প্রকাশ : ১৯ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০
ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৪নং সুবিদপুর ইউনিয়নের ঘড়িহানা কমিউনিটি ক্লিনিক নানা রকম অনিয়মে জর্জরিত। এই নিয়ে এলাকার মানুষের নিকট নানা প্রশ্ন ও ক্ষোভ বিস্তার করছে।
এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক’জনের মৌখিক অভিযোগের আলোকে গত ১৭ ডিসেম্বর শনিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, সকাল ১০টা ২০ মিনিটে ক্লিনিকটি তালাবদ্ধ। এ সময় ক্লিনিকের পার্শ্ববর্তী দোকানের নিকট অনেকের সাথে কথা হলে তারা বলেন, এটাতো সাড়ে দশটার আগে খোলা হয় না। ‘ক্লিনিকটি কে খোলে’ জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন, যিনি এখানে দায়িত্বরত স্বাস্থ্য সেবাদানকারী তিনি প্রতিদিন ১১টার পরে আসেন। এলাকার অন্য ক’জন আছেন, এরা প্রতিদিন সাড়ে দশটার দিকে এসে খোলেন। এ সময় দেখা যায় একজন মেয়ে এসে ক্লিনিকের দরজা খুলছেন। তখন সকাল ১০টা ২৭ মিনিট। তিনি ভেতরে ঢুকলে তার কিছুক্ষণ পরে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, প্রতিদিনই এই সময় ক্লিনিকটি খোলেন। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, হাসপাতালটি খোলার নিয়ম কয়টায়। তিনি বললেন, সকাল ১০টায়। তিনি আরো বলেন, ক্লিনিকের দায়িত্বরত সিএইচসিপি সুমন ১১টার পরে আসেন। এ ক্লিনিকে তারা মোট ৭ জন ভলান্টিয়ার আছেন। প্রতিদিন তারা ভাগ করে একজন করে ক্লিনিকটি খোলেন।
সিএইচসিপি সুমনের আন্তরিকতার অভাবে ক্লিনিকের ভেতরে একেবারেই নোংরা পরিবেশ বিস্তার করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক ব্যক্তি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, সুমন এলাকার ছেলে হিসেবে আমাদেরকে উপযুক্ত স্বাস্থ্যসেবা দিতে পারতো। কিন্তু তিনি কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনা না করে সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন তার নিজস্ব হাসপাতাল এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার নিয়ে।
এ বিষয়ে সুমনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, তিনি প্রতিদিনই সকাল ৯টায় ক্লিনিক খোলেন এবং কোনো রকম অনিয়ম করেননি।
বিষয়টি নিয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত ইউএইচও ডাঃ আশরাফ আহমেদ চৌধুরীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো প্রতিদিন সকাল ৯টায় খোলার কথা রয়েছে। কিন্তু ঘড়িহানা কমিউনিটি ক্লিনিকে এ ধরনের খামখেয়ালিপনা সহ্য করার মতো নয়। তিনি এ বিষয়ে খবরাখবর নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।