শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

ফরিদগঞ্জে বন্ধ ইটভাটা চালুর দাবিতে শ্রমিকদের গণস্বাক্ষর
অনলাইন ডেস্ক

ফরিদগঞ্জে বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি ইটভাটা চালু করতে ওই ইটভাটায় কর্মরত স্থানীয় ও চাকরি সূত্রে আসা শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা গণস্বাক্ষর যুক্ত মানবিক আবেদন করেছে জেলা প্রশাসকের কাছে। ২২ জানুয়ারি রোববার তাদের পক্ষে জনৈক মামুনুর রহমান সবুজ এই আবেদন করেন। গণস্বাক্ষরে ৪৫০ লোকের স্বাক্ষর রয়েছে। এছাড়া এর সাথে ইটভাটার প্রয়োজনীয় সকল কাগজ সংযুক্ত করা হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), সহকারী কমিশনার (কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট চাঁদপুর), ফায়ার সার্ভিস ফরিদগঞ্জসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদনের অনুলিপি দিয়েছেন।

আবেদনে তারা জানান, ইতিপূর্বে পরিবেশ দূষণ রোধে জিগজাগ পদ্ধতির এফ এন্ড এফ নামে ইটভাটা চালু থাকার করণে সেসহ স্থানীয় বিপুল সংখ্যক লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছিল। মাঝে নানা কারণে সেটি বন্ধ হওয়ার পর সম্প্রতি স্থানীয় আলম তপদারের নামে এক ব্যবসায়ী এলাকাবাসীর অনুরোধে মা-রহমত নাম দিয়ে ইটভাটাটি পুনরায় চালু করে। এতে স্থানীয় এবং দেশের বিভিন্ন এলাকার অন্তত ৪ শতাধিক লোকের নূতন করে জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা হয়। কিন্তু কাগজপত্র জটিলতার কারণে সেটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের পথে বসার উপক্রম হয়েছে। তাই তারা মানবিক দিক বিবেচনা করে ইটভাটাটি চালু করতে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

দৈনিক হাজিরা ভিত্তিতে ইটভাটায় কাজ করা দিনাজপুর জেলার বুলবুল আহমেদ জানান, তিনি ইটভাটায় দৈনিক ভিত্তিতে কাজ করছিলেন। কিন্তু ইটভাটাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন। বাড়িতে টাকা পাঠানোতো দূরের কথা, এখন নিজে চলতেই কষ্ট হচ্ছে।

একই জেলার দৈনিক শ্রমিক হাজিরায় কাজ করা মোত্তাকিনও একই কথা জানিয়ে বলেন, এখন আমাদের কী হবে। এই সময়ে আমরা বেকার হয়ে পড়েছি।

স্থানীয় মামুনুর রহমান সবুজ জানান, ইটভাটা চালু হওয়ায় তার মতো দুই শতাধিক শ্রমিকের আয়ের একমাত্র অবলম্বন ছিল এটি। এখন তারা পথে বসেছেন। এই কাজ শিখেছেন, তাই অন্যকাজ করা এই সময়ে কষ্টদায়ক। কার ভুলে তাদের এই দুঃখ সহ্য করতে হচ্ছে তারা জানেন না। তবে প্রয়োজনীয় অনুমতি সাপেক্ষে ইটভাটাটি চালু হলে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির দুঃসময়ে কিছুটা হলেও তারা বিপদমুক্ত হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়