প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:৩৯
১৭ বছর পর মুক্তি পেলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম পিন্টু
টানা ১৭ বছর কারাভোগের পর অবশেষে মুক্তি পেলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু। আজ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর প্রথমেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে রওনা হন তিনি। এরপর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পরিকল্পনা রয়েছে তার। গ্রেনেড হামলা মামলার প্রেক্ষাপট : ২০০৮ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় গ্রেফতার হন আবদুস সালাম পিন্টু। এই মামলার বিচারিক প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতার পর ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে ফাঁসির দণ্ড দেন আদালত। একই রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী এবং কাজী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনসহ আরও ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে সম্প্রতি হাইকোর্টে এই মামলার রায় পুনর্বিবেচনা করে আবদুস সালাম পিন্টুসহ কয়েকজনকে খালাস দেওয়া হয়। রাজনৈতিক ও পারিবারিক পটভূমি: আবদুস সালাম পিন্টু টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ১৯৯১, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি এবং ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারে তিনি শিক্ষা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। আবদুস সালাম পিন্টু একজন রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য। তার ছোট ভাই আবদুল মজিদ ভূঁইয়া একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদ। মুক্তির পর পরিকল্পনা ও দলের প্রতিক্রিয়া: মুক্তির পর আবদুস সালাম পিন্টুর মুক্তি উপলক্ষে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা আশা প্রকাশ করেছেন, তার মুক্তি দলের সাংগঠনিক শক্তিকে আরও সুসংহত করবে। এ বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, "আবদুস সালাম পিন্টুর মুক্তি আমাদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফসল। তিনি একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও ত্যাগী নেতা। তার অভিজ্ঞতা দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।" পরবর্তী কার্যক্রম মুক্তি পাওয়ার পর তিনি নিজ নির্বাচনী এলাকার জনগণের সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা করছেন। এছাড়া দলীয় কর্মসূচিতে সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।