প্রকাশ : ০২ নভেম্বর ২০২২, ১৮:০৩
কোন জমি অনাবাদী রাখা যাবে না। চেয়ারম্যানের নির্দেশ
কৃষি জমি,বাড়ির পাশের পতিত জমি,বাড়ির উঠানের পাশের জমি এক কথায় কোন জমি অনাবাদী রাখা যাবে না। যে কোন ধরনের ফসল ফলাতেই হবে। যার বাড়িতে বা যার জমি অনাবাদী থাকবে তাকে জবাবদিহি করতে হবে। সম্প্রতি এমনই এক নির্দেশনা দিয়েছেন হাজীগঞ্জের ১ নং রাজারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবাদুল হাদি মিয়া। তার ইউনিয়নে কোন জমি অনাবাদী রাখা যাবে না, এমন নির্দেশনার বিষয়টি চাঁদপুর কন্ঠকে মুঠোফোনে নিশ্চিত করেছেন চেয়ারম্যান হাদি নিজে।
|আরো খবর
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বতর্মান পরিষদ মেয়াদ মিলিয়ে টানা ৩ য় বার নির্বাচিত হন চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল হাদি মিয়া। সবসময় ব্যক্তিক্রম ধরনের ও সাহসী উদ্যোগ নিয়ে সবসময় আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে থাকেন তিনি। তার হাত ধরে এক সময়ের অঁজপাড়া গাঁ হিসেবে খ্যাত রাজারগাঁও ইউনিয়ের অধিকাংশ রাস্তা পাকা হয়ে গেছে, পুরো ইউনিয়ন শতভাগ বিদ্যুৎতায়ন করা হয়েছে, মাটির তৈরি প্রতিটি রাস্তা প্রস্তস্থ আর উঁচা করে বাঁধা হয়েছে, ৮০ ভাগ পরিবারকে আর্সেনিক মুক্ত খাবার পানি সরবরাহ হয়েছে, মেয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরন করা হয়েছে,সকল সড়কে সোলার সিষ্টেম ষ্ট্রিট লাইট লাগানো হয়েছে। এমন সব ব্যতিক্রম কাজ করছেন চেয়ারম্যান হাদি। সর্বশেষ কোন জমি অনাবাদী রাখা যাবেনা বলে নির্দেশনা দেন ইউনিয়নবাসীকে। চেয়ারম্যানের দেয়া সিদ্বান্তগুলো মধ্যে অন্যতম হলো কোন কৃষক বা জমির মালিক নিজে চাষাবাদ না করিলে অন্যকে পোষানি, বর্গা, সন মেয়াদি অথবা সেচ্ছায় অন্যকে চাষাবাদ করতে দিতে হবে। কোন ফসলি জমি খালি রাখতে পারবেন না। ভিটা বাড়ি ও বাড়িতে খালি জায়গায় ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছ রোপন করতে হবে।
এ বিষয়ে আলহাজ্ব আবদুল হাদি মিয়া জানান, এই ইউনিয়নের সকল জমির মালিক, পোষানি ও বর্গা ফসল চাষীদেরকে বলা হয়েছে জন্য ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মোঃ আঃ হাদী মিয়ার নির্দেশনা। শাক সবজি কিংবা সকল ধরনের খাদ্যের অভাব দূর করার জন্য ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার আমরা এই সিদ্বান্ত নিয়েছি। বিষয়টি আমরা পরিষদের পক্ষ থেকে তদারকি করে যাবো।