প্রকাশ : ০৫ আগস্ট ২০২৫, ২২:৩৬
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে জেলা জামায়াতের গণমিছিল

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে চাঁদপুর জেলা জামায়াতের উদ্যোগে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট ২০২৫) বাদ আসর চাঁদপুর শহরের বাইতুল আমিন চত্বর থেকে এক বিশাল গণমিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
|আরো খবর
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চাঁদপুর জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা বিল্লাল হোসাইন মিয়াজী। তিনি বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিলো স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রামের এক ঐতিহাসিক আলোকবর্তিকা। দেশের মানুষ তখন অবিচার ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জীবন দিয়ে প্রমাণ করেছে—এ দেশ অন্যায় মানে না। আজও আমরা একই স্বৈরতান্ত্রিক আগ্রাসনের মুখে। জামায়াত ইসলামী জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ইনসাফ ও ন্যায়ের সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে যাবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রখেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অ্যাড. মাসুদুল ইসলাম বুলবুল, জেলা সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান মিয়া ও সহকারী সেক্রেটারী অধ্যাপক আবুল হোসাইন।
চাঁদপুর শহর জামায়াতের আমীর অ্যাডভোকেট শাহজাহান খানের পরিচালনায় শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন সদর জামায়াতের আমীর মাও. আফসার উদ্দিন মিয়াজী। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি ইব্রাহীম খলিল ও শহর শাখার সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।
প্রধান অতিথি বলেন, ''বাংলাদেশে বৈষম্যকে কেন্দ্র করে ফ্যাসিবাদবিরোধী যে আন্দোলন হয়েছে সেই বৈষম্য দূর হবে, সংবিধানের সংস্কার হবে, জনগণ তাদের অধিকার ফিরে পাবে।'' তিনি বলেন, "জুলাইয়ে যে গণহত্যা চলেছে, পাশাপাশি ১৬টি বছর যে গুম, খুন, হত্যার ঘটনা ঘটেছে, এগুলোর বিচার করতে হবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বড়ো বড়ো রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পর হানাহানি, মতানৈক্যে লিপ্ত থাকার কারণে আমরা দেখছি ফ্যাসিবাদের বিচার সেরকম দৃশ্যমান হয়নি।''
রাস্তাজুড়ে ''দিল্লি না ঢাকা? ঢাকা , ঢাকা, আজ আদি না গোলামী ? আজাদী আজাদী, তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার, কে বলেছে কে বলেছে স্বৈরাচার স্বৈরাচার, বুকের মধ্যে অনেক ঝড় বুক পেতেছি গুলি কর, ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করো, গণতন্ত্র মুক্তি চাই, জুলাই গণবিদ্রোহ চেতনায় ফিরিয়ে আনো'’—এই ধরণের শ্লোগানে মুখরিত ছিল গণমিছিলটি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, “শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া হবে না। ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্যে আমরা শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলন চালিয়ে যাবো।”