সোমবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   খাল দখল নিয়ে দ্বন্দ্বে যুবদল নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
  •   নৌ পুলিশের হয়রানি বন্ধে জেলা বিএনপির সভাপতির কাছে জেলেদের লিখিত আবেদন
  •   হাসান আলী মাঠে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের শততম দিনে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা
  •   মাদ্রাসা খাদেমের লাশ নদী থেকে উদ্ধার
  •   পল্লবীতে দুই ছেলেকে জবাই করে হত্যার অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে

প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১:৪৯

গল্লাক কলেজের কমিটি নিয়ে দুগ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি

ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি ॥
গল্লাক  কলেজের কমিটি নিয়ে দুগ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি
গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় করছেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. আবুল কালাম আযাদ।

ফরিদগঞ্জ উপজেলার গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের এডহক কমিটি নিয়ে দুগ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। ৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে বিএনপির হান্নান এবং হারুন গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি এমনকি হাতাহাতির ঘটনায় দিনভর গুপ্টি এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করেছে। এই সংবাদ পাঠানোর আগে (রাতে) উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে গল্লাক বাজারে দু গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, ৪ সেপ্টেম্বর বুধবার কলেজের সহকারী অধ্যক্ষ হারুনুর রশিদ এডহক কমিটি জমা দিতে গেলে ফরিদগঞ্জ উপজেলা চত্বর থেকে কে বা কারা শিক্ষকদের হাত থেকে কমিটির কাগজ নিয়ে যায়। পরক্ষণেই উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান কচি উপস্থিত হয়ে নতুন করে আবার এডহক কমিটি জমা দিতে গেলে স্থানীয় বিএনপির দুনেতার সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

৫ সেপ্টেম্বর সকালে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ গল্লাক কলেজের শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় করে উঠে চলে যাওয়ার সময় উপস্থিত বিএনপির দুগ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এতে কলেজ আঙ্গিনা এবং গল্লাক বাজারে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে এতে কেউ গুরুতর আহত হয়নি বলে জানা যায়।

একাধিক সূত্রে জানা যায়, বিএনপির দু গ্রুপের সমর্থক তাদের পছন্দের ব্যক্তিকে এডহক কমিটির প্রধান করতে চায়। কেউ চাচ্ছেন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান কচি এডহক কমিটি প্রধান হোক। অন্যরা চাচ্ছেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ কলেজের এডহক কমিটির প্রধান থাকুক। তবে ডা.আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের জানান, কলেজের অধ্যক্ষ নিয়ে এখনো কলেজ গভর্নিং বডি অস্থির। আমরা চেয়েছিলাম পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বসে আলাপ-আলোচনা করে এডহক কমিটি গঠন করবো। কিন্তু ওরা (কচি) বিতর্কিত শিক্ষক হারুনকে দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে এডহক কমিটি গঠন করে জমা দিতে যায়। তারা কেনো গোপনে এ কাজটি করতে গেলো? কতিপয় লোক কচির কথা বলে। অথচ বিগত দিনে তারা আওয়ামী লীগের সাথে লিয়াজোঁ করে চলেছে। আগে সে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ দ্বারা নিজের অস্তিত্ব ধরে রেখেছে। এখন তাদের দিয়ে আমাদের লোকদের উপর হামলা করাচ্ছে।

কলেজের সহকারী শিক্ষক ওমর ফারুক বলেন, কুমিল্লার মধ্যে সেরা কলেজ ছিল গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজ। কিন্তু বর্তমানে কলেজের অবস্থান নিম্নমুখী। আমরা আমাদের কলেজকে আবার কুমিল্লা বোর্ডের সেরা কলেজে রূপান্তর করতে চাই। কিন্তু নিজেরা নিজেরা যদি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ি তাহেল যাদেরকে পরাজিত করে আপনারা এসেছেন, তারা লুকিয়ে লুকিয়ে হাসবে। আমার প্রস্তাব হলো, আপনারা দুই গ্রুপে বসে এডহক কমিটি ঠিক করেন। এতেই কলেজে শান্তি ফিরে আসবে।

উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান কচি বলেন, আমাদের পরিবার এই প্রতিষ্ঠান নিয়ে অনেক কাজ করেছে। ৪ সেপ্টেম্বর ফরিদগঞ্জ উপজেলায় এডহক কমিটি জমা দিতে গেলে একদল লোক শিক্ষকদের হাত থেকে ফাইল নিয়ে যায়। আমি ফরিদগঞ্জ থাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মৌখিকভাবে বলে আসি।

উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি জানতে পেরেছি কথিত বিএনপি নামধারী কিছু আওয়ামী লীগের লোক কলেজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে। তাই আজ আমি কলেজের শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় করতে এসেছি। আমি দলীয় কোনো লোককে সেখানে প্রবেশ করতে দেইনি। কিন্তু ওদের বখাটে কিছু ছেলে আগে থেকে সেখানে বসা ছিলো। আমি শিক্ষকদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ আলাপ সেরে আসার পথে ওরা আমার উপর তেড়ে আসার চেষ্টা করে। তারপরও আমি দলীয় লোকদের শান্ত থাকতে বলি এবং সেখান থেকে সরিয়ে দেই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌলি মন্ডল বলেন, আমি আপনাদের মাধ্যমে ঘটনা জানতে পারলাম। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সাথে কথা বলবো।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়