প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
চাঁদপুর সরকারি কলেজের ৭৫ বছরপূর্তি : প্রাক্তন শিক্ষার্থীর মুখোমুখি-১
কলেজ জীবনের সোনালি স্মৃতি আজও মনে পড়ে
------অ্যাডঃ ইকবাল-বিন-বাশার
প্রথিতযশা আইনজীবী আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট ইকবাল-বিন-বাশার চাঁদপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী। ১৯৭২ সালে তিনি এ কলেজে একাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। শিক্ষাজীবনের সোনালি সময়ের উল্লেখযোগ্য স্মৃতি তিনি কলেজ জীবনেই আহরণ করেন। ব্যক্তিজীবনে মানবিক গুণাবলি অর্জন ও প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পেছনে কলেজের অবদানের কথা তিনি অকপটে স্বীকার করেন। একই সাথে স্মরণ করেন শ্রদ্ধেয় শিক্ষকম-লী ও প্রিয় সহপাঠীদের।
|আরো খবর
অ্যাডঃ ইকবাল-বিন-বাশার একজন সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী ও সংস্কৃতিমনা সর্বজনশ্রদ্ধেয় ব্যক্তি হিসেবে সুবিদিত। তিনি দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের প্রতিষ্ঠাতা, সম্পাদক ও প্রকাশক। এছাড়া চাঁদপুর প্রেসক্লাবের তিন মেয়াদের সভাপতি ও চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। যুক্ত আছেন নানা সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে।
‘চাঁদপুর সরকারি কলেজের ৭৫ বছরপূর্তি : প্রাক্তন শিক্ষার্থীর মুখোমুখি’ শীর্ষক চাঁদপুর কণ্ঠের ধারাবাহিক সাক্ষাৎকার পর্বে আজ কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী অ্যাডঃ ইকবাল-বিন-বাশারের কথা তুলে ধরা হলো।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা সম্পর্কে জানতে চাই।
অ্যাডঃ ইকবাল-বিন-বাশার : ১৯৫৫ সালের ২৭ এপ্রিল চাঁদপুর শহরের আলিমপাড়াস্থ নানাবাড়িতে আমার জন্ম। বেড়ে ওঠা পালবাজার এলাকার বকুলতলায়। আমার মা লেডীপ্রতিমা মিত্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। সে সুবাদে উক্ত স্কুলেই আমি প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করি। সে সময় ছেলে-মেয়ের সমন্বয়ে পাঠদান হতো।
চাঁদপুর কণ্ঠ : কত সালে, কোন্ শ্রেণিতে চাঁদপুর সরকারি কলেজে ভর্তি হন?
অ্যাডঃ ইকবাল-বিন-বাশার : আমি চাঁদপুর গভর্নমেন্ট টেকনিক্যাল হাই স্কুল থেকে প্রথম বিভাগ পেয়ে এসএসসি পাস করি। ১৯৭২ সালে চাঁদপুর কলেজে একাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হই। ১৯৭৪ সালের জুলাই মাসের ১৬ তারিখ সফলতার সাথে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই। তৎকালে পাসের হার ছিলো ১৭ ভাগ। রেজাল্ট জানতে আমরা কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে যাই। বোর্ডে সাঁটানো ফলাফলে দেখি, আমার থেকেও মেধাবী অনেক শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে পারেনি। এতে আমি ভয় পেয়ে যাই। ভয় ছিলো আমি পাস করবো কি না! যদিও পরীক্ষা আমি ভালোভাবেই দিয়েছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ, দেখলাম আমি পাস করেছি। তবে যে রকম ফল আশা করেছিলাম, সে রকম হয়নি। এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো : ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের কারণে আমরা দুবার এসএসসি পরীক্ষা দিই। প্রথম পরীক্ষায় আমি প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হই। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার জন্যে অনেকে পরীক্ষা দিতে পারেনি বিধায় আমাদের পুনরায় পরীক্ষা দিতে হয়।
চাঁদপুর কণ্ঠ : সে সময় কলেজের পরিবেশ কেমন ছিলো?
অ্যাডঃ ইকবাল-বিন-বাশার : সে সময় চাঁদপুর কলেজের পরিবেশ ছিলো অসাধারণ। অত্যন্ত মেধাসম্পন্ন শিক্ষকম-লী আমাদের পাঠদান করাতেন। আমরা খুবই আনন্দ সহকারে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে পাঠগ্রহণ করতাম। আমরা শিক্ষকদের অত্যন্ত শ্রদ্ধা করতাম, শিক্ষকরাও অভিভাবকের ন্যায় আমাদের স্নেহ করতেন।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার প্রিয় শিক্ষক এবং সহপাঠী ছিলেন কারা ? তাদের সম্পর্কে কিছু বলুন।
অ্যাডঃ ইকবাল-বিন-বাশার : শিক্ষাজীবনের সব শিক্ষকই আমার প্রিয় শিক্ষক। কেননা বহু গুণী শিক্ষকের আদর, স্নেহ ও সান্নিধ্য আমি পেয়েছি। যাঁরা আমাদের মনে দেশপ্রেম ও সুনাগরিক হওয়ার বীজ বপন করে দিয়েছেন। অধীর আগ্রহে আমরা শিক্ষকদের কথা শুনতাম এবং যথাযথভাবে তা নিজেদের জীবনে প্রয়োগ করতাম। শিক্ষকদের সেই অনুপ্রেরণামূলক কথা ও শিক্ষা আমার জীবনের পরম পাথেয়। আমার সকল শিক্ষকের কাছে আমি চিরঋণী। একই সাথে শিক্ষাজীবনে অসাধারণ কিছু সহপাঠী আমি পেয়েছি। আমরা নিজেদের মধ্যে সমন্বয় বজায় রেখে পড়াশোনা করতাম। সেসব আজও স্মৃতিতে ভেসে উঠে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : কলেজ জীবনের উল্লেখযোগ্য কোনো সুখের এবং দুঃখের স্মৃতির কথা জানতে চাই, যা আজও আপনার মনে পড়ে।
অ্যাডঃ ইকবাল-বিন-বাশার : সুখণ্ডদুঃখ মানুষের জীবনেরই অংশ; জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা জীবন থেকে আলাদা করা যায় না। অত্যন্ত আনন্দের কথা হচ্ছে, কলেজ জীবনে এমন কোনো ঘটনা আমার সাথে ঘটেনি, যা সুখের কিংবা দুঃখের স্মৃতি হিসেবে বলতে পারি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : কলেজে পড়াবস্থায় নিজেকে নিয়ে কী স্বপ্ন দেখতেন?
অ্যাডঃ ইকবাল-বিন-বাশার : জীবনে মানুষের বিভিন্ন রকমের চাহিদা থাকে। আমারও ছিলো। বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিলো আমি চিকিৎসক হবো। সে স্বপ্নও আমি দেখতাম। স্বপ্নপূরণে আমি নিরলসভাবে চেষ্টা করেছি। লেখাপড়া করেছি। সে সময় টেলিভিশন, বিদ্যুৎসহ প্রযুক্তির ছড়াছড়ি ছিলো না। আমার বাবা-মা দুজনেই চাকুরিজীবী ছিলেন। বাবা ঢাকায় চাকুরি করতেন। আমরা চার ভাই, পাঁচ বোনের লেখাপড়া বিষয়ে মা খুবই সচেতন ছিলেন। বর্তমানে আমি একজন আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন অতিবাহিত করছি। জীবনে সফলতার সাথে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পেছনে আমার পরম শ্রদ্ধেয় মায়ের অনস্বীকার্য অবদান রয়েছে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : কলেজের ক্লাস এবং আড্ডাবাজির স্মৃতি সম্পর্কে কিছু বলুন।
অ্যাডঃ ইকবাল-বিন-বাশার : কলেজ জীবনের ক্লাস বরাবরের মতো মধুর ছিলো। শ্রদ্ধেয় শিক্ষকগণ স্নেহ, মায়া, মমতা ও আন্তরিকতা, সর্বোপরি নিজ সন্তানের মতো আগলে রেখে পাঠদান করাতেন। শুধুমাত্র পাঠ্যবইয়ের পড়া নয়, জীবনঘনিষ্ঠ পাঠও আমরা শিক্ষকদের কাছ থেকে পেতাম, যা আমরা নিজেদের জীবনে প্রয়োগ করে খুব দ্রুতই সফলতার পথে এগিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি। বিশেষভাবে, ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক এবিএম ওয়ালিউল্লাহ স্যারের ক্লাসের কথা মনে পড়ে। স্যারের কথা শোনার জন্যে আমরা উদ্গ্রীব থাকতাম। মনে হতো যেনো স্যারের কথাই শুনি। কেননা স্যারের কথা বলার ভঙ্গিমা আমাদের খুবই আকৃষ্ট করতো। আর আড্ডাবাজির স্মৃতিতো রঙিন। আমরা কলেজের ক্যান্টিনে বন্ধুদের সাথে আড্ডাবাজিতে মেতে উঠতাম। আমাদের আড্ডার বিষয়বস্তু ছিলো, পড়াশোনা ও দেশের সমসাময়িক বিষয়।
চাঁদপুর কণ্ঠ : বর্তমানে কলেজে এলে কোন্ স্মৃতি বেশি মনে পড়ে?
অ্যাডঃ ইকবাল-বিন-বাশার : এখন যে বিশাল কলেজ, আমাদের সময় কিন্তু তা ছিলো না। সে সময় মূল ভবন, বিপুল বইসমৃদ্ধ সুবিশাল গ্রন্থাগার, ক্যাফেটেরিয়া, ছাত্রসংসদ ও খেলাধুলার সুব্যবস্থা ছিলো। আমার অত্যন্ত সৌভাগ্য ও গর্বের বিষয় হলো, যে কলেজে আমি পড়াশোনা করেছি, জীবনের সোনালি সময় পার করেছি, সে কলেজে আমার সহধর্মিণী শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। আমার স্ত্রী প্রফেসর বিলকিস আজিজ ইসলামের ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। স্ত্রীর চাকুরিসূত্রে বহুবার কলেজে গিয়েছি। সে সময় কলেজ জীবনের সেই বর্ণিল সোনালি স্মৃতি মনের গহীনে ভেসে উঠতো। ফিরে যেতে মন চাইতো সেই কলেজ জীবনে। মন চাইতো, ক্লাসের শান্ত ছাত্র হতে কিংবা আবার আড্ডায় মেতে উঠতে। এ স্মৃতি আমাকে পালতোলা নৌকার মতো সুখের সাগরে ভাসাতো।
চাঁদপুর কণ্ঠ : কলেজের ৭৫ বছরপূর্তিতে আপনার অনুভূতি জানতে চাই।
অ্যাডঃ ইকবাল-বিন-বাশার : ৭৫ বছরপূর্তি চাঁদপুর সরকারি কলেজের জন্যে একটি বিশাল গৌরবের ব্যাপার। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৭৫ বছর অতিবাহিত করা একটি প্রতিষ্ঠানের জন্যে চাট্টিখানি কথা নয়! আমি মনে করি, চাঁদপুর সরকারি কলেজ অত্যন্ত সুনিপুণভাবে তা অতিবাহিত করেছে। উক্ত সময়ে বহু মেধাবী শিক্ষার্থী এ কলেজ থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে দেশসেবায় আত্মনিয়োগ করেছেন। দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনতে নিরলসভাবে কাজ করছেন। চাঁদপুর সরকারি কলেজের ৭৫ বছরপূর্তি উপলক্ষে কলেজের প্রাক্তন এবং বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেলবন্ধন হবে। এতে নবীনরা যেমন অনুপ্রাণিত হবে, ঠিক একইভাবে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ফিরে যাবে ফেলে আসা সোনালি স্মৃতিতে। আমি মনে করি, একজন শিক্ষার্থীর জীবনে এমন আয়োজন নিঃসন্দেহে অতুলনীয়।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার দৃষ্টিতে চাঁদপুর সরকারি কলেজ কেনো সেরা?
অ্যাডঃ ইকবাল-বিন-বাশার : চাঁদপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার মান খুবই ভালো। একই সাথে চোখধাঁধানো অবকাঠামো শিক্ষার্থীদের মনোজগৎতে প্রফুল্ল রাখতে সাহায্য করে। মানুষের জীবনের জন্যে সুস্বাস্থ্য ও মেধাসম্পন্ন সুনাগরিক হওয়া জরুরি, এজন্যে খেলাধুলা ও বই পড়া অত্যাবশ্যক। আর সে চাহিদা চাঁদপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই পূরণ করতে পারছে বলে আমি করি। কলেজের সুবিশাল মাঠে খেলাধুলা ও বিপুল বইসমৃদ্ধ গ্রন্থাগারে বই পড়ে একজন শিক্ষার্থী খুব সহজেই নিজেদের জ্ঞানবৃদ্ধি করতে পারছে। এছাড়া কলেজের ছাত্ররাজনীতিও খুবই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আগেও ছিলো, এখনও আছে। তবে বর্তমানে পরস্পরের প্রতি পরস্পরের শ্রদ্ধাবোধ, পরমতসহিষ্ণুতা কিছুটা কমেছে বলে আমি মনে করি, যা অত্যন্ত খারাপ দিক। আমি বলবো, বড়রা ছোটদের স্নেহ ও ছোটরা বড়দের যথাযথ শ্রদ্ধা-ভক্তি করতে হবে। নিজেদের মধ্যে আন্তরিকতা ও বন্ধুত্ব বজায় রেখে জ্ঞানার্জন করতে হবে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : কলেজটি নিয়ে আপনার প্রত্যাশা/স্বপ্ন কী?
অ্যাডঃ ইকবাল-বিন-বাশার : চাঁদপুর সরকারি কলেজে বর্তমানে অনেক উন্নয়ন হয়েছে, নতুন নতুন বিভাগ খোলা হয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে চাঁদপুর সরকারি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা সময়ের দাবি মাত্র। কারণ নিজ জেলার বাইরে অর্থাৎ ঢাকা কিংবা অন্য যে কোনো জায়গায় গিয়ে লেখাপড়া করা কঠিন। একই সাথে বাবা-মায়ের ওপর অর্থনৈতিক চাপ পড়ে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : কলেজ জীবনের উল্লেখযোগ্য অর্জন কী?
অ্যাডঃ ইকবাল-বিন-বাশার : আমার ব্যক্তিজীবনের যাবতীয় অর্জন তো কলেজ জীবনেরই ফসল। কেননা কলেজে পড়াশোনা না করলে আমি জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারতাম না। যদিও কলেজ জীবনে পরীক্ষার ফলাফল আশানুরূপ হয়নি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : কোন্ কোন্ সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন?
অ্যাডঃ ইকবাল-বিন-বাশার : তৎকালে ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়ন ছিলো। আমি কলেজে পড়াবস্থায় ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলাম। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করার সুযোগ লাভ করি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : নতুনদের উদ্দেশ্য কিছু বলুন।
অ্যাডঃ ইকবাল-বিন-বাশার : জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে লেখাপড়ার কোনো বিকল্প নেই। মেধাকে কাজে লাগিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। পড়ালেখায় ফাঁকি দেয়া মানে নিজেকে ফাঁকি দেয়া।
চাঁদপুর কণ্ঠ : উল্লেখিত প্রশ্নের বাইরে আপনার কোনো কথা থাকলে বলুন।
অ্যাডঃ ইকবাল-বিন-বাশার : চাঁদপুর সরকারি কলেজের ৭৫ বছরপূর্তি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যা অত্যন্ত আনন্দের একটি বিষয়। মূলত এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রাক্তন ও নবীন শিক্ষার্থীদের পদচারণায় প্রিয় ক্যাম্পাস মুখরিত হয়ে উঠবে। স্মৃতিময় শ্রেণিকক্ষ ও হারানো বন্ধুদের দেখা পাওয়া যাবে। আবারো প্রিয় শিক্ষক ও বন্ধুর সান্নিধ্য লাভের সুযোগ হবে। এ সুযোগে স্যার হয়তো মাথায় হাত বুলিয়ে বলবেন, ‘শাবাশ, আরো এগিয়ে যাও’, কিংবা প্রিয় বন্ধু পেছন থেকে কলেজ জীবনের প্রিয় নামে ডাক দিবে, জড়িয়ে ধরবে কিংবা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মেতে উঠবে। এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অর্জিত স্মৃতি হয়তো জীবনের বাকি সময় আমাদের সুখের ভেলায় ভাসাবে।
আমার প্রত্যাশা, প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মেলবন্ধনের এ অনুষ্ঠানটি রাজনৈতিক বিবেচনায় না রেখে, সম্মিলিত ও ঐক্যবদ্ধভাবে অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা হোক। সকলের সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করি।