প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
আধা কিলোমিটার সরু সড়কে ২শ’ পরিবারের দুর্ভোগ
মাটির তৈরি সরু সড়কের দৈর্ঘ্য মাত্র আধা কিলোমিটার। সড়কের এই অংশে মসজিদ মন্দিরসহ ৩০টি বাড়ির কমপক্ষে ২শ’ পরিবারের বসবাস। এসব পরিবারের সদস্য সংখ্যা প্রায় সহস্রাধিক। এই সহস্রাধিক লোকের চলাচলকারী সড়কে বর্ষা মৌসুমে রোগী আনা নেয়া, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী, বয়স্কদের চলাচলে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটে আসছে বহু বছর ধরে।
সরজমিনে দেখা যায়, হাজীগঞ্জের বাকিলা ইউনিয়নের ফুলছোঁয়া গ্রামের উত্তর পূর্ব কোণে সম্প্রীতির বন্ধনে হিন্দু ও মুসলিম মিলিয়ে কমপক্ষে দুশ’ পরিবারের বসবাস। এই পরিবারগুলোর যাতায়াতের একটি মাত্র মাটির সড়ক রয়েছে। এটি এতোটাই সরু যে দুজন লোক একসাথে হাঁটতে পারে না। এই সড়ক ব্যবহারকারী পরিবারগুলোর ধর্মীয় উপাসনার জন্যে রয়েছে একটি মন্দির আর একটি মসজিদ। পড়ালেখা করতে হলে এই সরু সড়ক ব্যবহার করে মক্তব, প্রাথমিক, মাধ্যমিক কিংবা কলেজ যেতে হয় শিক্ষার্থীদের। সরু সড়কের কারণে সন্তানসম্ভবা নারী রোগী কিংবা একেবারে প্রৌঢ় কাউকে চিকিৎসার জন্যে বাড়ির বাইরে নিলে কোনো পরিবহণ মিলে না। এভাবেই সুবিধা বঞ্চিত হয়ে আসছে এই দুশ’ পরিবার।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাটির সরু এই সড়কটি ফুলছোঁয়া জামিয়া কুরআনিয়া মাদরাসা থেকে মাটির রাস্তা ধরে বেপারী বাড়ি হয়ে পণ্ডিত বাড়ি, মনা গাজি বাড়ি, উত্তর শীল বাড়ি, বেপারী বাড়ি, দক্ষিণ শীল বাড়ি, বড় পণ্ডিত বাড়ি, ছোট বেপারী বাড়ি, নোয়া বাড়ি, নসা গাজী বাড়ী, মুনসী বাড়ি, আতার বাড়ি, সর্দার বাড়ির মধ্য হয়ে বোরখালের রাস্তায় মিশেছে। সড়কের এই সরু অংশটুকু প্রশস্ত আর উঁচু করে দিলে এই সকল পরিবারের চলাচলের সমস্যা স্থায়ীভাবে সমাধান হবে বলে জানান স্থানীয়রা।
সরু সড়ক ধরে চলাচলকারী মৌলভী আব্দুর রহিমের ছেলে হাকিম তাজুল ইসলাম গাজী (৫৫), মনা পণ্ডিত বাড়ির মৃত মুন্নাফের পুত্র রুস্তম আলী (৫৪), পণ্ডিত বাড়ির মৃত ছেরাজলের পুত্র আবুল কাশেম (৫৮) ও মৃত গোপাল চন্দ্র শীলের ছেলে সুমুমার চন্দ্র শীল বলেন, সরকারের আকাশছোঁয়া উন্নয়নের দিকে তাকিয়ে বাড়ির রাস্তায় ঢুকলে নিজেদেরকে বড় বেমানান মনে হয়। আত্মীয়-স্বজনকে বাড়ি আনতে পারি না লজ্জায়, ছেলে-মেয়েদের ভালো পরিবারে আত্মীয়তা করতে গেলে অনেকে রাস্তার সমস্যার কারণে আত্মীয়তা করতে চায় না।
নোয়া বাড়ির মৃত ইদ্রীস আলীর ছেলে আবুল কালাম (৫২) জানান, বর্ষাকালে বাচ্চারা স্কুলেই যেতে পারে না রাস্তার অভাবে।
এ বিষয়ে বাকিলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান ইউসুফ পাটোয়ারী জানান, আমার সময়ে মন্দিরের কাজ করে দিয়েছি, রাস্তাটি ছোট ছোট বরাদ্দ দিয়ে সংস্কার করার উদ্যোগ নেবার পরেই আমাদের নির্বাচন চলে আসে।
বর্তমান চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিলন জানান, আসছে বাজেটে বরাদ্দ দিয়ে আমরা সড়কটির কাজ করে দেবো।