প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
স্থায়ীভাবে চাঁদপুর সেতুর টোল ও ইজারা বন্ধ চায় চাঁদপুরবাসী
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার স্মারকলিপি
স্থায়ীভাবে চাঁদপুর সেতুর টোল ও ইজারা বন্ধের দাবি চাঁদপুরবাসীর দীর্ঘদিনের। বারবার উদ্যোগ নেয়ার পরেও এটি বন্ধ হচ্ছে না। এবার চাঁদপুর সেতুর টোল ও ইজারা বন্ধে পদক্ষেপ নিতে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে চাঁদপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা।
২০ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার একটি প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন। চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ বশির আহমেদ।
এতে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতা স্বৈরশাসন থেকে মুক্তি পেতে ৫ আগস্ট (প্রতীকী ৩৬ জুলাই) রাজপথে নেমে আসে জীবন উৎসর্গের নিমিত্তে এবং একইদিনে ছাত্র-জনতা তাদের দাবি বাস্তবায়ন করে। ২০২৪-এর গণআন্দোলনের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিলো দেশের চলমান অনিয়ম সংস্কার করা। প্রায় দুইদশক আগে চাঁদপুর সদর উপজেলায় গাছতলা এলাকায় ডাকাতিয়া নদীর উপরে ১৮ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয় করে ‘চাঁদপুর সেতু’ নির্মাণ করা হয়। যা চাঁদপুর সড়ক বিভাগাধীন কুমিল্লা-লালমাই-চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর-বেগমগঞ্জ সড়কের ৬৯ কিলোমিটারে অবস্থিত।
চাঁদপুর সেতু থেকে এযাবৎকাল পর্যন্ত নির্মাণ ব্যয়ের অধিক পরিমাণ রাজস্ব আয় করেছে সরকার। কিন্তু টোল আদায় স্থায়ীভাবে বন্ধ করার কোনও প্রয়াস দেখা যাচ্ছে না। আমরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা চাঁদপুরের গণমানুষের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ‘চাঁদপুর সেতুর’ চলমান টোল আদায় এবং ইজারা স্থায়ীভাবে বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি।
স্মারকলিপিতে আরো উল্লেখ করা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার জনস্বার্থে ২০১৪ সালে ৩৫.০০.০০০.০৩০.১৫.০০১.২০১৪- ০৬ সংখ্যক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে ২০০ মিটারের কম দৈর্ঘ্যরে ২১টি সেতুর টোল স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়। কিন্তু ‘চাঁদপুর সেতু’ ২৪৮ মিটার দৈর্ঘ্য হওয়ায় টোল কার্যক্রম চলমান থাকে যা জনস্বার্থ বিরোধী এবং গণদাবির পরিপন্থী। এমতাবস্থায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা চাঁদপুরের গণমানুষের দাবির প্রেক্ষিতে মাননীয় উপদেষ্টাকে ‘চাঁদপুর সেতু’ সকল প্রকার টোল ও ইজারা জনস্বার্থে স্থায়ীভাবে বন্ধের জন্যে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।
ছাত্রজনতার গণস্বাক্ষর সম্বলিত এই স্মারকলিপির অনুলিপি চাঁদপুরের পুলিশ সুপার এবং সওজ ও সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়েও প্রদান করা হয়।