বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ২২ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

শাহরাস্তির আবুল কাশেম হত্যার রহস্য উন্মোচন

চায়ের কেটলির গরম পানিতে দোকানিকে হত্যা, আসামী গ্রেপ্তার

মোঃ মঈনুল ইসলাম কাজল ॥
চায়ের কেটলির গরম পানিতে দোকানিকে হত্যা, আসামী গ্রেপ্তার

শাহরাস্তি উপজেলার কালচোঁ গ্রামে রাস্তার পাশের চা দোকানি আবুল কাশেম (৬৫) ক্রেতাকে ৫শ’ টাকার নোট ভাংতি নেই বলায় বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে চুলার কেটলিতে থাকা চায়ের গরম পানি ঢেলে তাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থানার মোঃ বাবুল (৪৭)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ২০ এপ্রিল শনিবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত আসামী বাবুলকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে চাঁদপুর আদালতে পাঠিয়েছে শাহরাস্তি থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃত বাবুল সোনাইমুড়ি থানার আমকি গ্রামের পাঠান বাড়ির মৃত লোকমান হোসেন ওরফে লোকমান ডাকাতের ছেলে। হত্যার শিকার আবুল কাশেম শাহরাস্তি উপজেলার কালচোঁ গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ জানায়, গত ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল আনুমানিক সাড়ে ৬টার দিকে আবুল কাশেম তার দোকান খুলে বসেন। এ সময় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি মোঃ বাবুল ও তার সহযোগী দুজন মোটরসাইকেল আরোহী ওই চা দোকানে বসেন। তারা তিনজন ওই দোকানে চা পান করেন এবং চা পান করা অবস্থায় সিগারেট চান। সিগারেটও দেয়া হয়। তার বিল প্রদানের জন্যে দোকানি আবুল কাশেমকে ৫০০টাকার নোট দেন। এত সকালে ৫০০টাকার নোটের ভাংতি নেই বললে তাদের সাথে তর্ক-বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে গ্রেপ্তারকৃত আসামী বাবুলসহ তিনজন দোকানির মাথায় আঘাত করে এবং চুলার কেটলিতে থাকা চায়ের গরম পানি শরীরে ঢেলে চলে যায়।

ওই অবস্থায় আবুল কাশেম চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল অনুমান পৌনে ৬টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় দোকানির ছেলে মোঃ শরীফ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি তদন্ত করার জন্যে থানার পুলিশ পরিদর্শক মোঃ মফিজুল ইসলামের ওপর দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি তদন্তকালীন সময় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রেপ্তারকৃত আসামী ঘটনার দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন মর্মে নিশ্চিত হন। এরপর ১৯ এপ্রিল শুক্রবার নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থানা পুলিশের সহযোগিতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আসামী বাবুলের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন।

গ্রেপ্তারকৃত আসামী বাবুল পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনা স্বীকার করেন এবং তার সঙ্গে সহযোগী হিসেবে পলাতক আসামী নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থানার কেগনারখিল গ্রামের পারভেজ এবং চাটখিল থানার ফতেপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান ওরফে সোহেলের কথা জানান। তারা সোহেলের মোটরসাইকেলযোগে শাহরাস্তি থানাধীন কালচোঁ এলাকায় আসেন। চা ও সিগারেট নেয়ার পর ৫০০টাকার ভাংতি নিয়ে তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে গরম পানি ঢেলে এবং মাথায় আঘাত করে মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

শাহরাস্তি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে চাঁদপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তার করার জন্যে চেষ্টা অব্যাহত আছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়