প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২১:৫৬
মা ইলিশ রক্ষা অভিযানের প্রথম দিন
টাস্কফোর্সের তৎপরতায় জেলেশূন্য চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা
ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে জোরালো টহল তৎপরতা শুরু করেছে নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ডসহ প্রশাসন। তবে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকারের জন্যে কোনো জেলে ও মাছধরার ট্রলার নদীতে নামতে দেখা যায়নি। গতকাল ১৩ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইলিশ শিকারে ২২দিনের নিষেধাজ্ঞা অভিযানের প্রথম দিন চাঁদপুরের নদী এলাকায় অনেকটাই ছিলো সুনসান নীরবতা এবং জেলে শূন্য। সরজমিন রোববার দুপুরে দেখা গেছে, রাজরাজেশ্বর ও বিষ্ণুপুর এলাকার নদীর পাড়ে স্পীডবোট নোঙ্গর করে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান থাকায় কোনো জেলে সাহস করে নদীতে নামতে পারেনি।
নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান জানান, জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড ও মৎস্য বিভাগ সমন্বিতভাবে অভিযান পরিচালনা লনা করছি। প্রথম দিন আমাদের অনেক টিম নদীতে টহল অব্যাহত রেখেছে। আমরা কোনো জেলেকে নদীতে নামতে দেইনি। নিষেধাজ্ঞার বাইশ দিন কাউকে আইন অমান্য করতে দেয়া হবে না।
নৌ পুলিশ সুপার বলেন, আজ-কালের মধ্যে নৌ-বাহিনীর জাহাজ চাঁদপুর আসবে। নৌ পুলিশের স্পীডবোটের পাশাপাশি আমরা একটি লঞ্চও টহল কাজে রাখছি। রাজরাজেশ্বর, মিনি কক্সবাজার, হাইমচর এলাকার চিহ্নিত নদী এলাকার মৎস্য অভায়শ্রমে মা ইলিশ রক্ষায় নৌ পুলিশের সার্বক্ষণিক টহল অব্যাহত থাকবে।
প্রসঙ্গত, ১২ অক্টোবর শনিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে শুরু হয়েছে মা ইলিশ রক্ষার অভিযান। চলবে আগামী ৩ নভেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত মোট ২২ দিন। এ সময় নদীতে ইলিশ শিকার, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ, পরিবহন ও বিনিময় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। যার আওতায় রয়েছে চাঁদপুরের মেঘনা ও পদ্মা নদীর ১০০ কিলোমিটার এলাকা।
মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করতে নদীতে অভিযান চালাচ্ছে জেলা টাস্কফোর্স।জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, এ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করার জন্যে নদীতে মৎস্য বিভাগ, উপজেলা-জেলা প্রশাসন, পুলিশ, নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে অভিযান চলছে। নিষেধাজ্ঞার ২২দিন এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে। এরপরও যারা আইন অমান্য করে নদীতে যাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।