আগামীকাল ২৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরেও ব্যাপক আয়োজনে অনুষ্ঠিত হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জ্ঞানের দেবী, বিদ্যার দেবী শ্রীশ্রী সরস্বতী পূজা। এদিন বিশুদ্ধ পঞ্জিকামতে শ্রীপঞ্চমী পূতঃতিথিতে শ্বেতপদ্মে অধিষ্ঠাত্রী মহাশ্বেতা, বাকদেবী শ্রীশ্রী সরস্বতী দেবীর রাতুল চরণে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করবেন শিক্ষার্থীসহ আয়োজকগণ। দেবী পূজার লক্ষ্যে আজ ২৫ জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যারাত্রির পর থেকেই শুরু হবে প্রতিটি পূজামণ্ডপে সরস্বতী দেবীর প্রতিমা স্থাপন কার্যক্রম। তারা ঢাক-ঢোল, বাদ্য-বাজনা সহকারে আনন্দণ্ডউৎসাহের মধ্য দিয়ে সরস্বতী প্রতিমা নিয়ে আসবেন স্ব স্ব পূজামণ্ডপে। পূজার দিন সন্ধ্যারাত্রি থেকেই শুরু হবে প্রতিমা দর্শন কার্যক্রম আর পরদিন ২৭ জানুয়ারি শুক্রবার বিকেলে চাঁদপুর শহরের হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে প্রতিমা সহকারে শুরু হবে চাঁদপুরের ঐতিহ্যবাহী শ্রীশ্রী সরস্বতী পূজার বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা।

আয়োজকদের ধারণা, এ বছর পূজায় ব্যাপক দর্শনার্থীর দর্শন মিলবে। তাদের ধারণামতে, বৈশ্বিক করোনার কারণে স্বাস্থ্যগত বিধি নিষেধ থাকায় গত দু বছর নিয়মের পূজা অনুষ্ঠিত হলেও কঠোর বিধিনিষেধের কারণে পূজার আয়োজনে তেমন চাকচিক্য ছিলো না। ছিলো না দর্শনার্থীদেরও তেমন উপস্থিতি। কিন্তু এ বছর দর্শনার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে আয়োজকগণ তাদের আয়োজনেও রেখেছেন অনেক নতুনত্ব। বহু সাজে সজ্জিত করে তোলা হয়েছে পূজামণ্ডপ। প্যান্ডেলের প্রবেশপথে শোভা পাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন তোরণ। আর গেইট থেকে শুরু করে লাগানো হয়েছে হরেক রকম রং-বেরংয়ের বৈদ্যুতিক বাতি, যা দেখে আগত দর্শনার্থীদের মন পুলকিত হয়ে উঠবে পূজার আনন্দে। রয়েছে ব্যান্ড পার্টির হৃদয়জুড়ানো বাজনা। ভাগ্য ভালো হলে কোনো কোনো প্যান্ডেলে দর্শন হতে পারে হরেক রকম মনভোলানো নৃত্য। ইতোমধ্যে পূজামণ্ডপের নান্দনিক সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে। সম্পন্ন হয়েছে সকল আয়োজন। শান্তিপূর্ণভাবে পূজা সম্পন্ন করার লক্ষ্যে চাঁদপুর পৌর পূজা উদযাপন পরিষদ, জেলা পূজা পরিষদ নেতৃবৃন্দ পূজারীদের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হয়েছেন। অনুরূপভাবে জেলা, সদর উপজেলা ও পৌর পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দও পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, বিপিএম (বার)-এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। নেতৃবৃন্দ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা সম্পন্ন করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন এবং ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে আয়োজকগণ যাতে তাদের পূজার আয়োজন সম্পন্ন করেন সেজন্য পূজারীদের প্রতি অনুরোধ জানান। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর শহর, গ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে পূজার সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা যায়।