প্রকাশ : ১১ জুন ২০২৪, ০০:০০
সরেজমিন প্রতিবেদন-১২ : বালিয়া ইউনিয়ন
মেম্বার, দলীয় নেতা ও কৃষক প্রতিনিধির মাধ্যমে বিতরণ করা হয় প্রণোদনা
চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের সাপদী ব্লকের দায়িত্বে রয়েছেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিকাশ রায়। বালিয়া ইউনিয়নে সরকারি কৃষি প্রণোদনা মেম্বার, কৃষক প্রতিনিধি ও দলীয় নেতাদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়। তাদের পছন্দের কৃষক পেয়ে থাকেন এসব প্রণোদনা। স্থানীয় এক ব্যক্তি এনে ২/৩ জনকে দেন। প্রান্তিক কৃষক পান না প্রণোদনা। সরকার অনেক কিছু দেয়। তবে নিরীহ কৃষকরা তা পান না। কৃষি অফিসার মাঝে মধ্যে আসেন। তিনি গ্রামে গ্রামে এসে কৃষকের নামের তালিকা তৈরি করলে কৃষকরা সঠিকভাবে প্রণোদনা পেতেন। দলীয় নেতা, মেম্বাররাও এসব প্রণোদনা বিতরণ করার জন্যে কৃষকের নাম দিয়ে থাকেন। এক কথায় বলা চলে, পছন্দের কৃষক পেয়ে যাচ্ছেন সরকারি প্রণোদনা। আর কৃষি অফিসার নিয়মিত যদি আসতেন তাহলে কৃষকরা প্রণোদনা সঠিকভাবে পেতেন।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিকাশ রায়ের বাড়ি রংপুরে। চাকরির সুবাদে চাঁদপুর শহরের ষোলঘর এলাকায় বসবাস করে আসছেন।
মধ্য সাপদী গ্রামের মোঃ মনির হোসেন পাটোয়ারী বলেন, কৃষি অফিসারকে আমাদের এখানে দেখি না। আগের কৃষি অফিসার সবসময় এসে খোঁজ-খবর নিতেন। বর্তমানে কেউই আসেন না।
কৃষক মজিব শেখ বলেন, কৃষি অফিসার মাঝে মধ্যে আসেন। সরকারি প্রণোদনা কিছুই পাই না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক’জন কৃষক বলেন, দলীয় নেতা, মেম্বার ও কৃষক প্রতিনিধির মাধ্যমে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ করা হয়। এরা তাদের পছন্দের কৃষকদেরকে প্রণোদনা দিয়ে থাকেন। সরকার অনেক কিছু দেয়। আমরা কিছু পাই না। কৃষি অফিসার ঠিকমত আসেন না।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল্যা পাটয়ারী বলেন, যে সকল কৃষককে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে আসলে তারা প্রকৃত কৃষক কিনা তা জানার জন্য মেম্বারদেরকে বলেছি। অনেক কৃষক টাকার জন্যে সার, ধান ও বীজ কিনতে পারেন না। সরকার কৃষকদেরকে অনেক কিছু দেয়।
এ ব্যাপারে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিকাশ রায় বলেন, আমি এ ব্লকে নতুন, তাই অনেকে আমাকে চিনেন না। আমি নিয়মিত ব্লক এলাকায় গিয়ে কৃষকদের খোঁজ-খবর নিয়ে থাকি। সরকারি প্রণোদনা সীমিত। সকল কৃষকদেরকে এক সাথে দেওয়া সম্ভব নয়।