প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০
ফরিদগঞ্জে পাড়ায় পাড়ায় বিশ্বকাপ উন্মাদনা
স্পোর্টসের দোকানগুলোতে বিশ্বকাপ জার্সি কেনার ধুম
দলের সমর্থনে ব্যানার করতে ডিজিটাল সাইন হাউজগুলোতে উপচেপড়া ভিড়
সময়ের ব্যবধানে দিনের হিসেবে হাতেগোনা আর মাত্র কদিন পরেই শুরু হচ্ছে কাতার বিশ্বকাপ। এবারের ফুটবল বিশ্বকাপের আসরটা কাতারে হলেও এর উত্তাপ ছড়িয়ে গেছে কাতারের সীমানা পেরিয়ে সারা বিশ্বে। বরাবরের ন্যায় এবারো ২০২২-এর কাতার বিশ্বকাপের উত্তাপ বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। ৪ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার ইতি ঘটিয়ে আবারও দেশের ফুটবল প্রেমিদের ফুটবল উৎসবের মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষামাত্র। ইতোমধ্যে গ্রামের চায়ের দোকান থেকে উপজেলা শহর পর্যন্ত প্রিয়দলের সমর্থনের ব্যানার। বিশেষ করে বিশ্বকাপের পরাশক্তির দল আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল দলের সমর্থনের ব্যানার আর পতাকা বেশি লক্ষ্য করা যায়। ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরের বাহিরে গ্রামে-গঞ্জে ঘুরে দেখা যায়, চায়ের দোকান চত্ত্বর ও সড়কের পাশে প্রিয় দলের সমর্থনের ব্যানার ও পতাকা উড়ছে।
|আরো খবর
ফরিদগঞ্জ বাজারসহ উপজেলার রূপসা বাজার, গৃদকালিন্দিয়া বাজার, চান্দ্রা বাজারসহ প্রায় সবগুলো বাজারেই স্পোর্টস সংশ্লিষ্ট দোকান ও কাপড়ের দোকানগুলোতে দেখা মিলছে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলের জার্সির অনুরূপ জার্সি ও পতাকা। শুধু যে প্রিয়দলের সমর্থকদের জার্সি কেনার ধুম পড়েছে তাই নয়। সমর্থকদের মধ্যে চলছে কার চেয়ে কে কত বড় পতাকা বানাবে তার প্রতিযোগিতা। বিভিন্ন বাসা-বাড়ির ছাদে উড়ছে সমর্থিত প্রিয় ফুটবল দলের পতাকা।
শুধু জার্সি আর পতাকাই নয়, ফরিদগঞ্জ বাজারের রাফি ডিজিটাল সাইন, সিয়াম অফসেট প্রেস, ফরিদগঞ্জ ডিজিটাল সাইন, রূপসা বাজারের রূপসা ডিজিটাল সাইন, এআর ডিজিটাল সাইনসহ সবগুলো ডিজিটাল সাইনেই দেখা যাচ্ছে উপচেপড়া ভিড়। ডিজিটাল সাইনগুলোর মালিক ও ডিজাইনররা জানান, বিশ্বকাপের উত্তাপ আমাদের ডিজিটাল হাউজগুলোতে বইছে। বিশেষ করে অন্যান্য সময়ের তুলনায় এখন অনেক বেশি কাজের চাপ। বর্তমান সময়ে কাজের চাপের কারণে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল সমর্থকরা নিজের ছবি দিয়ে ব্যানার তৈরি করছে। বিশেষ করে যুবক বয়সী ফুটবল সমর্থকদের ব্যানার তৈরি করতে বেশি আসছেন।
ফরিদগঞ্জ ডিজিটাল সাইনের পরিচালক নোমান সালেহী জানান, বিশ্বকাপ উপলক্ষে বর্তমান সময়ে ডিজিটাল ব্যানারের বেশ চাহিদা রয়েছে এবং কাজেরও বেশ চাপ রয়েছে। চাহিদা পূরণে আমাদের হাউজের ডিজাইনার ও মেশিনম্যানরা রাত জেগে কাজ করছে।
ফরিদগঞ্জ বাজারের জার্সি ও পতাকা বিক্রেতা ইত্যাদি স্পোর্টসের স্বত্বাধিকারী জিয়াউর রহমান জিয়া চাঁদপুর কণ্ঠের এ প্রতিনিধিকে জানান, শীতকালীন ব্যাডমিন্টনের মৌসুম ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কারণে ত্রিমূখী আসর হওয়ায় ক্রেতারা ক্রীড়া সামগ্রী কিনতে কিছুটা হিমশিম খাচ্ছে। সেই সাথে চায়না থেকে জার্সি ও ভিন্ন দেশের পতাকা না আসায় জার্সির দাম তুলনামূলক কিছুটা বেশি হওয়ায় ক্রেতাদের জার্সি ও পতাকা কেনায় খানিকটা বাধা পড়েছে। আমাদের ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশিত বিক্রি না হলে মোটামুটি জার্সি ও পতাকা বিক্রি হচ্ছে। তবে বিশ্বকাপের সময় যত ঘনিয়ে আসবে আশা করি বিক্রি আরোও বাড়বে।