প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ০১:২৩
চাঁদপুরে গণঅধিকার পরিষদের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
চাঁদপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে গণঅধিকার পরিষদের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে ২৬ অক্টোবর শনিবার বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা এবং ২৪'র গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল ৩টায় শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার জেলা গণঅধিকার পরিষদ কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়ায় মিলিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য মোঃ আরিফ তালুকদার। চাঁদপুর জেলা গণঅধিকার পরিষদের (জিওপি) আহ্বায়ক কাজী রাসেলের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মোঃ মাহমুদুল হাসানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ সলিম উল্লাহ সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনির চৌধুরী, চাঁদপুর শহর জামায়াতের আমির অ্যাডঃ শাহজাহান খান ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা শাখার প্রচার সম্পাদক এইচএম নিজাম উদ্দিন। অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সাংবাদিক মোঃ জাকির হোসেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ আরিফ তালুকদার বলেন, দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত ছাত্র-জনতার এই মহান বিপ্লবকে কাজে লাগিয়ে আমরা বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ে তুলবো। স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের সকল সন্ত্রাসী, কুচক্রী, সহযোগীদের বিচার করতে হবে। আমরা তরুণ সমাজের অহংকার ভিপি নূরের নির্দেশে রাজপথে ছিলাম এবং গণতন্ত্র, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণমানুষের অধিকার রক্ষায় আন্দোলন চালিয়ে যাবো। খুব অল্প সময়ের মধ্যে গণঅধিকার পরিষদ দেশের সাধারণ মানুষের মাঝে সাড়া ফেলেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সব শ্রেণির মানুষের অপ্রতিরোধ্য সংগ্রামের মাধ্যমে দেড় দশকের স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের পতন ঘটানো সম্ভব হয়েছে। আপনারা পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসরদের পরিণতি থেকে শিক্ষা নেবেন। মানুষ যাতে আপনাদের ওপর ত্যক্ত-বিরক্ত না হয়, সেভাবে কাজ করবেন। মানুষের পাশে থাকবেন। তিনি আরো বলেন, ফ্যাসিবাদ সরকার মনে করেছিল কেয়ামত পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে। ছাত্র-জনতার অল্প কয়েকদিনের আন্দোলনে যেভাবে পতন হলো, তা কল্পনাও করা যায়নি। এ কৃতিত্ব বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ জনগণ ও ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমেছে বলেই স্বৈরাচার খুনি হাসিনার পতন সম্ভব হয়েছে। তার দোসররা এখনো নানান ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সভায় অন্যান্য বক্তা স্বৈরাচার সরকারের দোসরদের চিহ্নিত করে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানান। স্বৈরাচারের দোসরদের ছাড়া বাকি সব দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এছাড়া গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, অধিকার ও জাতীয় স্বার্থে ভিপি নূরের নেতৃত্ব দলকে সংগঠিত করতে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সহমর্মিতা চান গণঅধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দ। চাঁদপুর জেলা গণঅধিকার পরিষদের আয়োজিত সভায় গণঅধিকারের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিএনপি, জামায়াত, ইসলামী আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুব অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুর্তোজা মাহমুদ, কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার পরিষদের পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, চাঁদপুর জেলা গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নেয়ামত উল্লাহ, কাদের খান, যুগ্ম সদস্য সচিব সামিউল প্রধান, চাঁদপুর জেলা যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এইচএম শরীফ হোসেন, চাঁদপুর জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নূর নবী প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের স্মরণে দোয়া ও তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা হয়।