প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১:১২
চাঁদপুরে দুই সপ্তাহে সাপের কামড়ে আহত অর্ধশত
একজনের মৃত্যু
বর্ষার শেষের দিকে এসে চাঁদপুরে সাপে কাটা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছেন সাপে কাটা রোগীরা। ১ অক্টোবর থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত অর্ধশত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যুসহ ১১জন সাপের কামড়ে আক্রান্ত হয়েছেন।
নিহতের নাম বাসেদ পাটওয়ারী (৭০)। তিনি চাঁদপুর সদরের মহামায়া এলাকার বাসিন্দা। এর আগে সাপে কাটার পর ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার স্বজনরা বাসেদ পাটওয়ারীকে চিকিৎসার জন্যে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে নেয়ার পর কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে রোগীর স্বজনরা জানিয়েছেন, তাদের বাড়ির রান্নাঘর, পুকুর এবং ক্ষেতে কাজ করার সময় বিষাক্ত সাপ কামড়ে দেয়। কিন্তু কোন্ ধরনের সাপ ছিল তারা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি।হাসপাতাল সূত্র থেকে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সাপের কামড়ে আহত হয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন মতলব দক্ষিণ থেকে আসা সাগর (৩৪), সাপদী গ্রামের মৃত নেওয়াজের ছেলে আব্দুল হাকিম (৫৬), দক্ষিণ বালিয়া বাখরপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে জাহাঙ্গীর খান (৩২), মতলব দক্ষিণ বড়দিয়া আড়ং বাজারের কাদিরের ছেলে সাগর (৩০), ফরাক্কাবাদ গুলিশা গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে আমিন (৫২), বাবুরহাট এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে হাবিবুর রহমান (২০), চাঁদপুর সদরের সফরমালি দাসাদি গ্রামের সেলিম মিয়ার স্ত্রী শাহানা (৫৭), ফরিদগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া গ্রামের শাহজাহান মিয়ার স্ত্রী রোজিনা বেগম (৩৫), মতলব উপজেলার ওমর গাজী (৩২) এবং ফরিদগঞ্জ উপজেলার গৃদকালিন্দিয়া গ্রামের আলমগীরের ছেলে আল আমিন (২২)।
সাপের কামড়ে আহত আল আমিন বলেন, বাড়ির পাশেই কাজ করছিলাম। হঠাৎ একটি সাপ এসে পায়ে কামড়ে দেয়। প্রথমে কবিরাজের কাছে চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতালে যাই।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ বেলাল আহমেদ বলেন, হাসপাতালে রাসেলস ভাইপারের কামড়ে আহত রোগী না পাওয়া গেলেও অধিকাংশই বিষধর সাপের কামড়ে আহত হয়েছেন। অধিকাংশ রোগী অ্যান্টিভেনম নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এ সময়ে একটু সতর্ক থাকতে হবে। সাপের কামড়ে আহতদের কবিরাজের কাছে না নিয়ে দ্রুত সরকারি হাসপাতালে নিয়ে এলে ঝুঁকি থাকবে না। সূত্র : জাগো নিউজ।