘাটতির সম্মুখীন হবে, সম্ভাব্যভাবে এ খাদ্য ঘাটতি সমগ্র জাতিকে প্রভাবিত করে একটি বিস্তৃত সঙ্কটে পরিণত হবে। তাই বন্যা পরবর্তী খাদ্য সঙ্কট রক্ষায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কৃষি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষকদের সমন্বয়ে বীনা ধান-১৭ ও বীনা ধান-২০-এর চারা তৈরির কাজ প্রাথমিকভাবে শুরু করেছেন। ৩০ লাখ ধানের চারা সফলভাবে তৈরি করতে পারবে বলে তারা আশাবাদী। পরবর্তীতে চারাগুলো বন্যা কবলিত এলাকায় বন্যার পানি শুকিয়ে যাবার পর কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হবে।

ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান দেশবরেণ্য কৃষি বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. এম এ রহিম জানান, এই জরুরি পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়া হিসেবে আমাদের কৃষকদের সমর্থন করার জন্যে, আমাদের কৃষি খাতকে রক্ষা করতে এবং আমাদের দেশের মঙ্গল রক্ষার জন্যে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়া অপরিহার্য। তাৎক্ষণিক প্রয়োজন মেটানোর জন্যে আমরা বন্যা কবলিত এলাকায় ৪ মিলিয়ন ধানের চারা বিতরণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা প্রায় ১০০ একর জমি কভার করবে। আমাদের ফোকাস বীনা ১৭ এবং বীনা ২০ জাতের ধানের চারা প্রদানের উপর, যা তাদের স্থায়িত্ব এবং স্থানীয় অবস্থায় উপযুক্ততার জন্যে পরিচিত।

তিনি আরো বলেন, ধানের চারা ছাড়াও আমরা শীতকালীন সবজির চারা প্রদান করছি ফসলের বৈচিত্র্যকে উন্নীত করতে এবং ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীকে আয় ও পুষ্টির অতিরিক্ত উৎস সরবরাহ করতে। এই সামগ্রিক সহায়তা কৌশলটি শুধুমাত্র কৃষকদের তাৎক্ষণিক ক্ষতি থেকে পুনরুদ্ধারে সাহায্য করার জন্যে নয় বরং ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলোর বিরুদ্ধে তাদের স্থিতিস্থাপকতাকে শক্তিশালী করার জন্যে ডিজাইন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ধানের চারা বিতরণ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক সম্প্রদায়ের ওপর উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ধানের চারা প্রদান কার্যক্রম কৃষকদের তাদের কৃষি কার্যক্রম পুনরায় শুরু করতে সাহায্য করবে, যা তাদের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সহায়তা কৃষকদের ফসল উৎপাদন করতে এবং আয় করতে ইতিবাচক মানসিক প্রভাব ফেলবে। তাদের জীবন পুনর্গঠনের, মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে ও সামগ্রিক সুস্থতায় অবদান রাখবে বলে ড. আবদুর রহিম আশা করেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়