প্রকাশ : ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ২১:২৩
বাংলাদেশের ৫৩ বছরের ইতিহাসে আত্মস্বীকৃত খুনি শেখ মুজিব
...... বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কবি আঃ হাই সিকদার
সৌদি আরব বিএনপির সভাপতি ফখরুল ইসলাম বিলাসের আমন্ত্রণে তার নিজ বাড়ি শাহরাস্তি উপজেলার পরানপুরে নেতা-কর্মীদের মিলনমেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বিশিষ্ট কবি আঃ হাই সিকদার বলেছেন, আমরা তো সেই বাংলাদেশে যেতে চাই, যেই বাংলাদেশের স্বপ্ন জিয়াউর রহমান ৭ নভেম্বর দেখে গেছেন। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাত বারোটায় একজন সুটকেস গুছিয়ে বসে আছে পাকিস্তান আর্মির কাছে আত্মসমর্পণ করবে। আপনারা বলেন পাকিস্তান আর্মির কাছে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে আত্মসমর্পণকারীর নাম কী?-- শেখ মুজিব। তাজউদ্দিন আহমেদের মেয়ে শারমিন আহমেদ তার বইতে লিখেছেন, নয়টার দিকে আব্বু চলে গেলেন মুজিব কাকুর কাছে। তিনি বললেন, মুজিব ভাই, আমি স্বাধীনতার ঘোষণাটা লিখে নিয়ে আসছি, আপনি এখানে স্বাক্ষর দেন অথবা টেপ রেকর্ডারে আপনি বলেন। ইন্টার কন্টিনেন্টাল হোটেলে বিদেশি সাংবাদিকরা বসে আছে, আমি এটা পৌঁছে দেবো। শেখ মুজিব জবাব দিলেন, তোর কি মাথা খারাপ হইছে! এগুলো করলে আমার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা হবে। উনি তাজউদ্দিনকে বললেন, বাড়িতে গিয়ে ঘুমাও। ২৭ তারিখ একটি হরতাল দিয়েছি, পারলে পালন করিস। তাজউদ্দিন মনঃক্ষুণ্ণ হয়ে চলে গেলেন। পরেরদিন তিনি রেডিওতে শুনলেন মেজর জিয়ার ঘোষণা। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন, এটা আমরা সবাই জানি। পরবর্তীতে তাকে বলা হলো, ইলেকটেড গভর্নমেন্টের মাধ্যমে কথাটা বলা হলে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পাওয়া যেতে পারে, সেটাকে সামরিক অভ্যুত্থান হিসেবে দেখাতে পারবে না। সঙ্গে সঙ্গে জিয়াউর রহমান মেনে নিয়েছিলেন। কতোটা উদার হলে তিনি এ কাজটা করতে পারেন। ২৫ তারিখ একজন সুটকেস গুছিয়ে বসে আছেন, আরেকজন ক্যান্টনমেন্টে পাকিস্তানি আর্মিদের মেরে সোজা টাইগার পাসে গেলেন । পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে প্রথম বিদ্রোহ জিয়াউর রহমান করেছেন, আর কেউ নয়। আপনারা কি নেতার পার্থক্য বুঝতেছেন? জিয়াউর রহমানের কোনো উচ্চাভিলাষ ছিলো না। স্বাধীনতার পর জিয়াউর রহমান ক্যান্টনমেন্টে ফিরে গেলেন। শেখ মুজিবুর রহমান দেশে ফিরে এসে সত্যিকারের রাক্ষসে পরিণত হলেন। তিনি একটা দানব। ১৯৭২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তার ভাগিনা শেখ ফজলুল হক মনি ঘোষণা করলেন, এখন থেকে দেশে আইনের শাসন চলবে না, দেশ চলবে মুজিবী শাসনে। দেশ তো ওইদিনেই শেষ ফ্যাসিবাদের কাছে, স্বৈরতন্ত্রের বিষবৃক্ষ ওইদিনই রোপণ হয়ে গেলো। তারপর রাজনৈতিক ভিন্নমত পোষণের কারণে ২৭ হাজার নেতা-কর্মীকে খুন করেছে শেখ মুজিব তার ছাত্রলীগের গুণ্ডা, ডাকাত, লাল বাহিনী নীল বাহিনী দ্বারা এবং বর্বর রক্ষী বাহিনী দ্বারা। এগুলোর তদন্ত হয়নি। সে সকল খুনের বিচার হলে তারা এমন জুলুম- অত্যাচার করতে সাহস পেতো না। শেখ মুজিব সিরাজ শিকদারকে হত্যা করে পার্লামেন্টে গিয়ে বলেন, কোথায় সিরাজ সিকদার? আপনারা বলুন বাংলাদেশের ৫৩ বছরের ইতিহাসে আত্মস্বীকৃত খুনির নাম কী? তিনি হলেন শেখ মুজিবুর রহমান। তখন বলা হতো এটা আওয়ামী লীগ না, এটা লুটপাট লীগ। অমর্ত্য সেন বলেছিলেন, বাংলাদেশের খাদ্যের কোনো অভাব ছিল না, অভাব ছিল ব্যবস্থাপনার। ক্ষুধার জ্বালায় রাস্তায় রাস্তায় লাশ পড়েছিল। তারা চেয়েছিল দেশে কোনো গণতান্ত্রিক দল থাকবে না, শুধু থাকবে আওয়ামী লীগ। এই দেশ কি চেয়েছিলাম আমরা? হাসিনা গণঅভ্যুত্থানের চাপে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। তিনি হলেন মহিলা নমরুদ, মহিলা ফেরাউন। উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আলী আজগর মিয়াজীর সঞ্চালনায় মিলনমেলায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি লায়ন ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক, শাহরাস্তি উপজেলা বিএনপির সভাপতি আয়েত আলী ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক সেলিম পাটোয়ারী লিটন, সহ-সভাপতি আবু ইউসুফ রুপম, বিএনপি নেতা আক্তার হোসেন পাটোয়ারী, শেখ বেলায়েত হোসেন সেলিম, সহকারী অধ্যাপক মোজাহের হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক এবিএম পলাশ, সদস্য সচিব আজগর হোসেন মিয়াজী প্রমুখ। সভায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।