শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

কচুয়ায় ছাত্রলীগ নেতা দুরন্ত কর্তৃক সংখ্যালঘুর সম্পত্তি দখলের বায়নাপত্রটি ভুয়া
নিজস্ব প্রতিনিধি ॥

কচুয়া বঙ্গবন্ধু সরকারি ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মোঃ ইব্রাহিম হোসেন (দুরন্ত) একটি ভুয়া বায়নাপত্র তৈরি করে বাসাবাড়িয়ার উত্তম সরকারের সাড়ে ৮ শতক সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে। জমির মালিক উত্তম সরকার এই বায়নাপত্র ভুয়া-বানোয়াট বলে দাবি করে গত ১১ জানুয়ারি কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের বিষয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় দৈনিক পত্রিকাসহ চাঁদপুরের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ পায়। এসব সংবাদ প্রকাশের পর গতকাল শনিবার দুপুরে চাঁদপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (কচুয়া সার্কেল) মোঃ আবুল কালাম চৌধুরী, কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ইব্রাহীম খলিল ও অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) নাজিম উদ্দীন ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করেন।

এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম সওদাগর, কচুয়া উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ফনী ভূষন মজুমদার তাপু, উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রাণধন দেব, সাধারণ সম্পাদক প্রিয়তোষ পোদ্দার ও কচুয়া প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

তদন্তকালে উত্তম সরকার তদন্ত কর্মকর্তাদের সামনে উপস্থাপন করেন যে, সম্প্রতি কচুয়া বাজারে গেলে ইব্রাহিম গং ফিল্মি স্টাইলে তাকে উঠিয়ে নিয়ে বাজারে অবস্থিত রূপসী হোটেলের একটি কেবিনে নিয়ে যায়। সেখানে ৩টি খালি স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক তার স্বাক্ষর নেয়। এই স্বাক্ষর নেয়া অলিখিত স্ট্যাম্প দিয়ে কচুয়া সাব রেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লিখক জহিরুল ইসলামের মাধ্যমে ভুয়া বায়নাপত্র দলিল সৃষ্টি করে।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে দলিল লেখক জহিরুল ইসলাম তদন্ত কর্মকর্তাদেরকে জানান, পূর্বে স্বাক্ষর করা স্ট্যাম্পে বায়নাপত্র লেখা হয়। এ সময় ইব্রাহিম গং ব্যতীত অপর কেউ উপস্থিত ছিলেন না।

এছাড়া বায়নাপত্রের গ্রহীতা ছাত্রলীগ নেতা ইব্রাহিমের মা ফাতেমা বেগমের কাছে বায়না দলিলের অর্থ জোগান বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। বায়না দলিলের প্রথম সাক্ষী ইব্রাহিম নিজে, দ্বিতীয় সাক্ষী তার ভাগিনা হাসানাত ও তৃতীয় সাক্ষী তার ভাতিজা রবিউল। তারা উভয়ে নাবালক।

ইব্রাহিমের বায়নাপত্র ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তাগণ উপস্থিত স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম সওদাগরকে ছাত্রলীগ নেতা ইব্রাহিম কর্তৃক অবৈধভাবে দখল করা সম্পত্তি মুক্ত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দায়িত্ব দেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়