শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ২১ জুন ২০২৩, ০০:০০

পানিতে ডুবে যাওয়া বৃদ্ধাকে বাঁচিয়ে আলোচনায় ফরিদগঞ্জের ওসি আবদুল মান্নান
প্রবীর চক্রবর্তী ॥

গুরুত্বপূর্ণ কাজে যাওয়ার সময় নিজের কর্তব্য মনে করে তিনি থামলেন। তারপর দ্রুত পানিতে পড়ে থাকা বৃদ্ধাকে লোকজনের সহায়তায় উঠিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত হাসপাতালে পাঠিয়ে প্রাণ বাঁচালেন তিনি। শুধু তাই নয়, কিছুক্ষণ পরপর মুঠোফোনে তার অবস্থা, পরিচয় নিশ্চিত না হওয়ায় সমাজসেবা কর্মকর্তাকে ফোনের মাধ্যমে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে অনুরোধ--সবকিছুই করেছেন তিনি । তিনি আর কেউ নন, ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আঃ মান্নান। ঘটনাটি গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের খাজুরিয়া এলাকার।

জানা গেছে, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রথ যাত্রা উৎসব মঙ্গলবার উপজেলার ৪টি স্থানে অনুষ্ঠিত হয়। ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আঃ মান্নান গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের গুপ্টি বাজারের সন্নিকটস্থ সেনবাড়ির রথযাত্রা উৎসবের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখার জন্যে নিজেই গাড়ি যোগে ছুটে চলেন। এরই মধ্যে তার কাছে সংবাদ আসে, গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের খাজুরিয়া বাজারের একটি পুকুরের পানিতে একজন বৃদ্ধাকে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। তিনি দ্রুত আশপাশের লোকজনকে বৃদ্ধাকে উদ্ধারের নির্দেশ দেন। কয়েক মিনিটের মধ্যে তিনিও ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এ সময় লোকজন বৃদ্ধাকে পানি থেকে কিছুটা উপরে তুলে নিয়ে আসে। ওসি আঃ মান্নানের কথামতো ওই বৃদ্ধাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিলে তার পেট থেকে কিছু পানি বের হয়ে যায়। ফলে তার জীবিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে সাথে দিয়ে তিনি দ্রুত গাড়িযোগে বৃদ্ধাকে ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেন।

বৃদ্ধার কোনো পরিচয় না পাওয়ায় ওসি নিজের দায়িত্ববোধ থেকে কিছুক্ষণ পরপর হাসপাতালে থাকা পুলিশ কর্মকর্তাকে চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে ফোন নেন। শুধু তাই নয়, অজ্ঞাত অসুস্থ এ মানুষটির পরিবারের খোঁজখবরের চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার ও বিভিন্ন কৌশলে খোঁজখবর নিচ্ছেন তিনি। বৃদ্ধার চিকিৎসা সরঞ্জাম ও খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থাও করেছেন মানবিক এই ওসি। একই সাথে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে পরিচয় নিশ্চিত হওয়া না পর্যন্ত তাকে সহায়তা করার অনুরোধ করেন।

এদিকে পুলিশের এই কর্মকর্তার এমন মানবিক আচরণে সাধারণ জগগণের কাছে তিনি প্রশংসায় পঞ্চমুখ। মানুষের এমন প্রশংসার বিষয়ে নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে ওসি মোঃ আব্দুল মান্নান বলেন, আমাদের দায়িত্বই হচ্ছে মানুষের সেবা করা। আইনী সেবা ছাড়াও যখন কোনো অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি, তখন নিজেকে ভাগ্যবান মনে হয়। তিনি আরো বলেন, আমার মনে হয়েছে, বৃদ্ধা মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। তাই তার পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাই তাকে সেবা ও সহযোগিতা করা আমার কর্তব্য।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়