বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

চালের বস্তায় মূল্য ও উৎপাদন তারিখ লেখা বাধ্যতামূলক

চাঁদপুরে মিল মালিকদের সাথে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের মতবিনিময়

স্টাফ রিপোর্টার ॥
চাঁদপুরে মিল মালিকদের সাথে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের মতবিনিময়

মিলে উৎপাদিত চালের বস্তার গায়ে ধানের নাম, মিলের ঠিকানা, মূল্য ও উৎপাদনের তারিখ লেখা বাধ্যতামূলক করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। গত দুই মাস আগে জারি করা এ পরিপত্র কার্যকর হচ্ছে ১লা বৈশাখ থেকে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

১৫ এপ্রিল সোমবার দুপুরে চাঁদপুরের প্রধান ব্যবসা বাণিজ্য এলাকা পুরাণবাজারে বেশ ক’টি ধানের মিল পরিদর্শন করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ নূর হোসেন।

এ সময় তিনি পুরাণবাজারের খাজা অটো রাইস মিল, বাবা অটো রাইস মিল, মৌসুমি অটো রাইস মিল, আজমেরি অটো রাইস মিল পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি চাঁদপুর জেলা অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন।

উপস্থিত ছিলেন সমিতির সভাপতি রহিম সরকার, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম কিশোর, সাবেক সভাপতি পরেশ মালাকার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ চৌধুরী, পুরাণবাজার ফাঁড়ির এএসআই মোঃ আলী হোসেন ও ক্যাব চাঁদপুর শাখার দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব সরকার।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চাঁদপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ নূর হোসেন ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, চাঁদপুরের ধানের মিল মালিকদের ব্যবসায়িক সুনাম রয়েছে। এই সুনাম ধরে রেখে আপনারা ব্যবসা পরিচালনা করবেন। খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সেটি বাস্তবায়নে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। যাতে ভোক্তাগণ প্রতিটি চালের বস্তায় ধানের মূল্য, উৎপাদন এবং মেয়াদের তারিখ লেখা দেখতে পান। সেটি আপনারা নিশ্চিত করবেন।

এ সময় ব্যবসায়ীরাও সরকারের নির্দেশনা মেনে ব্যবসা পরিচালনা করতে চালের বস্তায় মূল্য, উৎপাদন তারিখসহ যাবতীয় তথ্য লেখার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, আগামী দুই-একদিনের মধ্যে সমিতির সদস্যদের নিয়ে সভা করে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

উল্লেখ্য, গত ২১ ফেব্রুয়ারি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। মন্ত্রণালয়ের বার্তায় বলা হয়, চালের বস্তায় ধানের জাত ও মিল গেইটের মূল্য লিখতে হবে। সেই সঙ্গে লিখতে হবে উৎপাদনের তারিখ ও প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নাম। উল্লেখ করতে হবে প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের অবস্থানও (জেলা ও উপজেলা)। ওজনের তথ্যও থাকতে হবে।

এদিকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসমাইল হোসেনের স্বাক্ষর করা এক নির্দেশনায় বলা হয়, সম্প্রতি দেশের চাল উৎপাদনকারী কয়েকটি জেলায় পরিদর্শন করে নিশ্চিত হওয়া গেছে বাজারে একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল ভিন্ন ভিন্ন নামে ও দামে বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে গেলে বা হঠাৎ বৃদ্ধি পেলে মিলার, পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। এতে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে পছন্দমত জাতের ধানের চাল কিনতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। অনেক ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ অবস্থার উত্তরণের লক্ষ্যে চালের বাজার মূল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে ধানের নামেই যাতে চাল বাজারজাতকরণ করা হয় তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এবং এ সংক্রান্ত কার্যক্রম মনিটরিংয়ের সুবিধার্থে নির্দেশনায় কয়েকটি বিষয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে রয়েছে চালের উৎপাদনকারী মিল মালিকদের গুদাম থেকে বাণিজ্যিক কাজে চাল সরবরাহের প্রাক্কালে চালের বস্তার ওপর উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ, মিল গেইট মূল্য এবং ধান/ চালের জাত উল্লেখ করতে হবে। বস্তার ওপর এসব তথ্য হাতে লেখা যাবে না।

চাল উৎপাদনকারী মিল মালিকের সরবরাহ করা সব ধরনের চালের বস্তা ও প্যাকেটে ওজন (৫০/২৫/১০/৫/১) উল্লেখ থাকতে হবে। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। এক্ষেত্রে মিল গেইট দামের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান চাইলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ করতে পারবে।

এর ব্যত্যয় ঘটলে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুদ, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩-এর ধারা ৬ ও ধারা ৭ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আইনটির ধারা-৬-এর অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার সুযোগ রয়েছে। আর ধারা-৭-এর শাস্তি হিসেবে রয়েছে সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড অথবা ১৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়