প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০২২, ০০:০০
মতলব উত্তর উপজেলায় প্রস্তাবিত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি উপজেলার পালালোকদি মৌজায় স্থাপন না করে সেটি ছেংগারচর বাজারসংলগ্ন ছেংগারচর মৌজায় স্থাপন করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তাদের ভাষ্যমতে, পালালোকদি মৌজায় ভূমি অধিগ্রহণের জন্যে ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রেরিত প্রস্তাবটি বাতিল করে ছেংগারচর মৌজা এলাকায় ভূমি অধিগ্রহণ করা হলে সরকারের প্রায় ৩ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। অল্প খরচে দরিদ্র শিক্ষার্থীরা সেখানে পড়ার সুযোগ পাবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারি উদ্যোগ ও অর্থায়নে মতলব উত্তর উপজেলায় একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের জন্যে উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের উদ্যোগে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য দুটি সাইট পরিদর্শন করা হয়। এর মধ্যে পৌরসভার বাইরে পালালোকদি মৌজায় অবস্থিত যে জায়গাটি পরিদর্শন করা হয় সেখানে প্রতি শতাংশ জায়গার মূল্য ৯৮ হাজার ৭শ’ ৫০ টাকা। কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য ন্যূনতম প্রয়োজন ১৫০ শতক জায়গা। পালালোকদি মৌজায় ভূমি অধিগ্রহণ হলে সেখানে ব্যয় হবে ৪ কোটি ৪৪ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা। পক্ষান্তরে ছেংগারচর বাজার-সংলগ্ন ছেংগারচর মৌজায় অধ্যাপক মোঃ আশরাফুল ইসলামের প্রস্তাবিত এলাকায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটির ভূমি অধিগ্রহণ করা হলে এ খাতে ব্যয় হবে সরকারের ১ কোটি ৪২ লাখ ১১ হাজার ৯০০ টাকা। অর্থাৎ ছেংগারচর মৌজায় ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভূমি অধিগ্রহণ করা হলে সরকারের প্রায় ৩ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
সম্প্রতি ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার পালালোকদি এলাকাটি অনেক নিচু ও বিচ্ছিন্ন। এর আশপাশে কোনো বাজার, দোকানপাট বা খাবার হোটেল নেই। যাতায়াতের রাস্তাও সুগম নয়। পরিবেশও ভালো নয়। অন্যদিকে ছেংগারচর মৌজার জায়গাটি উঁচু, ভরাট ও মনোরম পরিবেশে অবস্থিত। সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী, ওই জায়গাটি উপজেলা সদরের কাছাকাছি অর্থাৎ ৫ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত। সেখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো, প্রাকৃতিক পরিবেশ মনোরম এবং বিদ্যুৎ-সংযোগ সহজলভ্য।
উপজেলার উত্তর ছেংগারচর এলাকার বাসিন্দা মোঃ আশরাফুল ইসলামসহ শতাধিক এলাকাবাসী বলেন, পালালোকদি মৌজায় ভূমি অধিগ্রহণ করে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি স্থাপিত হলে সরকারের মোটা অর্থগচ্চার পাশাপাশি প্রশিক্ষণার্থীরাও নানা সমস্যার মুখোমুখি হবে। থাকা-খাওয়া ও যাতায়াতের কষ্টসহ নানা দুর্ভোগ পোহাতে হবে তাদের। বিষয়টি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. সামছুল আলম মোহনকে জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী শরিফুল হাসান বলেন, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের জায়গা নির্ধারণের জন্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে পুনরায় প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত করে এ ব্যাপারে পুনরায় প্রতিবেদন তৈরি করে সেখানে জমা দেবেন।