প্রকাশ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩, ১৮:৩৯
শিক্ষার্থীরা তার শ্রেণির পূণাঙ্গ বই হাতে পাবেঃ শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেছেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষার্থীরা তার শ্রেণির পূণাঙ্গ বই হাতে পাবে। বিগত অতিমারি ও বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতির মধ্য দিয়েও বছরের প্রথমদিন আমরা বই উৎসব করতে পেরেছি, এটিই হচ্ছে একটি বড় বিষয়। কিন্তু সেটাকে পাশ কাটাবার জন্য নানান রকম কথা বলা হচ্ছে। আমি মনে করি প্রতিটি শিশুই বই পেয়েছে। তবে যে শিশু ৫টি বই পাওয়ার কথা সে ৩টি বই পেয়েছে।
|আরো খবর
বুধবার (৪ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে নিবন্ধিত জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, এবছর বই ছাপানোর জন্য বিদেশ থেকে কাগজ আনার কোন সুযোগ ছিল না। আমাদের যে কাগজ ছিল সেই কাগজ দিয়েই বই ছাপাতে হয়েছে। সেই ছাপাতে মান একেবারে খারাপ হওয়ার কথা নয়। শুধুমাত্র কাগজের উজ্জলতা কম হবে। এটিতে কোন সমস্যা নয়। কারণ কাগজে বেশী উজ্জলতা হলে চোখের জন্যও ভাল হয় না। বিদেশেও যখন বই ছাপা হয় তখনও উজ্জলতা কমিয়ে বই ছাপানো হয়। আমাদের দেশে অনেকেই মনের করেন কাগজ যতবেশী সাদা হবে ততই ভাল।
দীপু মনি বলেন, আমরা কাগজ আনার সুযোগ না থাকায় বইয়ের রং কিছুটা ভিন্ন হয়েছে। এর কোনটাই নিউজ প্রিন্ট না। আর আগে একটি বই কতজন শিক্ষার্থী পড়েছে। এখন একটি বই একজন শিক্ষার্থী একবছরই শুধু পড়েন। সংতরাং এই বই নিয়ে বড় ধরণের কোন অসুবিধা হওয়ার কারণ নেই। আমাদের যে কোন বিষয় নিয়ে গেল গেল বলে রব উঠে। কিন্তু সেটি সত্যিকার অর্থে দেখে এবং তার গুনাগুন বিচার না করে, এটা কেন করতে হল, কি ধরণের সমস্যা হল, সেগুলো নিয়ে আমরা কেউ মাথা গামাই না।
চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজ, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি এইচএম আহসান উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আল-ইমরান শোভন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।