প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২৪, ১১:৪২
কারাভোগ আর অর্থের জলাঞ্জলিতে নির্যাতিত টুটুল পাটওয়ারী
এ এম টুটুল পাটওয়ারী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রাজনীতি করেন। সর্বশেষ তিনি পৌর বিএনপির সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। কিন্ত তার বড় পরিচয় ছিলো একজন সফল ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়ী নেতা। নিজের পরিশ্রমে তিনি ভাল ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পাশপাশি ব্যবসায়ী নেতা হিসেবে চেষ্টা করেছেন ফরিদগঞ্জের ব্যবসায়ীদের পাশে থাকার। কিন্তু এটাই হয়ত তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। মামলা-হামলা চাঁদাবাজির খপ্পরে পরে তিনি আজ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। গত এক যুগ ধরে তিনি রাতে ঠিক মতো বাসায় ঘুমাতে পারেন নি। সরকারি দলের চাঁদাবাজি এবং মামলার ভয় দেখিয়ে আইনশৃংখলা বাহিনীর অর্থ আদায়ে তাকে অতিষ্ঠ করে তোলে। সর্বশেষ কোটা বিরোধী আন্দোলনের সময়েও পুলিশ তার সাথে অমানবিক আচরণ করে এমটাই তার অভিযোগ।
|আরো খবর
এএম টুটুল পাটওয়ারী জানান, ২০১৩ সাল থেকে শুরু হয়ে ২০২৪ সালের কোটা বিরোধী আন্দোলন পর্যন্ত তাকে অন্তত ৮বার জেলে যেতে হয়েছে। পূর্বের সময় বাদ দিয়েও শুধুমাত্র এই সময়কালেই ১৭/১৮টি মিথ্যা মামলার আসামী আমি হয়েছেন। নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন পুলিশের হাতে। সে সময়ের সরকারি দলের কথিত নেতাকর্মীদের হাতে চাঁদাবাজির শিকার হয়েছেন বারংবার। এসব তিনি মুখ বুঝে সহ্য করে গেছেন। আর আইনশৃংখলা বাহিনী কথা বলতে গিয়ে বলেন, সর্বশেষ ঘটনায় আটকের দিনেও তাকে মোটা অংকের অর্থ দিতে হয়। মামলা ও জেলের ভয় না পেলেও তবু তিনি নির্মম নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পান নি। তিনি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন ফরিদগঞ্জ থেকে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংকিং ও রাজস্ব বিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশিদ পাটওয়ারীর প্রতি। তিনি আকুণ্ঠচিত্তে সকল সময়ে পাশে ছিলেন। পাশে ছিলেন দলীয় নেতা-কর্মী এবং ব্যবসায়ীরা, যারা তাকে আশাহত না হতে সাহস যুগিয়েছেন।
তারপরও কার একটাই চাওয়া ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এই বাংলাদেশে তিনি যেসব নির্মমতারে শিকার হয়েছেন, আর কেউ যেন এসব না ভোগ করেন। বিশেষ করে ফরিদগঞ্জ পৌরবাসী যেন সুখি ও সমৃদ্ধ জীবনযাপন করতে সক্ষম হয়।