প্রকাশ : ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ২০:০৫
মতলব উত্তরে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদককে কুপিয়ে জখম

মতলব উত্তর উপজেলার এখলাছপুরে মধ্যরাতে ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন বেপারী (৫২)-এর ওপর হামলা করা হয়েছে। তাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়েছে। রোববার (১৩ এপ্রিল ২০২৫) রাত আড়াইটার দিকে আহত কবির হোসেন বেপারীর নিজ বাড়ি এখলাছপুর (কালিগাছতলা)-এ ঘটনাটি ঘটে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কবির হোসেন বেপারীকে পুলিশ উদ্ধার করে রাতেই দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
জানা যায়, রোববার (১৩ এপ্রিল ২০২৫) রাত আড়াইটার দিকে এখলাছপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেনকে তার বাড়ির সামনে ওঁৎ পেতে থাকা ১৫ থেকে ২০ জন লোক অতর্কিত হামলা চালিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এ সময় তার ডাক চিৎকারে আশপাশ থেকে লোকজন ছুটে আসলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। তবে এ সময় মুখোশপরা অবস্থায় হামলাকারীদের একজনকে স্থানীয়রা আটক করতে সক্ষম হয়। জোর করে মুখোশ খোলার পর দেখা যায়, আটক হওয়া ব্যক্তি স্থানীয় পশ্চিম এখলাছপুর গ্রামের গোলাম হোসেন বেপারীর ছেলে আর্শাদ বেপারী।
কবির হোসেনের প্রতিবেশী প্রত্যক্ষদর্শী হেলাল প্রধানের ছেলে রাজিব প্রধানের সাথে কথা হলে সে জানায়, আমি আর আহত কবির প্রধান কাকা একসাথে গজরা এলাকায় বৈশাখী পালাগানের অনুষ্ঠান দেখতে যাই। বাড়ি ফিরতে রাত আড়াইটার মতো বেজে যায়। বাড়িতে ঢোকার সময় এখলাছপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কবির কাকার ওপর ১৫/২০জন লোক হামলা করে। এ সময় তারা চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কবির কাকারে এলোপাতাড়ি কোপায়। রড আর লাঠি দিয়েও ইচ্ছে মতো পিটায়। আমাদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। তবে আমরা হামলাকারীদের প্রত্যেককেই চিনি।
কবির হোসেন বেপারীর স্ত্রী বিউটি আক্তার জানায়, আমার স্বামীর ডাক চিৎকারে আমরা গিয়ে দেহি বিল্লাল প্রধান আর রাসেল মল্লিকে আমার স্বামীরে মারতাছে। আমার স্বামীরে বাঁচাইতে ওগো হাতে পায়ে ধরলে তহন রাসেল মল্লিক আমার ওপরেও হাত তোলে। বাকি সবাই দৌড়াইয়া পালাইয়া যায়। ওরা আমার স্বামীরে জানে মাইরা ফালাইতে চাইছিল।
এ বিষয়ে কথা হলে মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রবিউল হক জানান, রাতেই আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। এ ঘটনায় জড়িত একজন আটক আছে। আর হামলার বিষয়টি স্থানীয় একটি বোরোপিট (মাছ চাষের পুকুর) দখলকে কেন্দ্র করে বলে ধারণা করা হচ্ছে।