বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

তীব্র গরমে পথচারীদের তৃষ্ণা মেটালেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা

প্রবীর চক্রবর্তী ॥
তীব্র গরমে পথচারীদের তৃষ্ণা মেটালেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা

রিকশা চালিয়ে যাওয়ার সময় এক মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থী ছুটে এসে একগ্লাস ঠাণ্ডা শরবত হাতে তুলে দিলো এক কর্মজীবী রিকশাচালককে। তীব্র গরমে ঠাণ্ডা শরবত পান করে খুশি হন তিনি। এভাবেই তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ পথচারীদের শরবত পান করিয়ে স্বস্তি দিলেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার ইকরা মডেল মাদ্রাসা এন্ড একাডেমির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। ২৮ এপ্রিল রোববার সকালে উপজেলা সদরস্থ এ. আর. সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে ড্রাম ভর্তি করে শরবত বানিয়ে প্রায় ঘন্টাব্যাপী শত শত পথচারী, বিভিন্ন গাড়ি চালক, স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থী, দিনমজুর ও ব্যবসায়ী সকলকে পান করানো হয়। এ সময় তীব্র রোদের মধ্যে ঠাণ্ডা শরবত খেয়ে নিজেদের তৃষ্ণা মিটানোর সাথে সাথে এ উদ্যোগের জন্যে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট সকলকে।

বাজার ব্যবসায়ী ম্যাগাজিন হাউজের স্বত্বাধিকারী মাওঃ তাজুল ইসলাম বলেন, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এই ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ দেয়া উচিত। আশা করি বিভিন্ন সংগঠন এভাবে এগিয়ে আসবে।

ব্যবসায়ী মাহমুদ পাটওয়ারী বলেন, তীব্র গরমে নিজেদের গরমের কথা ভুলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ঠাণ্ডা শরবত খাওয়ার মাধ্যমে মানবিকতার এক দৃষ্টান্ত দেখালেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রিকশাচালক বললেন, শরবত খেয়ে প্রাণ জুড়িয়ে গেছে। নিজের নাম প্রকাশ করে তাদের খাটো করতে চাই না।

মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আবুল কাশেম বলেন, আমাদের ইসলাম ধর্মে রয়েছে দুর্যোগ মুহূর্তে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর তাগিদ। সেই হিসেবে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।

এ ব্যাপারে ইকরা মডেল মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাওঃ জাকির হোসেন বলেন, তীব্র গরমের মধ্যে আমরা একটি হলেও বৈদ্যুতিক পাখার নিচে শীতল পরিবেশ পাচ্ছি। কিন্তু যারা তীব্র গরমের মধ্য দিয়ে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করছেন তাদের জন্যে আমাদের প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এই শরবত খাওয়ানোর চেষ্টা করেছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়