শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২২:৩১

পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে বাধা দেয়ার অভিযোগ মাহবুবুর রহমান শাহীনের

গোলাম মোস্তফা
পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে বাধা দেয়ার অভিযোগ মাহবুবুর রহমান শাহীনের
মাহবুবুর রহমান শাহীন

নিজ দলীয় নেতা-কর্মীদের দ্বারা পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে বা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময়ে বাধা দেয়ার অভিযোগ করেছেন বিএনপি চাঁদপুর জেলা শাখার সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান শাহীন। অভিযোগ সূত্রে ও স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের থেকে জানা যায়, বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান শাহীন অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে চাঁদপুর শহরের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আমন্ত্রণে তাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করার জন্যে চাঁদপুরে আসেন। তিনি ১১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় তাঁর গুয়াখোলাস্থ বাসভবন থেকে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে প্রথমে নিজ মহল্লা গুয়াখোলা কুণ্ডুবাড়ি পূজামণ্ডপে যান। এরপর তিনি কালীবাড়ি পূজামণ্ডপ, শহরের নতুন বাজারস্থ কদমতলা গুহবাড়ি পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে নতুনবাজার গোপাল জিউর আখড়া মন্দিরে গেলে পৌর ছাত্রদল নেতা শিপনের নেতৃত্বে বেশ কিছু নেতা-কর্মী মাহবুবুর রহমান শাহীনকে পূজা মণ্ডপে ঢুকতে বাধা দেয়। এ সময় মাহবুবুর রহমান শাহীন তাদের বাধার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা অসৌজন্যমূলক কথাবার্তা বলে। এ অবস্থায় সেখানে যেনো কোনো প্রতিবন্ধকতা বা সমস্যা না হয় এ চিন্তা করে তিনি তার সাথে থাকা দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে বাসায় ফিরে আসেন। এ বিষয়টি নানাভাবে দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে এ ঘটনার পর মাহবুবুর রহমান শাহীন শহরের গুয়াখোলাস্থ নিজ বাসায় উপস্থিত বেশ ক'জন সংবাদ কর্মীকে বলেন, আমি এবং আমাদের পুরো পরিবার শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের রাজনীতি করছি। এ বিষয় নিশ্চয়ই সকলের জানা রয়েছে। বিগত বছরগুলোর ন্যায় এবারেও শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে চাঁদপুর শহরের অনেক পূজামণ্ডপ থেকে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। আমি তাদের আমন্ত্রণ পেয়ে বলছি, আমি যাবো ইনশাআল্লাহ্। ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমি ব্যস্ত। কারণ, সেখানে আমি সদস্য পদে প্রার্থী। তাই স্বল্প সময় নিয়ে চাঁদপুর এসে দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে নিজ এলাকা কুণ্ডুবাড়ি, কালীবাড়িসহ কয়েকটি পূজামণ্ডপ ঘুরে নতুন বাজার গোপাল জিউর আখড়ার সম্মুখে গেলে বিএনপি ও ছাত্রদলের নামধারী শিপন আমাকে পূজামণ্ডপে ঢুকতে বাধা দেয়। তার সাথে কথা বলতে চাইলে সে অসৌজন্যমূলক কথাবার্তা বলে। আমি তাৎক্ষণিকভাবে চিন্তা করে দেখলাম, এখানে কথা বলতে গেলে সমস্যা হতে পারে এবং পূজার পরিবেশ নষ্ট হতে পারে। তাই নেতা-কর্মীদের নিয়ে বাসায় চলে আসি। আমার সাথে থাকা কোনো নেতা-কর্মীকে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলেও কোনো কথা বলতে দেইনি। এ বিষয়টি আমি জেলা বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতাকে জানিয়েছি। তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি মনে করি কেউ আমাকে ও আমার দলকে হেয় করার জন্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ঘটনাটি ঘটিয়ে তারা ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সমাজে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তিনি আরো বলেন, বিষয়টি নিয়ে পরে বিস্তারিত বলবো। তিনি এরপর আর কোনো মন্তব্য না করে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। এদিকে এ ঘটনার পর বিষয়টি নিয়ে চাঁদপুরের রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়