প্রকাশ : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯:৫৫
১৯ বছর পর বাবার কবর জিয়ারত করলেন তারেক রহমান

প্রায় দেড় যুগ পর বৃহস্পতিবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরেছেন। দেশে ফেরার একদিন পর শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর ২০২৫) জুমার নামাজ শেষে গুলশানের বাসভবন থেকে প্রথমে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাবার (জিয়াউর রহমান) কবর জিয়ারত করলেন। এর আগে ২০০৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাবা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছিলেন দলটির তৎকালীন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমান।
কবর জিয়ারতের পর তিনি লাল-সবুজ রঙের বুলেট প্রুফ বাসে করে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধের পথে রওনা করেন। স্মৃতিসৌধে তারেক রহমানের আগমনকে ঘিরে নেতাকর্মী ও সমর্থকরা ভিড় করেন।
তারেক রহমানের নিরাপত্তার স্বার্থে জিয়া উদ্যান ও সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধসহ ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ, র্যাবের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়। সাদা পোশাকেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারাও ছিলেন স্মৃতিসৌধ এলাকা ঘিরে। তিনি সেখান থেকে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
সাভার গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন খান আনু বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জুমার নামাজের পরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন বলে গণপূর্ত অধিদফতর স্মৃতিসৌধে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ সম্পন্ন করে।
তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষে সাভারে ছিলো উৎসবের আমেজ। বিভিন্ন এলাকা থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা জড়ো হন। প্রিয় নেতাকে দেখার জন্যে শুক্রবার থেকে স্মৃতিসৌধগামী মহাসড়কে অবস্থান নেয়ার কথা জানান তারা।
এদিকে তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও এর আশপাশের এলাকায় নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরাফাতুল ইসলাম বলেন, নিরাপত্তায় যেনো কোনো ধরনের বিঘ্ন না ঘটে, সেজন্যে নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করা হয়। শুক্রবার সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায় ৫০ হাজারের বেশি মানুষের গণজমায়েতের প্রস্তুতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।
এর আগে গত ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘ ১৭ বছর পর লন্ডন থেকে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জুলাই ৩৬ একপ্রেসওয়ে সংলগ্ন এলাকায় অগণিত মানুষের সমাগম ঘটে। ঐতিহাসিক ও নজিরবিহীন জনসমাগমে ঢাকা মহানগরী জনসমুদ্রে পরিণত হয়। পরে বিকেলে রাজধানীর ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়েতে (৩০০ ফিট) আয়োজিত বিশাল গণসংবর্ধনায় তিনি তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও দেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে আবেগঘন কণ্ঠে তিনি তুলে ধরেন এক নিরাপদ ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশের চিত্র, যেখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। সূত্র : ইত্তেফাক








