প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
কচুয়ায় ভুয়া কাবিননামা তৈরি করে কাজী ও সহযোগী কারাগারে
কচুয়ায় মুনতাসীর শাকিল নামে এক ব্যক্তির স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া কাবিননামা তৈরি করায় উপজেলার কাদলা ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী মোঃ মাহমুদুল হাসান ও তার সহযোগী মোহাম্মদ উল্লাহ আশরাফ জেলা জজ আদালতে হাজির হলে আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে কাজী ও তার সহযোগী জেলা জজ আদালতে হাজিরা দিতে এলে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মহসিনুল হক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। কাজী মোঃ মাহমুদুল হাসান ও তার সহযোগী মোহাম্মদ উল্লাহ আশরাফ কচুয়া উপজেলার বরইগাঁও গ্রামের মৃত মাওলানা আবদুর রবের ছেলে।
মামলার বাদী হলেন কচুয়া উপজেলার আইনগীরী নাউলা গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে মুনতাসীর শাকিল।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৫ এপ্রিল মুনতাসীর শাকিল হাজীগঞ্জ আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। ওই মামলায় উল্লেখ করা হয়, নাউলা গ্রামের আবদুল হাকিমের মেয়ে লাহিনূর আক্তার লুনা (৩৬) কাদলা ইউনিয়নের কাজী মোঃ মাহমুদুল হাসান ও তার সহযোগী মোহাম্মদ উল্লাহ আশরাফের যোগাসাজসে মুনতাসীর শাকিলের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া কাবিননামা তৈরি করে। যে কারণে শাকিল মামলা করেন। ওইদিন শাকিল ওমানে (প্রবাসে) ছিলেন।
মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে তদন্তের জন্যে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ে পাঠায়। মামলাটি তদন্তের জন্যে দায়িত্ব পান পিবিআই উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ শরীফ উল্লাহ। তিনি মামলাটি তদন্ত করে ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী শেখ আবদুল লতিফ ও মোঃ হেলাল উদ্দিন। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডঃ চৌধুরী আবুল কালাম আজাদ।