প্রকাশ : ২৯ জুন ২০২১, ০০:০০
প্লান্ট আগামী সপ্তাহে হস্তান্তর
চাঁদপুরে রোগীদের অক্সিজেন সমস্যার সমাধান হচ্ছে
করোনাভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণে আক্রান্তদের এবং অন্যান্য রোগীর অক্সিজেনের চাহিদা পূরণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল প্রাঙ্গণে অক্সিজেন প্লান্ট বসানোর কাজ শেষ পর্যায়ে। এখন চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ।
|আরো খবর
গতকাল ২৮ জুন রোববার চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতাল প্রাঙ্গণে নির্মিতব্য অক্সিজেন প্লান্টের ট্যাংকি বসানোর মধ্য দিয়ে হাসপাতালে রোগীদের জন্যে নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহের বিষয়টি চূড়ান্ত হলো। এর ফলে চাঁদপুরের মানুষের অক্সিজেন সমস্যা আর থাকলো না। এখন শুধু আনুষ্ঠানিকভাবে এটি চালু হওয়ার অপেক্ষায়।
এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজটি বাস্তবায়নের জন্যে নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী মোঃ কামাল হোসেনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, মূলত আমাদের কাজ শেষ পর্যায়ে। ট্যাংকি বসানোর কাজও শেষ। এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ চলছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চাইলে আমরা এখনো অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারি। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে আগামী সপ্তাহে হস্তান্তর করবো। তিনি আরো বলেন, আমরা শুধু চাঁদপুর নয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে সারাদেশের যে সকল স্থানে কাজগুলো হচ্ছে, আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে মন্ত্রণালয়ের সাথে চুক্তিপত্র অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে হস্তান্তর করবো।
জানা যায়, ৬ হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি ড্রাম (ট্যাংকি) এখানে বসানো হয়েছে। এ কাজে অর্থায়ন করেছে ইউনাইটেড ন্যাশন ইন্টারন্যাশনাল চিলড্রেন্স ইমার্জেন্সি ফান্ড (ইউনিসেফ) এবং বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এজন্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কাজটি সম্পন্ন করার দায়িত্ব পায় ঢাকার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
আগামী সপ্তাহে হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে চাঁদপুর জেলাবাসী চিকিৎসা ক্ষেত্রে আরো একধাপ এগিয়ে গেলো এবং অক্সিজেন সমস্যার সমাধান হলো।
উল্লেখ্য, বৈশ্বিক মহামারী করোনার ১ম ধাপের শুরুতে চাঁদপুরের করোনায় আক্রান্তদের অক্সিজেনের সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করলে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি জেলা সদর হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সংযোজনের ব্যবস্থার পাশাপাশি এটি স্থাপনের ব্যবস্থা করে দেন। তিনি করোনা আক্রান্ত রোগীদের প্রথমে ২৫ বেড পরবর্তীতে যা ৩০ বেডের আইসোলেশন বিভাগের ব্যবস্থা করেন। করোনা শনাক্তকরণের জন্যে নিজস্ব অর্থায়নে তিনি এবং তাঁর ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডাঃ জেআর ওয়াদুদ টিপু ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদ মেমোরিয়াল ট্রাস্টের মাধ্যমে চাঁদপুরে স্থাপন করেন কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ পরীক্ষাগার (ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদ আরটি পিসিআর ল্যাব)।
ইতিমধ্যে ৩টি আইসিইউও বেড অনুমোদনেরও ব্যবস্থা করেন। সর্বশেষ অক্সিজেন প্লান্ট স্থায়ীভাবে বসানোর মাধ্যমে চিকিৎসা ক্ষেত্রে পুরো এগিয়ে গেলো চাঁদপুর। এসব শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপির বদান্যতায় সম্ভব হচ্ছে বলে মনে করেন জেলাবাসী।