প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২২, ১৯:০৫
খেলার মাঠটি যেনো খেলার মাঠই থাকে
চাঁদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠটি এতোদিন অযত্ন ও অবহেলায় পড়েছিল। এখানে অযত্ন ও অবহেলা বললে অত্যুক্তি হবে কারণ, এই মাঠটি দখল করেছিল কিছু চটপটির দোকানসহ অন্যান্য ভাম্যমাণ দোকানিরা। সেখানে অস্থায়ীভাবে চটপটি ও নানা রকমের হকারসহ খাদ্য সামগ্রির দোকান বিস্তৃত ছিল। বিকাল তিনটার পর থেকেই পসরা নিয়ে বসতেন এসমস্ত দোকানিরা। বিকেল থেকে রাত দশটা পর্যন্ত চলতো তাদের একটানা বেচা-কেনা। নানা বয়সী ছেলে-মেয়ে ও মধ্য বয়সীদের আনাগোনায় ভরপুর থাকতো এই মাঠটি। তখন কেউ এসে বলার উপায় ছিলো না এটি একটি খেলার মাঠ। মনে হতো অস্থায়ী একটি মাছ বাজার। নানা শ্রেণী পেশার নারী পুরুষের আগমন ঘটতো এখানে। চাঁদপুর শহরের একমাত্র উন্মুক্ত খেলার মাঠটি দেখে মনে হতো যেন তাদের জন্যই তৈরি করা। দোকানদারি শেষ করে তারা এ সমস্ত দোকানগুলো আবার এখানেই তালাবদ্ধ করে রেখে যেতেন। যেন পরের দিন এসে আবার পসরা সাজাতে পারেন। যেখানে ছেলে মেয়েরা খেলাধুলা করবে, সে খেলাধুলার স্থানটি তারা করেছে ভাম্যমান বাজারে পরিণত। অবশেষে ৭ নভেম্বর বিকেলে চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েলের নির্দেশে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ এই মাঠের হকারদের উচ্ছেৎ করলেন। উচ্ছেদ অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মফিজ উদ্দিন হাওলাদার, বাজার পরির্দশক শাহজাহান মাঝি, কর নির্ধারক আসাদুজ্জামান শাহরিয়ার, আদায়কারী এমদাদ হোসেন মিলন, শাটলিপিকার মোঃ রিয়াজ উদ্দিন, নিম্নমান সহকারী মোঃ রিয়াজ প্রমুখ।
|আরো খবর
উচ্ছেদ পরবর্তী অনেককেই বলতে শোনা গেছে নানা রকম কথা। কেউ বলছেন, খেলার মাঠটি যেন খেলার মাঠই থাকে, মেয়রের এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয় থাকে। আবার অনেককে বলতে শোনা গেছে এই উচ্ছেদ সাময়িকের জন্যে তারা আবার কদিনের মধ্যেই এখানে পসরা সাজাবে। তাই সচেতন মহলের আবেদন ছেলে-মেয়েদের এই খেলার মাঠটি যেন খেলার মাঠই থাকে। কারণ, চাঁদপুর শহরের উন্মুক্ত এই খেলার মাঠটি ছেলেমেয়েদের খেলাধুলার একটি উপযুক্ত জায়গা। পৌর মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে নিবেদন চাঁদপুরের খেলার মাঠটি যেন পুনরায় হকারদের মিলন মেলায় পরিণত না হয়। ছবি ও প্রতিবেদন উজ্জ্বল হোসাইন।